চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
উদাসী মেঘের ডানায়
(পর্ব ১৬)
শুক্রবার বেশ আয়োজন করেই ময়নার বিয়ে দিলো
ছাদের রুমটি সুন্দর করে সব কিছু দিয়ে তৃষ্ণা ঘুছিয়ে
রেখেছিলো। ময়নার মা চার বছরেরে ময়না কে নিয়ে
ওদের বাড়িতে এসেছিলো, ময়নার বাবা আর একটি
বিয়ে,করে ওদের রেখে পালিয়ে গিয়েছিলে। সেই চার বছরের মেয়ে আজ বড় হয়ে নিজের পছন্দমত বিয়ে
করলো।ময়নার মা খুব খুশি ময়না তার কাছেই থাকবে
বিয়ের সাজে ময়নাকে বেশ সুন্দর লাগছিলো।
বিয়ের কয়দিন পর মজিদের সাথে হাতির ঝিল ঘুরে এসে বললো - আফা হাতির ঝিলে একখান ও হাতি
দেখলাম না, কত মানুষ কত সুন্দর কইরা মাইয়ারা
সাইজা কালা চশমা পইরা কি যে গল্প করলো হেগোর বন্ধু না সেয়ামী জানিনা খুব ভালা লাগলো।
তৃষ্ণা,-আরে বোকা জায়গারটার নাম হাতিরঝিল।
তোরা কি করলি খুব আনন্দ করলি বুঝি।
ময়না-মুখখানি ম্লান করে বললো তা,করছি।
তৃষ্ণা- মজিদ তোরে খুব ভালোবাসে তাইনারে ময়না?
ময়ন- ভালাবাসে আফা,কিন্ত
তৃষ্ণ - কিন্ত কি?
ময়না-সিনেমার লাগাননা।
তৃষ্ণা হো হো করে হেসে উঠলো হাসি আরা থামছেনা
তৃষ্ণার মা দৌড়ে মেয়ের ঘরে এসে বললো
-কিরে এতো হাসছিস কেন?
তৃষ্ণা - ময়না তুই যা, মা তোমার শুনে কাজ নেই
ময়না বেশ স্বপ্ন দেখতে শিখেছে মা দোয়া করো ও যেনো সুখি হয়।
ময়না আজকাল মজিদ কে নিয়ে ছাদে সুন্দর বাগান
করেছে ফুল ছাড়াও নানান রকম সবজি বাগান ও করছে এই কয়দিন বেশ গিন্নি গিন্নি ভাব এসেছে
ওর ভিতর, মেয়েদের বিয়ে হলে ওরা কেমন বদলে
যায়, স্বামির পছন্দমত রান্না করে রাখে এগুলো নিরবে দেখে তৃষ্ণা শান্তি পায়।
অপু ফোন করেছে আজ কথা বলতে বলতে তৃষ্ণা
কখন ঘুমিয়ে পড়েছে নিজেও জানেনা।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much