আজ থেকে শুরু হলো নতুন ধারাবাহিক "ক্যানভাস "
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
কালো ক্যানভাস
(১ম পর্ব)
নীলার মনটা খুব ফুরফুরে হয়ে আছে। আজকে সে একটা সরকারী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেবে। বেশ সময় নিয়ে শাড়ী বাছাই করছিলো । প্রথম দিন কোন শাড়ীটা পরবে। খুব সাধারণ কিন্তু ব্যক্তিত্বপূর্ণ হতে হবে। শেষ পর্যন্ত হালকা নীল চওড়া রুপালী পাড়ের একটা শাড়ী বেছে নিল সে। সাথে সাদা রংগের একটা ব্লাউজ । চোখে কাজল ঠোটে হালকা গোলাপী লিপষ্টিক। সাজগোজ শেষ হবার পর নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আয়নায় দেখল কয়েকবার। মুচকি হেসে নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচাল নীলা।
" কি মাস্টারনী কেমন লাগছে ? " তারপর জোরে হেসে উঠল। নীলার মা চা নিয়ে এলেন মেয়ের জন্য। হাসির শব্দে জিজ্ঞাসু চোখে মেয়ের দিকে তাকালেন, " কিরে! নীলা একা একা হাসছিস কেন ?
মায়ের দিকে চেয়ে মায়ের হাতথেকে চায়ের কাপটা নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের উপরে রেখে হাত বাড়িয়ে মাকে বুকে জরিয়ে ধরে একটা ঘুরপাক খেল।
-আমার খুব আনন্দ লাগছে মা তাই হাসছি । আজকে মনে হচ্ছে আমিও পারি। পারব পুরুষদের পাশাপাশি তাঁদের সমমর্যাদার কাজ করতে।
ততক্ষনে মায়ের চোখেও চিক চিক করছে আনন্দাশ্রু।
মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে মেয়ের কপালে চুমু খেলেন।
- আমার লক্ষি মেয়ে, অবশ্যই পারবি। নে এবার চা টা খেয়ে রওনা হ। তোর আব্বু গাড়ী নিয়ে বসে আছেন তোকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে যাবেন।
- এইতো যাচ্ছি মা দোয়া করো।
সেন্ডেল পায়ে গলিয়ে , বাইরে বেরিয়ে এলো নীলা। আব্বু অনেকক্ষন। ধরে অপেক্ষা করছিলেন
- সরি আব্বু তোমাকে দেরি করিয়ে দিলাম। দেখতো আব্বু আমাকে কেমন লাগছে ?
মেয়ের আনন্দ দেখে খুব ভালো লাগলো জালাল সাহেবের। সেই ছোট্ট নীলা তার আদরের মেয়ে আজকে কলেজের লেকচারার। হয়েছে। বাবা হিসেবে তাঁর বুক গর্বে ভরে উঠল।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much