১৪ নভেম্বর ২০২১

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২৬

চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন  লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার। 
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে। 




উদাসী মেঘের ডানায়,
( ২৬ তম পর্ব  )


অপু ও তৃষ্ণার মা দুজনে বিয়ের তারিখ ঠিক করা নিয়ে,ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। অপুর মা বললো- বিয়ান
আমরা সকাল ১০টার,দিকে  কলমাটা পড়িয়ে ফেলবো কি বলেন? 
তুষ্ণার মা-,তাহলে তো খুবই ভালো হয়। বিয়ে, বৈভাত
যখন একসাথে হচ্ছে।
এমন সময় তৃষ্ণা অফিস থেকে এসে দেখে দুই মা বেশ
গল্প করছে, মাকে আর ডাকলো না রুমে ঢুকে অফিসের ড্রেস চেন্জ করে হাতমুখ ধুয়ে বিছানায় এসে বালিশে হেলান দিয়ে বসলো, কিছুক্ষণ পর সামিয়া,এসে ঢুকে বললো - বিয়ের মার্কেটিং কবে করবি তৃষ্ণা মাত্র তো হাতে একটি মাস।
তৃষ্ণা- হবে এতো চিন্তা করোনা তিনদিনে সেরে ফেলবো।
সামিয়া - খালা ডাকছে চা খেতে আয়।
তৃষ্ণা - তুমি যাও আমি আসছি।
চা খেয়ে মায়ের সাথে কিছুটা সময় গল্প করে রুমে চলে এলো বিয়ের সময় এগিয়ে আসছে যত তৃষ্ণা
কেমন জানি একটি ঘোরের ভিতর আজকাল ডুবে থাকে। অপুকে ফোন করতে ইচ্ছে করছে আবার কেন জানি একটু লজ্জা ও পাচ্ছে ভাবছে জীবনটা বড় বেশি  অদ্ভুত চিন্তাও করেনি অপু আবার তার জীবনে
ফিরে আসবে এভাবে নতুন করে ঘর বাঁধবে।
এযেনো এক নতুন জীবনের আলোর সন্মোহনের বাধঁনে আত্মহারা মন। হঠাৎ মনে হলো আমি তো অপয়া,অপুর কিছু হবেনাতে ভাবতেই শিউরে উঠলো।
আর চিৎকার করে কেঁদে বললো না কিছুতেই না আমার জীবন থাকতে অপুর কিছু হতে দিবোনা।
সামিয়া দৌঁড়ে ওর ঘরে এসে জড়িয়ে ধরে বললো- কি
হয়েছে কাঁদছিস কেন, কি বলছিস এসব।
তৃষ্ণা- আমার ভয় করে অপুুর কিছু হলে।
সামিয়া- এসব নেগেটিভ চিন্তা বাদ দিয়ে পজেটিভ ভাব, কেন হবে ওকি ড্রিংক করে গাড়ি চালায়।
- না
তাহলে লক্ষীটি এসব ভাবতে নেই, কিছু হবেনা যা চোখে মুখে পানি দিয়ে আয় আমি বরং গান করি
তুই বেহালা বাজাবি আজ কতদিন বাজাসনা বলতো
সামিয়া বেহালাটা নিয়ে এসে তৃষ্ণা কে দিলো
দু  বান্ধবী হারিয়ে গেলো সুরের গভীরে।
চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much