বনফুল
( ৫০ তম পর্ব )
শান্তা কামালী
বিকাল পাঁচটা বাজতেই জুঁই ছাদে উঠে প্রিয় ফুলের গাছ গুলোতে পানি দিচ্ছে আর দেখছে গাছগুলো কেমন ফুলে ফুলে ভরে উঠছে,ভীষণ সুন্দর লাগছেব ! ছাদে উঠে জুঁইয়ের মনটা ঝরঝরে হয়ে গেলো,ঘন্টা খানিক সময় ছাদেই কাটিয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নিচে নেমে এলো জুঁই। বেসিনে হাত মুখ ধুয়ে বাবা-মার জন্য অপেক্ষা করছে কখন ওনারা নামাজ শেষ করে আসবে... ময়না টেবিলে নাস্তা পরিবেশন করছে, জুঁইয়ের মা-বাবা নামাজ আদায় করে এলেন। জুঁই বাবা-মার সাথে চা নাস্তা খেয়ে উপরে উঠে এলো। অনেক দিন পড়াশোনার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই....
পড়ার টেবিলে বসে তিনঘণ্টা সময় পড়তে চেষ্টা করলো জুঁই। দশটা বাজতেই জুঁই নিচে নেমে এসে ডিনার শেষ করে বাবা-মাকে গুডনাইট বলে ওপড়ে উঠে গেলো। রাত প্রায়এগারোটা পলাশ যাওয়ার পরে এই প্রথম ভিডিও কল করলো জুঁইকে, আনন্দে বাকরূদ্ধ হয়ে গেছে জুঁই।কোনো রকম কথা বলছে না দেখে পলাশ বললো এই জুঁই কি হয়েছে তোমার, কথা বলেছো না কেন ?
পলাশের কথায় জুঁই নিজের মধ্যে ফিরে এলো...
জুঁই বললো আগে তোমাকে ভালো করে দেখতে দাও, পলাশ তুমি কিন্তু অনেকটা রোগা হয়ে গেছো।
পলাশ হাহাহা হাহাহা করে হেসে উঠলো জুঁই তুমি সত্যি সত্যিই একটা বদ্ধ পাগলী ।
অনেক সময় দু'জনে কথাবার্তা বললো। এখন পলাশ ভার্সিটি কাছে স্থানীয় একটি বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসাবে একটা সিঙ্গেল রুমে থাকছে। এইজন্যই ভিডিও কল করা সম্ভব হয়েছে । পলাশ বললো জুঁই আস্তে আস্তে পড়াশোনায় একটু মন দাও, শরীরের প্রতি যত্ন নিও লক্ষীটি ।
এখন রাখছি, গুডনাইট পলাশ ফোন রাখার আগে একটা ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিলো জুঁই, বললো সেম টু ইউ, গুডনাইট।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much