নিঃসঙ্গ পার্কের বেঞ্চে একদিন
হেমন্তের প্রায় শেষদিকে নিঃসঙ্গ পার্কের
বেঞ্চে বসে আছি একা। মাথার ওপর
আম গাছটার ওপরে বসে একটা কাক
একটানা কা কা করতে করতে একসময়
উড়ে চলে গেলো। একটু পরেই আমার
সামনে পার্কের ন্যাড়া ঘাসের ওপর একটা
লোমওঠা এবং পিঠের ওপর গভীর
ক্ষতচিহ্ন সগৌরবে বয়ে বেড়ানো
একটা সারমেয় বসলো আমার খুব গা ঘেঁষে।
আমি তার দিকে তাকাতেই কেমন জানি
একটু নড়েচড়ে বসলো এবং নিজে নিজেই
কিছুক্ষণ গজরাতে গজরাতে চলে গেলো
আমাকে ফেলে একা। ভাবছিলাম ও
কেনো গজরাচ্ছিলো অমন করে!
তারপর হঠাৎ করেই মনে হলো ওর
গজরানো এবং শরীরের ভাষা বলে দিচ্ছে
আমার প্রতি তার এরকম চরম
অবজ্ঞাসুলভ আচরণের কারণ হয়তোবা
আমি মানুষ বলে! ওর শরীরের
ক্ষতচিহ্নের জন্য হয়তো আমার মতোই
কোনো মানুষ দায়ী, যে কিনা ওর শরীরের
ওপরে গরম কিছু ঢেলে দিয়েছে এবং
সেইজন্যই তাকে এই গভীর ক্ষত বয়ে
বেড়াতে হচ্ছে, ওর তীব্র ঘৃণা মানুষের প্রতি
হয়তো সেইজন্যই! হায়, মানুষ হিসেবে
একটা সারমেয়র কাছেও হেরে গেছি
আমরা! মনের ভিতরে এই প্রচণ্ড কষ্টের
বোধ নিয়ে পার্ক ছেড়ে বেরিয়ে এলাম
উন্মুক্ত আকাশের নীচে একটুকু সান্ত্বনা পাবার আশায় দুপুরের উত্তপ্ত পীচঢালা পথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much