২৭ ডিসেম্বর ২০২১

রাবেয়া পারভীন/১ম পর্ব

শুরু হলো রাবেয়া পারভিনের নতুন ধারাবাহিক গল্প " দুরের বাশিঁ "




দুরের বাঁশি
(১ম পর্ব)



দুইদিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থেকে অস্থির হয়ে উঠেছে লাবন্য। অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছিলো হাসপাতালে, খুব যত্নআত্তিও পাচ্ছে তবুও যেন হাঁপিয়ে উঠেছে,। মনে হচ্ছে  কারাগার। দুই বেলা ডাক্তার আসছে  দেখছে । এক ডাক্তার তো এসেই দাঁত কেলিয়ে  হাঁসে অযথাই  ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করে  করে  ঝালাপালা করে দিচ্ছে লাবন্য কে। একেক সময়  মনে মনে হাঁসিও পায় লাবন্যর। এই দুনিয়ায় কত রকমের মানুষ যে আছে। গতকাল  সারারাত ঘুম হয়নি  লাবন্যর।  ভোর বেলা বিছানা থেকে নেমে কেবিনের বারান্দায়  এলো লাবন্য।  বারান্দাটা  পূব দিকে তাই আজকে  সূর্য উঠা ভোর দেখবে সে। চারপাশে  আবছা অন্ধকার। অন্ধকার ভেদ করে  আলো ফুটছে চারপাশে।  কি মিষ্টি  সকাল, মৃদুমন্দ  হাওয়া বইছে। এমন সুন্দর একটা ভোরে  শুভকে যদি  কাছে  পাওয়া  যেত। শুভর হাতে  হাত রেখে সূর্য  উঠা দেখতে পারতো । লাবন্যর এলো চুলে  হাত বুলিয়ে দিত।   ভাবতে  চেষ্টা করলো লাবন্য  শুভ এখন কি করছে ?  নিশ্চই  ঘুমাচ্ছে। ওকে কখনো জিজ্ঞেস করা হয়নি  খুব ভোর বেলা সে ঘুম থেকে উঠে কিনা ।  আস্তে আস্তে  সূর্য দেখা দিল আকাশে  কি সুন্দর !  একটুও তেজ নেই। লাল টুকটুকে  ঠিক যেন ভোরের আকাশের  কপালে গোল টিপ।   ঐ সূর্যের মত  বড় আর লাল টুকটুকে একটা টিপ কপালে পরবে একদিন  লাবন্য  তারপর শুভকে দেখাবে  বলবে 
-দেখোনা  শুভ আমাকে কেমন লাগছে ?
শুভর মুখটা মনে করে  নিজের মনেই হাসলো লাবন্য।  কি যে সুন্দর  মুখটা শুভর । ঐ মুখে চেয়ে চেয়ে পার করে দেয়া যায় অনন্ত কাল। নির্ঘুম সারারাত শুধু শুভকেই ভেবেছে আচ্ছন্নের  মত  শুয়ে থেকে মনে হয়েছে  শুভ যেন তাঁর বুকের কাছটিতে এসে বসেছিল। খুব খুনশুটি করছিলো  আর উপভোগ করছিলো লাবন্য।  একটা অজানা ভালোলাগায় ভরে ছিলো  মন।


চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much