চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
উদাসী মেঘের ডানায়
(১০ম পর্ব)
তৃষ্ণা মনটা খারাপ নিয়েই বাসায় ফিরে এসে শাওয়ার
সেরে চুপচাপ বিছানায় শুয়ে পড়লো।
তৃষ্ণার মা রাবেয়া খাতুন চিন্তিত হলো, মেয়েতো অফিস থেকে এসে মার সাথে গল্প করে চা খায় আজ কি হলো বুকের ভিতরটা একটা ভয়,কাজ করলো অপুর সাথে কিছু হয়নিতো।
বিছানায় যেয়ে বসে মেয়ের মাথায়,হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো - শরীর খারাপ লাগছে।
-না মা মনটা বড্ড খারাপ
-কি হয়েছে বল।
মাকে সামিয়ার কথা আজ সব খুলে বললো।
মা -সত্যি বলতে কি লোকটা অমানুষ ,কথায়, কথাায় বউয়ের গায়ে হাত তোলে।লেবু বেশি চিপলে
তিতা হয়ে যায়, যেদিন সামিয়া প্রতিবাদ করবে
আল্লাহ জানেন কি হবে।
মন খারাপ করে কি করবি, চল চা খেয়ে নেই।
- না মা তুমি জানোনা সমিয়া অফিস থেকে বাসায়
ফিরে গেলে কাপড় ও চেন্জ করারা সুযোগ পায়না,
উনার অফিস থেকে ফোন করে দুনিয়ার কাজ চাপিয়ে দেয়।স্বাভাবিক রোজ কি ভালো লাগে ওর তো
ইচ্ছে করে একটু বিশ্রাম নিতে।কখনো যদি না করে
বাসায় এসে দেখে করিয়ে ছাড়বে কথা বললেই গায়ে
হাত দিবে।ওকে সান্তনা দেবার ভাষা আমার জানা নেই
খারাপ লাগে কলিগ বলে নাম ধরে ডাকি, সামিয়া
কিন্তু আমাকে ছোট বোনের মতন ভালোবাসে।
মা- আয়তো চা খাবোনা আমি একা
চা,খেয়ে এসে বারান্দায় বসলো ঠিকই চোখের সামনে
ভেসে উঠলো একটি বছরের বিবাহিত জীবনের দূর্বিসহ অতীত যা আজও সাঁতারে কাটে সেই দিনগুলে বর্শার ফলার মতন বিঁধে আছে।
এমন সময় ফোনটা বেজে উঠতেই মূহুর্তেই অতীতের
বোঝা সরে মনের আঁধার কেটে গেলো।
দুজনই ঠিক করলো শুক্রবার কোথায় বেড়াতে যাবে।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much