কোন এক শ্রাবণে
শ্রাবণ নিশীথে কে তুমি অসময়ে এসে দাঁড়ালে শিয়রে
আমাকে আজ যেতে হবে, কি ভাবে হেঁটে যাবো
ঐ-শ্রাবণ মাঠে।
আজও কি হবেনা তারসাথে দেখা, অথচ তাকে
সন্ধান করি, স্পর্শ করি দেহের ভিতরে প্রতিটি শ্রাবণের বাতাসের জলতরঙ্গ।
বৃৃষ্টি ভেঁজা আচঁলে কবিতা লিখেছিলে
আমার ঈশ্বরী নেমে এলো মর্তে, আলতা রাঙানো
পায়ে নূপুরের ছন্দে খোপায় শিউলি ফুল যা কিছু
আমার কল্পনা ঠিক তেমনই আমার ঈশ্বরী।
কাজল চোখে চোখ রাখতেই সেদিন আকাশ হয়েছিল
আয়নায় পরম প্রেমের দৃশ্যমঞ্চের মিলনের
স্পন্দনের ভিতর নতুন এক রূপান্তর অপার মুগ্বতায় শ্রাবণের দিগন্ত সূচনার সৌরভ ছড়িয়ে।
কথা দিয়েছিলো কিন্তু সে আর এলোনা
বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া হয়নি ভালোবাসার সেই আদিম তৃষ্ণা।
রেখে গেলো স্মৃতির স্বপ্নের লেখা আচঁলে ,আকস্মিক আঘাত।
প্রতিটি বছর ছুটে যাই সেখানে গভীর বেদনার
নকশাআঁকি কষ্টের চূড়ায়, বিনম্র ইচ্ছে-দুঃখ যাতনায়।
ঐ শোন-গভীর অপেক্ষার সুবিন্যাস্ত শ্রাবণ মাঠে
আজও তার মৃদু পায়ের শব্দ ভেসে আসছে
এই অস্হিরতা,দিশেহারা মন শ্রাবণের মহাপ্লাবনে
ভেসে যেতে চায়।
কে তুমি আমাকে অসাড় করে রেখেছো শয্যায়...?
একটিবার যেতে দাও, কথা দিলাম ফিরে আসবো
তখন না হয় বাঁশিটি বাজিও।
তুমিও শুনলেনা জীবনের শেষ আর্তি,ধীরে,ধীরে
নাড়ীর স্পন্দন টুকু কমিয়ে দিচ্ছো
আর কোনদিনই যাওয়া হবেনা একটিবার তাকে
দেখার বাসনাটুকু ও কেড়ে নিচ্ছো...?
এতো আলো,তবু কেন আজ শ্রাবণ জানালা নিঝুম আধাঁরে ঢাকা
আমার দু'চোখের পাতা ঘুমিয়ে পড়ছে কেন..?
কিছুতেই খুলছেনা শেষ বাঁশিটি বাঁজিয়ে ফেললে...!?
তবুও নৈঃশব্দ নৈবেদ্য তমসার শ্রাবণ মাঠে
বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে আমার আত্মা তাকে খুঁজে
স্পর্শ করতে চায় তার অতলান্ত চোখ।
সে হারিয়ে ফেলেছে ঢেউয়ের মাতালত্ব স্বপ্নভূমি
সেই উজানে ভেসে গেছে আমার সাজানো
ভালোবাসার তরী,তার আপন স্বভাবে।
প্রতিক্ষায় থাকবো আদি, অনন্ত কাল
,যদি সে ফিরে আসে কোন এক শ্রাবণে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much