ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর অসাধারন সৃষ্টি। লিখতে সহোযোগিতা করুন লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা
সহধর্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা
(৮ম পর্ব)
পৃথিবীতে হরেক রকমের সম্পর্ক বিদ্যমান আছে। মা, বাবা, ভাই, বোন, চাচা, চাচী, ফুফা, ফুফু, ছেলে কিংবা মেয়ে ইত্যাদি। সম্পর্কগুলি স্ব স্ব ক্ষেত্রে ইউনিক বা অনন্য। তবে প্রধান সম্পর্ক হলো দুটি।তাহলো আপন ও পর। স্ত্রীর সাথে স্বামীর সম্পর্কটি বর্ণিত কোন ক্যাটাগরীতে পড়বে তা বলাটা সত্যিই মুস্কিল।
হয়ত এভাবে বলাটা অত্যুক্তি হবে না যে, একজন স্ত্রী আর একজন স্বামীর মধ্যে সম্পর্ক হলো স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক। এ সম্পর্কটি আপনের চেয়েও আপন এবং অতি মধুর। এজন্যই হয়তবা স্ত্রীকে বলা হয়ে থাকে সহধর্মিণী বা ইংরেজীতে বলা হয় (better half)। স্বামী হিসেবে স্ত্রী বা সহধর্মিণীর উপর তার যেমন অধিকার বা হক আছে তদ্রুপ স্ত্রী বা সহধর্মিণী হিসেবে স্বামীর উপরও সমপরিমাণ হক বা অধিকার আছে।
এই অধিকার বলে একজন সহধর্মিণী প্রয়োজনে স্বামীর উপর চোখ রাঙাবেন কিংবা মাঝে মাঝে ছড়ি ঘুরাবেন আর এটা যেস্বামী পজিটিভ বা ইতিবাচক হিসেবে মেনে নেবেন তার সংসারে হয়ত কোনদিনই খারাপ সময় আসবে না কিংবা অশান্তির সৃষ্টি হবে না। এটাই বাস্তবতা। আবার অধিকার বলে একজন সহধর্মিণী যদি তার স্বামী ব্যক্তিকে প্রয়োজনবোধে খুনসুটির কায়দায় সংশোধন করার চেষ্টা করেন ও পরামর্শ দেন আর সেই বুদ্ধিমান এবং সুশিক্ষিত স্বামী ব্যক্তিটি যদি সেটাকে পজিটিভ বা ইতিবাচক ভেবে আশীর্বাদ মনে করেন তাহলে ঐ সংসারে দুঃখ আর অশান্তি বোধ করি এক দৌড়ে পালিয়ে সরাসরি শীতনিদ্রায় চলে যাবে।
সাংসারিক জীবনে প্রত্যেকের কিছু না কিছু চিন্তাভাবনার ফারাক থাকবেই। কারণ, নানা মুনির নানা মত (Many men many minds) হবেই। তবে উভয়ে একে অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা জানাতে পারলে সংসারে অশান্তির অবসান ঘটবেই। অার পরস্পরের প্রতি এমন শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি হলে উভয়েরই বুঝদার হবার পথটি যে অতি সহজতর হবে সেটা সুনিশ্চিত ।
উপরোক্ত পরিস্থিতিতে স্বামীর প্রতি সহধর্মিণীর যেকোন হুঁশিয়ারী বার্তা স্বামী মানুষটি ইতিবাচক হিসেবে ভাবতে বাধ্য। অামাদের পুরুষ শাসিত সমাজে হয়ত স্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারী বার্তা আজও ইতিবাচক হিসেবে অনেক পুরুষ বা স্বামীই মেনে নেবার মানসিকতা গড়ে তুলতে পারেনি তবে আমি সুনিশ্চিত যে, সেদিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন একজন সহধর্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা প্রত্যেকটি স্বামীই ইতিবাচক ভেবে সারিবাদি সালসা হিসেবে গ্রহণ করবে।
ক্রমশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much