বনফুল
(৪৯ পর্ব )
শান্তা কামালী
জুঁই শুয়ে এপাশ ওপাশ করে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে টের পায়নি! আর যখন ঘুম ভাঙ্গলো ঘড়িতে তখন এগারোটা বেজে গেছে দেখে জুঁই একটু আশ্চর্য হলো.... এতো সময় ঘুমিয়েছি বুঝতেই পারিনি! নিশ্চয়ই আব্বু আম্মুর আমার জন্য অপেক্ষা করে নাস্তা খাওয়া হয়নি আব্বু নাস্তা না খেয়ে ই কাজে চলে গেছে। ওয়াশ রুমে ঢুকে জুঁই ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে এলো, মা মনোয়ারা বেগম জুঁইকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, জুঁই তোমার শরীর ঠিক আছে তো? প্রথমে ময়না এসে বলেছে তুমি ঘুমাচ্ছো, ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করে আমি গিয়ে দেখলাম তখনো তুমি গভীর ঘুমে, তাই আমিও ডাকি নি। জুঁই বললো আম্মু অনেক ঝামেলা গেলো তো শরীর একটু দূর্বল ছিলো মনে হচ্ছে, এখন আমি একদম ফিট্। জুঁই বললো আম্মু তুমি নাস্তা করেছো? মা মনোয়ারা বেগম বললো তোকে ফেলে আমি কি করে নাস্তা করি বল? ময়না টেবিলে দুইজনের নাস্তা পরিবেশন করলো। জুঁই মাকে নিয়ে নাস্তা খাওয়া শেষ করে ডায়নিং রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছে ময়না এসে কফি দিয়ে গেল। মনোয়ারা বেগম বললেন জুঁই তুমি বসে টিভি দেখ, আমি একবার রান্না ঘর ঘুরে আসি তোমার আব্বু আসার সময় হয়ে যাচ্ছে....।
আজ আর জুঁই নাস্তা খাওয়া শেষ করে নিজের রুমে যায়নি। কলিং বেল বাজতেই জুঁই গিয়ে দরজা খুলে ওয়াজেদ সাহেবকে জড়িয়ে ধরে বললো স্যরি আব্বু, আজ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে বলে সকালে তোমার সাথে দেখা হয়নি! আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না.....।
বাবা মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, পাগলী মেয়ে এইটা কোনো ব্যাপার হলো? ওয়াজেদ সাহেব ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আসলেন। বাবা-মা মেয়ে হাহাহা হাহাহা হাহাহা করে হাসছে আর খাচ্ছে পুরো ডাইনিং রুম সরগরম। খাওয়া শেষ করে জুঁইয়ের আব্বু আম্মু রেস্টের জন্য রুমে চলে গেলেন, জুঁই ও নিজের রুমে গেল কিছুটা সময় বিশ্রাম নেবে বলে।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much