১০ অক্টোবর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ৮

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল"




                                                                              বনফুল
                                                                              ( ম পর্ব ) 

ওটা আপনি আমার উপর ছেড়ে দিন, এইবার পলাশ জুঁইয়ের দিকে তাকিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।জুঁই প্রশ্ন করলো উত্তরটা এখনো জানা
হলো না? 
মৃদু স্বরে পলাশ বললো জুঁই তোমার ভালোবাসা প্রত্যাখান করার সাহস আমার নেই। মুহূর্তে জুঁইয়ের মুখ হাসোজ্জল  হয়ে উঠলো, পলাশের দিকে তাকিয়ে জুঁই বললো অনেক ভালোবাসি..... 

উত্তরে পলাশ বললো সেম টু ইউ। ওদের কফি খাওয়া শেষ, পলাশ জুঁইকে বললো চলো ওঠা যাক,
 জুঁই হুম বলে উঠতে গেলো, অমনি মাথা কেমন চক্কর দিয়ে উঠলো। পলাশ জুঁইকে ধরে আবার  চেয়ারে বসিয়ে দিলো। মিনিট দুয়েক বসে জুঁই পলাশকে বললো চলুন, পলাশ জুঁইকে বললো বেশি খারাপ লাগলে আরো পাঁচ মিনিট বসে রেস্ট নাও, জুঁই বললো না ঠিক আছে চলুন। জুঁই গেটের দিকে এগোতে এগোতে ড্রাইভার কে ফোন দিয়ে সামনে আসতে বললো।জুঁই আবার বললো, আমি কিন্তু আপনাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে যাব।
পলাশ জুঁইকে বললো তুমি কি আপনি করেই বলবে? 
অলরেডি গেটের সামনে গাড়ি নিয়ে ড্রাইভার অপেক্ষা করছে, দুজনেই গাড়িতে উঠে বসলো জুঁই পলাশকে বললো এখন থেকে  আমাকে ফোন দেবে তো? পলাশ উত্তরে বললো না দিয়ে উপায় আছে! এই প্রথম পলাশ জুঁইয়ের হাতটা ধরে টুস করে একটা চুমু খেলো,  মুহূর্তেই জুঁইয়ের শরীর শিউরে উঠলো.... 

এজিবি পয়েন্ট এসে গাড়ি ব্রেক কষলো, পলাশ জুঁইকে টেক কেয়ার বলে গাড়ির দরজা বন্ধ করে হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ে হাঁটতে শুরু করলো।
জুঁই বাসায় পৌঁছাতে ঘড়িতে আড়াইটা বেজে গেল। মেয়েকে দেখে মা বললেন 
ময়নাকে টেবিলে খাবার দিতে বলবো, জুঁই মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।বেসিনে গিয়ে হাতে মুখ ধুয়ে এসে টেবিলে বসলো। খেতে খেতে বেশ কিছুক্ষণ গল্পগুজবও হলো তিনজনে। ওয়াজেদ সাহেব মেয়েকে এতো খোশ-মেজাজে দেখে বেশ আনন্দিত, সাথে মা মনোয়ারা বেগমও  কম খুশি নন।জুঁই মাকে বলে উপরে উঠে গেল।
রুমে ঢুকে কাপড় চেঞ্জ করে বিছানায় শুয়ে পড়বে, হঠাৎ কি মনে করে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে একবার দেখে নিলো,টিশার্ট ট্রাউজারে বেশ লাগছে।শুয়ে এপাশ-ওপাশ করে কখন ঘুমিয়ে পড়লো....
ঘুম ভাঙ্গলো ছয়টায়, ওয়াশরুম ঢুকে ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে এসে ময়নাকে ডেকে চা-নাস্তা দিতে বললো।

                                                                                                                                          চলবে....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much