কালো ক্যনভাস
( শেষ পর্ব )
- এখন কি একটু সুস্থ বোধ করছেন?
হঠাৎ প্রশ্নটি শুনে চমকে ইশতিয়াকের মুখের দিকে তাকালো নীলা। কোন উত্তর না দিয়ে তীর্যক দৃষ্টিতে ইশতিয়াকের দিকে তাকাল সে। মনটা তেতো হয়ে গেছে তার। লোকটা কি নির্লজ্জ নাকি তাকে চিনতে পারেনি ? কাকে জিজ্ঞেস করবে নীলা ? ইচ্ছে করছিলো ইশতিয়াকোর দুই গালে কষে দুইটা থাপ্পর মারতে । দাঁতে দাঁত চেপে কড়মড় করে তাকিয়ে রইল নীলা। তাঁর কপালে বিরক্তির ভাঁজ পরেছে। ব্যাপারটা লক্ষ্য করে ইশতিয়াক একটু অপ্রস্তুত হলো। সেও ভাবছিলো মেয়েটি তার দিকেই বিরক্তি প্রকাশ করছে কেন ? ও আসলে কে ? কত মেয়েকেই তো সে চেনে ঘনিষ্ঠ ভাবে। সে কি তাদের কেউ ? তবে যেই হোক মেয়েটি কিন্তু দারুন সুন্দরী। একবার তাকিয়ে চোখ ফেরানো যায়না। মনে মনে একটু খুশিই হলো তাঁকে সহকর্মী হিসেবে পেয়ে । সুযোগ বুঝে একদিন খুব করে তাঁর রূপের প্রশংসা করতে হবে। কারন রূপের প্রশংসা করলেই মেয়েরা গলে যায়। ইশতিয়াক কে নির্লজ্জের মত তাকিয়ে থাকতে দেখে এবার নীলা মুখ খুলল
- আমাকে চিনতে পেরেছেন স্যার ?
হেসে ইশতিয়াক বলল
- আমারও কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে আপনাকে কে বলুন তো !
এক সেকেন্ড দাঁতে ঠোঁট কামড়ালো নীলা। তারপর বলল
- আমি নীলা সেই যে আমাকে আর আমার ভাই নয়নকে পড়াতেন আপনি। আমার আব্বুর নাম জালাল আহমেদ। কাউকে কিছু না বলেই আমাদের বাসা থেকে চলে গিয়েছিলেন। আপনি কি সেদিন পালিয়ে গিয়েছিলেন স্যার ?
প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিয়ে ইশতিয়াকের দিকে তাকিয়ে রইল নীলা। মুহূর্তের মধ্যে ফ্যাকাসে সাদা হয়ে গেল ইশতিয়াকের চেহারা। কপালে দেখা দিল বিন্দু বিন্দু ঘাম। পা দুটোও মনে হল কাঁপছে। সেই নীলা যেন যমদূত হয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। সত্যি ই সেদিন পালিয়ে গিয়েছিলো ইশতিয়াক কিন্তু একবারের জন্যও মনে হয়নি এতদিন পরে এসে কৈফিয়ত দিতে হতে পারে। ইশতিয়াকের অবস্হা দেখে এতক্ষনে একটু মুচকি হাসি ফুটে উঠল নীলার ঠোঁটের কোনায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much