চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়" আজ তৃতীয় দিন।
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
ঊদাসী মেঘের ডানায়
( পর্ব ছয়)
জঙ্গল ঘেরা গ্রামগুলি ঘুরে ঘরে দেখছে
গ্রামের চাষের মাঠে আদিবাসি মেয়েরা লাঙ্গল টানছে
নীলগিরি হিলস দেখে মনে হচ্ছে বিধাতার কি নিপূণ সৌদর্ষে নিজ হাতে সাজিয়েছেন এই অসামান্য প্রকৃতি
সব ক্লান্তি ধুয়েমুছে এক ধরনের মগ্নতায় আচ্ছন্ন করে
রেখেছেন,মনে জাগে রোমান্স।
আদিবাসীদের ভাষা রীতিনীতি সমাজ ব্যাবস্হার
মধ্যদিয়ে এসব জায়গা কল্পকথার বিষয়বস্তুু
জঙ্গলাকীর্ণ অন্ঝল এখানটায় কম চাষের মাঠ ও খুব
কম কিছুটা যেনো শহরে রূপান্তরিত হয়েছে কেবল
প্রকৃতির মনোলোভা দৃশ্যগুলো এখনো রয়েছে বিধায়
পর্ষটকরা ছুটে আসেন।
ঘুরতে ঘুরতে খেয়াল হলো সন্ধ্যার মুখে সূর্য চলে গিয়েছে,পাহারের কোল থেকে মেঘেরা উদাও পূর্ণিমা
তার আগমনি বার্তা জানাচ্ছে।
ফিরে এলে রেষ্ট হাউজে।রাতের ডিনার সেরে নিলো
নয়টায় তারপর দুজনাই খোলা বারান্দায় এসে দাঁড়ালো, পূর্ণিমা তার রূপের ডালি ছড়িয়ে দিয়েছে
পাহারের গায়ে কি অপরূপ সেই আলো।
কখন যে অপু পিছনে দাঁড়িয়ে তৃষ্ণার কাঁধে হাত রেখেছে কেউই বুঝতে পারেনি এতোটাই তন্ময়
হঠৎ তৃষ্ণা বললো ধন্যবাদ অপু তুমি না নিয়ে এলে
দেখাই হতোনা পূর্ণমার রহস্যময় এই রূপ।
আমি তো দেখছি আরএকটি পূর্নিমার আলোয় তোমার অবয়ব জুড়ে কি তার আর্কষণের ক্ষমতা
আমাকে টানছে অয়কান্ত মনির মতো এক আলোকিত
চুম্বকের মতন।
তৃষ্ণা ওর মুখোমুখি ঘুরে দাঁড়াতেই অপু আলতো করে তৃষ্ণার কপালে চুমু দিয়ে বললো -
ঃ অনেক কিছু পেলাম, আজ এই পর্ষন্ত বাকির খাতা সময় মতন পূর্ণ করে নিবো।
এবার চেয়ার টেনে অপু তৃষ্ণাকে বসতে বলে
নিজেও বসলো তৃষ্ণা অপুর কাঁধে মাথা রেখে পূর্নিমা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লো।
অপু ওর চুলে হাত বুলাতে বুলাতে চেয়ারেই ঘুমিয়ে
পড়েছে...।
চলবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much