জারজ ও নিষ্পাপ মানব
সভ্য যুগের অচেতচিত্ত মানব অসভ্য আদিমতায় মত্ত-
বিবেকচ্যুত মানুষ কি জলাঞ্জলি দিয়েছে মনুষ্যত্ব?
নিকষ অন্ধকারে অন্তরালে চলে সভ্য জীবনের নষ্টামি -
কখনো পথের পাশে পোড়োবাড়ির অন্দরে ঝোপঝাড়ে-
কখনো দেখি বা শুনি নোংরা ডাস্টবিনে -
পড়ে থাকা সদ্যপ্রসূত পরিতক্ত শিশুর ক্রন্দন।
অনিচ্ছা সত্বেও হিংস্র জন্তুর বলাৎকার -
জবরদস্তি ধর্ষণ- নখ দংশনে আত্মসমর্পণ।
হয়ে যায় চরম ক্ষতি কুমারী সতীত্বের মরণ-
এক নিষ্পাপ প্রকৃতিও সহসা হলো গর্ভবতী যেন -
শেষে নষ্ট ভ্রুণ- নয়তো ভূমিষ্ঠ এক অপুষ্ট সন্তান-
পরিচয় হীন হয়ে ঘৃণা সহে বেঁচে থাকে সারাজীবন।
নিষ্পাপ শিশুর আজীবন কলঙ্ক হতে নেই পরিত্রাণ-
সে জানলো না কি তার পরিচয় কাদের সে পাপের ফল-
যতদিন বেঁচে রবে অন্তর্দাহে বয়ে যাবে অশ্রু অনর্গল।
কেউ বলবে অনাথ কেউ বলবে জারজ বা বেজন্মা-
এ জীবন তার যেন অভিশাপ অসহন অনুতাপ -
আজ মানুষ হয়েও কেন হই আমরা এতো অবুঝ?
এতো নিষ্ঠুর অমানবিক এই বিচার কি সঠিক?
সভ্য মানুষের সভ্য সমাজের এহেন ব্যবহারে শত ধিক।
মানুষের কি থাকবে না এতোটুকু বিবেচনা হুঁশ?
অনাথ বেজন্মা সেতো নয় সেও নির্দোষ নিষ্পাপ- মানুষ!
তারও সম্মানের সাথে বাঁচার অধিকার এই পৃথিবীতে-
সেও বাঁচুক সবার আশ্বাসে বিশ্বাসে ক্ষতি কি তাতে?
কি দোষে করবো আমরা ঘৃণা অপমান তারে-
ভাঙি অন্তস্তল বারেবারে, আঘাত হানি কেন, -বলো কেন?
এসো বন্ধুরা ভাবতে শিখি,অবোধে,অধর্মের অবিচারে নয়
আমরা দিই এবার সত্যিই শিষ্ঠাচার মানুষের - পরিচয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much