১০ জানুয়ারী ২০২১

প্রেমাংশু শ্রাবণ কবির

 


ভালোবাসার জন্মদিন এক


কখন জানি জানালার পাশে বসে কবিতার বই হাতে

বিকেলের গন্ধমাতাল।


বুক ভরে বেখেয়ালি বাতাসের ঝড়,

আর চিবুকে তোমার কিছু

এলোমেলো চুলের আল্পনা।


বাহিরে বৃষ্টি,

ভেজা পাতায় ভেজা পাখির ঘর,

উষ্ণ নিঃশ্বাসে ঝাপসা জানালার কাচ,

ধোয়াটে আকাশে টুকরো মেঘ,

ঘরের বাইরে আর এক ঘর।


আর একদিকে--

আমরা যুবক যুবতী, ছুঁয়ে দেবার সংকোচে বিলীন।

অনন্তকালের মুঠোয় কয়েকটি ভেজা মুহূর্ত! 

অদ্ভুত ভাবে রাখা শিয়রে তোমার হাত,

ঝলমলিয়ে ওঠা হাতের চুড়ি

আর লাল,নীল,হলুদ বেলুনের সারি

জানান দিচ্ছে

আজ এই ঘরে উৎসব।


আজ প্রেমের জন্মতিথি। 

আজ থেকে বহুকাল আগে,

গুহা মানবের রাত্রিরে,

অথবা ঠিক এমনি বৃষ্টির ঝাপসা কোনো বিকেলে

অথবা সন্ধ্যায়

প্রথম কোনো মানব ভালোবেসেছিলো

কোনো মানবিকে।


ওরা প্রেমিক প্রেমিকা,

বিবর্তনের উপহারে আমরা ভালোবাসার মোহ এনেছি,

আমরা এনেছি এই পৃথিবীর জন্য

স্পর্শকাতর প্রেমের ঐশ্বর্য। 


২ এভাবেই আমরা

------

এভাবেই আমরা চিরটাকাল পরস্পরকে 

জড়িয়ে থাকবো

তবু মিলবো না কিছুতেই।

আমাদের চোখ দুটো দেখবে না আমাদের

এতোটা দূরত্বে থাকবো যে

জানবো না

কখন তোমার দিন অথবা আমার রাত্রি!


তোমার শূন্য হাত কখনো  থাকবে না খালি

বরাবরের মতো নতুন চুড়িতে

ভরে উঠবে ড্রয়ার।


তুমি হেসে উঠবে একই রকম

তুমি একই ভাবে ভাসতে থাকবে নোনাজলে,

একই ভাবে এলোমেলো হবে

তোমার বসন

প্রায় একই রকম হবে আমারো।


আমার বা-দিকে হেসে উঠবে নতুন কন্ঠ।


রেস্তোরাঁগুলো কিছুটা বদলে যাবে

চেনা রাজপথে বাতির রঙগুলো যাবে পাল্টে

বুঝবো,সিংহাসনে বসেছে নতুন অধিপতি।


এবং আমরা পরস্পরকে জড়িয়ে থাকবো চিরটাকাল।

তবুও মিলবো না কিছুতেই। 


আমাদের সময়গুলো আর ছুটবে না

একসাথে।

বদলে যাবে আমাদের প্রিয় গানের সুর!


তবু দেখা করবো না

সাহসী অভিসারে উঁকি দেবো না দরজায়।


ডান,বামকে জড়িয়ে আরো কিছুক্ষণ 

পড়ে থাকবো বিছানায়


তুুমি আর আমি আরো খানিটা যাবো সরে,

তবু ছোঁব না কিছুতেই

আমাদের সযত্নে লুকিয়ে রাখা সিন্ধুক।


জমানো অভিমান আর কিছু

মেঘময় স্পর্শ 

হয়তো পাতকুয়া থেকে গড়িয়ে পড়বে

খানিকটা অশ্রুবিন্দু।


তবুও মিলবো না কিছুতেই

কোনো ভাবেই স্থাপিত হবে না

কোনো সংযোগ

অথচ,বারবার আমরা আটকা পড়ে যাবো

সেখানে

তুমি

আর

আমি

শুরু করে ছিলাম

যেখানে



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much