০৫ নভেম্বর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"১৮

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 





বনফুল
                     ( ১৮ তম পর্ব) 
 

জুঁই উপরে উঠে হাত পা ছেড়ে শুয়ে পড়ল,ঘড়িতে তখন তিনটে বাজে। ফোনটা হাতে নিয়ে পলাশকে ফোন দিল, ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠে বললো কেমন আছো জুঁই ? স্যরি জুঁই আমি আর তোমাকে ফোন দিতে পারিনি! এপাশ থেকে জুঁই বললো its Okay আমি তো দিচ্ছি, মোট কথা একজন দিলেই হলো।
আমিও ব্যস্ত ছিলাম তাইতো তোমাকে ফোন দিতে পারিনি, এখন বল তোমার বন্ধু কেমন আছেন?  
হুমমম ভালো আছে, এতক্ষণ পর্যন্ত তোমার গল্পই হচ্ছিল..... 
জুঁই হাহাহা হাহাহা হাহাহা  হেসে উঠলো! আমায় নিয়ে আবার গল্প করার কি আছে, আমি সাদামাটা একটা মেয়ে মাত্র,আমি তো ক্লিওপেট্রা নই। আচ্ছা তোমাদের বন্ধুত্বের গল্পে ভাগ বসাতে চাই না, কালকে ঠিক সময়ে চলে এসো। ফোন রাখছি বাই বাই বলে জুঁই ফোন কেটে দিলো। কিছুক্ষণ চুপ করে শুতেই ঘুমিয়ে পড়েছে জুঁই। পাঁচটায় জুঁয়ের ঘুম ভাঙ্গলো, হাতমুখ ধুয়ে নিচে নেমে আসতেই ময়না জিজ্ঞেস করলো আপামনি আপনাকে চা দেবো না কফি?  
জুঁই বললো কফি দাও সাথে হালকা কিছু স্ন্যাকস দিও।
আজ জুঁয়ের মা ভীষণ ব্যস্ত কালকে বাসায় মেহমান আসবে, তাই আজ থেকে সব কিছু গুছিয়ে রাখছে, যেন সকালে নাস্তার পরই একে একে সব রান্না করে নিতে পারেন।
আজ জুঁই বাবা-মায়ের সঙ্গে চুটিয়ে গল্প করলো রাত দশটা পর্যন্ত, তারপর ময়না টেবিলে খাবার পরিবেশন করেছে। বাবা-মা মেয়েতে ডিনার শেষ করে। গুডনাইট বলে জুঁই  উপড়ে উঠে এলো। 
দাঁত ব্রাস করে ফ্রেস হয়ে জুঁই শুতে যাওয়ার আগে নিজেকে একবার আয়নায় দেখে নিলো।তারপর ভাবলো কালকে কি ড্রেস পরবে।কোন বডি স্প্রে টা পলাশ কে বেশী আকর্ষণ করবে,এইসব ভাবতে ভাবতে একটা চুড়িদার ওড়না, ইনার গার্মেন্টস সবকিছু গুছিয়ে রাখলো।পড়ার টেবিলে একটা ফটো ফ্রেমে নিজের একটা হাল্কা পোশাক পরা ছবি লাগিয়ে বসিয়ে দিলো।আবারও আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বিনুনি দুটো পেছন থেকে সামনে এনে বুকের দুপাশে দুলিয়ে দিয়ে নিজেকে দেখে নিজেই হেসে ফেললো। প্রতিবিম্ব কে যেন নিজেই প্রশ্ন করলো",উঁ এইটুকু মেয়ে আবার প্রেম করে"।ঠোঁটের ওপর হাল্কা করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে মুখটা এঁকিয়ে বেঁকিয়ে নিজেকে মুগ্ধ হয়ে দেখছিলো,এমন সময় 
 পলাশ একটা গুড নাইট মেসেজ পাঠালো।ফোনটা হাতে নিয়ে পলাশ কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,তোমার বন্ধু কি ঘুমিয়েছে, না-কি এখনো আমাকে নিয়েই.....। পলাশ বললো, এতোক্ষণে ঘুমিয়েছে বলেই তো শুভ রাত্রি জানাতে দেরি হয়ে গেলো।
একটা মিষ্টি হাসির মৃদু শব্দ শুনিয়ে পলাশ কে শুভ রাত্রি জানিয়ে জুঁই ঘুমাতে গেল।


                                                                                                                                      চলবে। ....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much