কাল্পনিক রাজকন্যা
নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)
অবিশ্রান্ত বর্ষা শহর জুড়ে,
আমার চোখে তখন আবীর রাঙা বসন্তের আগমন ,
এলোমেলো চারধার।
চিরপরিচিত রাস্তায় চলছে ভালোবাসার প্রতিদ্বন্দ্বিতা,
দ্রুতবেগে ধাবমান কোন গাড়ির চালকের ভূমিকায় ....
তুমিও আমাকে টেনে নিয়ে চলেছো-
চিরবসন্তের কোন অচেনা গ্রামে !
নিঃশব্দে শিশিরের বিন্দু ভিজিয়ে দিয়েছে আমাদের আপাদমস্তক,
শতঝর্ণা খেলা করছে তোমার এলোচুলে।
এখন তুমিও রক্ত- মাংসে গড়া লিওনার্দোর মোনালিসা,
আর আমি নিখুঁত কোন গ্রীক যুবক।
বাস্তবিক সংসারের সাথে এভাবেই সহাবস্থানে দিব্যি বেঁচে আছে,
আমার স্বপ্নের রাজকন্যা।
প্রতিদিনের একঘেয়ে জীবনও মাঝে মাঝে খুব প্রিয় হয়ে ওঠে,
একটানা বৃষ্টি রচনা করে প্রেমের কবিতা ;
যে জীবন শুধু গদ্যময়,
যে জীবনে নিত্যদিনের সঙ্গী অভাব !
সে জীবনও কাব্যিক হয়ে ওঠে!
যদি তুমি হাতে হাত রেখে দিয়ে যাও
প্রতিশ্রুতি.......
আজীবন সাথে থাকার!!
কয়েকবার মৃত্যু কড়া নেড়ে ফিরে গেছে
প্রিয়তমা,
আমার বেদনার্ত চোখে সে পারেনি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে !
যে চোখে তুমি করেছো স্থাপন প্রেমের রাজত্ব,
সে চোখ তাই চির অপরাজিত অহংকারী মৃত্যুর কাছে।
বাস্তবিক সংসারে ভালো থাকতে চেয়েছিল
যে পথিক !
সেও আজ আনমনে খুঁজে চলেছে আশ্রয় তোমার আবেগী দৃষ্টিতে !
তুমিও তাই হয়ে উঠেছো আরো মোহময়ী;
আমার তোমার পাতানো সম্পর্কের লৌহজালে।
মনের বিনিময়ে মন নাকি শুধুই নিঃস্বার্থ প্রেম!
অস্বীকৃত সম্পর্কে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much