বনফুল
( ২৩ তম পর্ব )
জুঁইয়ের বাবা-মা বেশ খুশিই হলো মেয়ের পছন্দ দেখে,
জুঁইয়ের বাবা বললেন মেয়ের আমার পছন্দ আছে বলতে হবে।
জুঁইয়ের মা মনোয়ারা বেগম বললেন কার মেয়ে দেখতে হবে তো,আমিই কি তোমাকে মন্দ পছন্দ করেছিলাম...?
ঐদিকে বাসায় পৌঁছে পলাশ সৈকত দুজনেই হাত মুখ ধুয়ে
হাল্কা ডিনার খেয়ে বিছানায় শুয়ে আলোচনা শুরু হলো। সৈকত বললো জুঁই মেয়েটি বেশ লক্ষ্মী, কি বলিস?
পলাশ মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো,
সৈকত আরো বললো তোর ভাগ্য অনেক ভালো যে, পড়াশোনায় নাম্বার ওয়ান স্কলারশিপ এবারেও তুই পাচ্ছিস।
ওদিকে, রাত দশটা বাজতেই জুঁই নিচে নেমে এলো,
জুঁইয়ের বাবা-মা দুজনেই গল্প করছেন আর টিভি দেখছেন। জুঁইও এসে ওদের সাথে যোগ দিলো,
প্রায় এগারোটা বাজতেই ময়না টেবিলে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করে এসে বললো, খালাম্মা খেতে আসেন।
খাওয়া শেষ করে জুঁই বাবা-মাকে গুডনাইট বলে উপড়ে উঠে গেল।
দাঁত ব্রাশ সেরে, পোশাক চেঞ্জ করে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে বিছানায় শুয়ে পলাশকে ফোন করলো।
ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠস্বর, কেমন আছো জুঁই?
কি করছো সুইট হার্ট?
জুঁই বললো, শোয়ার প্রস্তুতি... ভাবলাম তুমি হয়তো আজ আর ফোন দেবে না, তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমিই তোমাকে ফোনটা দিই।
থ্যাংকস জুঁই, পলাশ প্রশ্ন করলো জুঁই আমি ফিরে আসার পরে আন্টি,আঙ্কেল কিছু বললেন?
জুঁই হুম,বললো তো!
কি বললেন?
তোমায় বলবো কেন?
বাহঃ রে, আমার ব্যাপারে কথা, আমাকে বলবে না!
না,বলবো না....।
কেন?
সব কথা কি মুখে বলতে হয়,না বলা যায়?
তবে আমি কি করে বুঝবো?
সেটা তোমার ব্যাপার। তবে তুমি যদি কাছে থাকতে,
তাহলে ঠিক বুঝতে পারতে?
কি ভাবে? তুমি তো কিছু বলবে না বলেছো।
না বললেও পারতে,এই যে আমার বুকের বাঁপাশ টায় মাথা টা চেপে ধরতাম, তুমি সেখানে কান পাতলেই সব শুনতে পেতে।
তাই না-কি?
হুম,শাহজাদা তাই,বুঝতে পারলে কিছু?
বুঝলাম....।
কচু বুঝেছো,ওনারা তোমার খুব প্রসংশা করেছেন।
তাই? কি রকম, শুনি....
আজকে নয়,এরপর একদিন আবারও আসবে যেদিন একা,সেদিন আমার ঘরে কানেকানে বলবো সে সব কথা। তবে শর্ত আছে।
কি শর্ত শুনি...
না,এখন সেটা ও বলবো না।
সেদিন হাতে করে কিছু আনবে না।আর আমি যা চাইবো,তক্ষুনি সেটা দিতে হবে, দেরি সইবো না।
তার মানে?
তারমানে বুঝে নিন বাবুসাহেব, আর কিছু ভাঙবো না।
পলাশ আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলো.....
তার আগে ই জুঁই বললো এখনো রাখছি শুভ রাত্রি, বলেই জুঁই ফোন কেটে দিলো।
পলাশ একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তাকিয়ে দেখে সৈকত ঘুমিয়ে পড়েছে।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much