চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
উদাসী মেঘের ডানায়
(পর্ব ২৭)
দুই বাড়িতে আনন্দে মেতে আছে সবাই, আত্বীয়- স্বজনদের নিয়ে। তৃষ্ণা অপু কখনো সামিয়াকে নিয়ে
মার্কেটিং এ ব্যাস্ত। কাল গায়ে হলুদ কেনাকাট
শেষ করে বাসায় ঢুকতেই তৃষ্ণাকে বললো- আর কিন্তু মার্কেটে যাওয়া নয়, সব কেনাকাটা শেষ।?
তৃষ্ণা- মা আর কেনাকাটা নেই।
মা-কি হাল,করেছো এই কয়দিনে চেহারার, যাও হাতমুখ ধুয়ে খেয়ে রেষ্ট নাও। আজ আর রাত জাগবেনা।
এই বলে চলে গেলেন রান্নাঘরে।
সামিয়া-সত্যি রে তোকে ক্লান্ত দেখাচ্ছে, আজ একটু কম কথা বলিস পরশুদিন চলে যাবি তখন যত পারিস গল্প করিস।
তৃষ্ণা- অপু কথা বললে আমি কি করে মানা করি বলো!
সামিয়া - আমি বলবো না হয়।
তৃষ্ণা- না-না তুমি কিছু বলবেনা।
সামিয়া হেসে বললো-আচ্ছা যা বলবোনা।
তৃষ্ণা- সামিয়া আকাশটা কেমন থমথমে ভাব মেঘ করেছে, বৃষ্টি হবে মনে হয়।
সামিয়া- হবে মনে হয়না,বেশ ঝিরঝিরানি বৃষ্টি হচ্ছে,
এই তৃষ্ণা একটা কথা মনে পড়লো।
তৃষ্ণা- কি কথা?
সামিয়া- মা বলে জন্মের সময় বৃষ্টি হলে বিয়ের সময়
বৃষ্টি হয়।
তৃষ্ণা- এসব মুরুব্বীদের মন গড়া কথা।
সামিয়া- আমি খালাকে জিগ্যেস করে আসি এই বলে
চলে গেলো।
তৃষ্ণার মনটা অস্হির অপু কখন ফোন করবে।
এমন সময় অপু ফোন করে বললো- আরও দুটো দিন ধোর্য ধরতে হবে। তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে আসি।
তৃষ্ণা- মাথা খারাপ অপু তোমার বাসায় ছোট চাচা চাচিমা খালা বোনরা এসেছে, কি ভাববে বলোতো?
তাহলে ভিডিও অন করো একটু দেখবো।
ভিডিও অন করতেই অপু রবি বাবুর কবিতা পড়লো-
"হে অচেনা
দিন যায় সন্ধ্যা হয় সময় রবে না
তীব্র আকস্মিক,
বাধা বন্ধন ছিন্ন করে দিক
তোমারে চেনার,অগ্নী দীপ্ত শিখা উঠুক উজ্জ্বলী
দিবো তাতে জীবন অন্জলী"
আমি জানিনা তৃষ্ণা আজ কেন জানি তোমাকে আরও
কাছে পাবার জন্য আমার আবেগের দুয়ার ভেঙ্গেছে
প্রাণের ভাষা যেনো ডানা মেলে দিয়েছে।
তৃষ্ণা- এতো ভালোবাসার সুখ আমার সইবে তো?
অপু- এসব বলতে হয়না, বিধাতারই লেখা নয়তো
কেন আবার দেখা হলো দুজনার, তাইতেো তোমার
মাঝে, আমি আমাকে খুঁজে পেয়েছি।
আর শোন কালকে গায়ে হলুদের ভিডিও ছেড়ে রাখবে
প্রতিটি মুহূর্ত আমি দেখতে চাই।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much