চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"
বনফুল
( ২৪ তম পর্ব )
হঠাৎ করে সৈকতের ফোন বেজে উঠল। সৈকত ঘুমিয়ে পড়েছিলো ফোন বাজতে ঘুম ভাঙ্গলো, ফোন হাতে নিতেই চমকে উঠলো! অহনা ফোন করেছে।
ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে অহনা বললো আসলামু য়ালাইকুম,
সৈকত প্রতিউত্তরে অভিবাদন জানালো ওয়ালাইকুম আসসালাম ,
অহনা বললো কেমন আছেন ভাইয়া?
সৈকত ভালো আছি, তুমি? হুমম আমিও.... ; না মানে ভাবলাম নাম্বার যখন এনেছি একবার ফোন দিই।
খুব ভালো করেছো, আমি ও ফোন দিতাম না, ঠিক তা নয়, হয়তো সকালে ফোন দিতাম। তুমি আগে ফোন দেওয়ায় তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অহনা, আমি খুব খুশি হয়েছি।
অহনা বললো ভাইয়া,জুঁইদের বাড়িতে যে রক্তকরবী ফুল টা বুকপকেটে ভরে দিয়েছিলাম, সেটা কোথায় রেখেছেন?
ওহ্,ওটা জামার বুক পকেটেই
আছে।
মশাই কোথায় রাখতে বলেছিলাম?
সেখানেই রাখতাম, কিন্তু আমরা দুজন একই ঘরে, তাই..…
ওহ্, লজ্জা করছে! ঠিক আছে, সকালে একবার দেখবেন সে কেমন আছে।
সৈকত আমতাআমতা করে জবাব দেয়,নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই দেখবো।
তাহলে এখন রাখছি,
গুডনাইট....।
সৈকত ও বললো গুডনাইট।
এভাবেই চলে গেল দুইমাস।
আগামী কাল পলাশের রেজাল্ট পাবলিশ হবে,এটা ভেবে ভেবে জুঁই এক ফোঁটা ঘুমতে পারলো না!
খুব সকালে উঠে রেডি হয়ে নিচে নেমে এলো জুঁই। সামান্য কিছু খেয়ে মাকে বললো, আম্মু বেরোচ্ছি।
জুঁইকে বেরোতে দেখে ড্রাইভার তারাহুরো করে গাড়ি বের করলো।জুঁই গাড়িতে উঠে বললো ভার্সিটিতে যাবো।
এই টাইমে রাস্তায় বেশ জ্যাম থাকে। ভার্সিটিতে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে দশটা বেজে গেল। গেটের ভেতর ঢুকতেই হৈচৈ শোনা যাচ্ছে। একটু সামনে এগোতেই দেখতে পেলো জুঁইয়ের পরিচিত একজন সিনিয়র আপু কে।
জুঁই তাকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে আপু?এতো হৈচৈ কেন?
আপু উত্তরে জুঁইকে বললো একটা ছেলে রেকর্ড মার্কস পেয়ে পাশ করেছে, এই নিয়ে সবাই আনন্দ করছে।
ছেলে মেয়েদের এতো ভীড় যে জুঁইয়ের পক্ষে কিছুতেই সামনে এগিয়ে জানা সম্ভব হচ্ছিল না,কোন ছেলেটাএতো
ভালো রেজাল্ট করেছে।
এর কিছুক্ষণ পরেই পলাশকে গেটে ঢুকতে দেখে ওর মেসের সব বন্ধুরা পলাশকে কাঁধে তুলে হৈচৈ শুরু করলো। এবার জুঁইয়ের বুঝতে বাকি রইলো না কে সে ব্যক্তি......
জুঁই য়ের দুচোখের পাতা ভিজে গেলো আনন্দাশ্রুতে।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much