০৯ জানুয়ারী ২০২১

বিশ্বজিৎ দেবনাথ হৃদয়



পবিত্র প্রেমে পাওয়া


আলতা রাঙা পায়ে রিনিঝিনি নূপুর বাজে, 

আমি কান পেতে রই,প্রেমময়ী কখন সে গৃহ হতে হবে বাহির।আলাভোলা উড়নচণ্ডী যায় সে কোন পথ ধরে,

সে কি ফিরবে এই বসন্তের শিউলি ফোটা ভোরে?

হারিয়ে কি যাবে কোন সে শিশিরের জলকন্যা হয়ে।


নিয়ম করে আসতো সে পুকুর পাড়ে জলকেলি দেখতে-- দ্যাখে বেঁচে-থাকার মানে খুঁজতো।

বিশাল আকাশটার নীলকে সে প্রচন্ড ভালো বাসতো...

চঞ্চলা মন কখনো ডুবে যেত কবিতার মাঝে 

আর রঙিন প্রচ্ছদে ছোট্ট একটা শহর বুনতো ভালোবাসার নীল খামে...

কতো চিঠির প্রদর্শন হতো টেবিলের বুক জুড়ে। 

কতো না বলা ভালোবাসা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে নিরুৎসাহিত হতো মনে,বেদনা বিধুর বুক ফেটে  চৌচির।


আজও প্রেম কাঁদে বসে কোন চৌরাস্তার বাঁকে 

শীতঋতুর সকালের শিশিরের ভেজা ঘাসে 

বিকেলের ফিরে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনে

সাঁকো-অধীর আগ্রহে পথ পানে চেয়ে।


বারংবার কারণে অকারণে জল ভরার ছলে এক পলক দেখার উচাটন দেহ মনে বায়না ধরে।

অপলক দৃষ্টিতে নয়নের পানে চেয়ে থেকে আবেগে আপ্লুত ক্ষণ কখনও ভুলার নয়!

ফিরে ফিরে তাকিয়ে উতালপাতাল ঢেউ যায় জাগিয়ে,হৃদয় পুড়ে আজ সেই স্মৃতি চারনে।


তবো রুপ যৌবনে মনোমুগ্ধকর সদা ব্যাকুল ছিল যতো পড়শী।

মায়াবী মুখে হরিণী চোখে এক পলক চেয়ে মন ছোঁয়া মিষ্টি হাসি একটু দিও না হয়!

এ আমার পরম সাধনার স্বর্গের সুখ পবিত্র প্রেমে পাওয়া ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much