ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর অসাধারন সৃষ্টি। লিখতে সহোযোগিতা করুন লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা
সহধর্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা
(৬ষ্ঠ পর্ব)
আজ অব্দি সহধর্মিণীর কোন কাজেই খুব একটা সাহায্য করতে পারিনি। তিনি সব সময় আমার স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে নানান পরামর্শ দেন আর সময়ে সময়ে নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহণের কথা বলে ভগ্ন স্বাস্থ্যের কুফল সম্পর্কে সতর্ক করে থাকেন। তবে এবার তাঁকে সতর্ক করার পালা আমার নিজের। গতকাল তাঁর সহোদর ভাইবোনেরা এসে একরকম মন খারাপ করে গেছে তাঁর শরীরের এমন দূরাবস্থা দেখে। এমনকি ছোট ভাইদের সহধর্মিণীগণও তাঁর এমন ভগ্নস্বাস্থ্য দর্শনে মনক্ষুন্ন হয়েছেন।
সারাদিন সাংসারিক কাজকর্ম যথা রান্নাবান্না সহ ছেলেমেয়ের দেখভাল করার মধ্যেই যেন তাঁর পরমান্দ নিহিত আছে। বাস্তবে দিনশেষে যা ঘটছে তা হলো- একজন গৃহিণী বা গৃহকত্রী হিসেবে একটু সময় করে নিজের উপর যেন খেয়াল করার মত তাঁর কোন সময়ই নেই। তাই এখন তাঁকে সতর্ক করা আমার জন্য একটা অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
ছেলের পদোন্নতির সাফল্যে একজন মা যে এমন খুশি হতে পারেন তা সহধর্মিণীর কথা ও কাজে প্রমাণ মিললো অার এমন বাস্তব উদাহরণটি চাক্ষুশ দর্শনে ধন্য হলাম। ভাবলাম, সত্যিই ভাগ্যবান আমি এবং আমার ছেলেমেয়েও। সহধর্মিণীর প্রতি খুবই অবিচার করা হবে যদি আমি একটি বা দুটি প্রসঙ্গ না উল্লেখ করি যদিও বিষয়টি খুবই ব্যক্তিগত।
অলঙ্করণ : প্রীতি দেব
পরিণয়ের পরে আমাদের সংসার জীবন শুরু হবার সাথে সাথে তিনি সংসারের সকল কাজকর্মের দায়-দায়িত্ব নিজে নিজেই অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিজের কাঁধে তুলে নেন। সেনাবাহিনীতে চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন সেনানিবাসে তিন বছর পর পর বদলী হবার কারণে বাবা মা'র সাথে যৌথ পরিবারে একসাথে তেমন একটা থাকা হয়নি। মাঝে মাঝে আমরা ছুটি নিয়ে যেতাম বাবা, মা সহ অন্যান্য ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজনদের দেখতে। আবার কোন কোন সময় বাবা মাও বেড়াতে আসতেন তাদের বড় সন্তান ও বউমাকে দেখতে।
যেটা বলবো বলবো করে এখনও বলা হয়নি সেটা হলো, সংসার জীবনের একদম শুরুর দিকে রান্নাবান্না শেষ করে আমার অফিসে গমনের প্রাক্কালে আমার দুপায়ে মোজা পরিয়ে দিতেও কোনদিন কুন্ঠিতবোধ করেননি আমার সহধর্মিণী। এখন তিনি এমনটি করতে উদ্যত হলে আমি তাকে বাধা দেই, নিষেধ করি। জানিনা এখনকার কোন বউ এমনটি করে কিনা?
সহধর্মিণীর অন্যান্য বিশেষ গুণাবলী আগামী পর্বে বলা যাবে। ঘরের বউটি যদি ভাল মনের হয় আর সেসাথে স্বামীটিও যদি সমমনা হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আর স্বামী স্ত্রীরএমন মধুর সম্পর্কটি কোন কবির নজরে পড়লে কবি তাঁর লেখনীতে নিশ্চয় মনের মাধুরী মিশিয়ে নিমোক্ত চরণগুলো বেশ জোরেসোরেই আওড়াবেন আর সেটাই তো স্বাভাবিকঃ
"কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহু দূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতেই সুরাসুর।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়ে ঘরে।"
ক্রমশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much