০৩ নভেম্বর ২০২১

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২১

চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন  লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার। 
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে। 




উদাসী,মেঘের ডানায়  
                                   (পর্ব ২১)


                                             ঘুম ভাঙলো তৃষ্ণার চড়ুইপাখিদের কিচির মিচির সুরে
উঠে এসে বারান্দায় দাঁড়ালো।
সকালটা কি আশ্চর্য নির্মল মিষ্টি অনুভূতির আবেশ ছড়িয়ে রেখেছে শরৎ এর ভোর।
একটু পরই ভোরের সিগ্ধতার ফাঁক গলে সোলালী থালা জানাবে এই আমি আসছি।
তাড়াতাড়ি ঘরে এসে বাথরুমে ঢুকে শাওয়ার সেরে
সালোয়ার কামিজ পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
হালকা মেকাপ করে আলাইনার দিলো ওর চোখেরমনিটা লাইট ব্রাউন কিছুটা সময় থমকে দাঁড়িয়ে  নিজেকে দেখতে দেখতে বললো দেখ তৃষ্ণা শরৎএর সিগ্ধতার মতোন আবেগী হয়ে উঠছো কেবল
শেষ পর্ষন্ত ভালোবাসার হাতকড়ায় বন্দিহয়ে পরিতৃপ্ত।
ধীরে চলো তৃষ্ণা আর পিছনে ফেরা নয় তুমি জেগে
উঠেছো ভোরের নির্মল সিগ্ধতার মতন।
মায়ের ডাকে চমকে উঠে বললো
- আসছি মা। 
ব্রেকফাষ্ট করে  অফিসে যারার সময় মাকে আদর করে বেড়িয়ে গেলো
অফিস ছুটির পর বাহিরে এসে,দেখে অপু দাঁড়িয়ে আছে।
অবাক হয়ে বললো- তুমি, কখন এলে ফোন করনিতো
আসবে।
অপু- কেমন সারপ্রাইজ,  যাক এবার চলোতো একটু
ঘুরে আসি দুজন।
আমি সামিয়াকে বলি গাড়ি নিয়ে চলে যেতে দাঁড়াও
আসছি।
একটু পরই এলো সামিয়ার সাথে কি জানি বলে
তারপর বললো- অপু তোমার গাড়ি কোথায়?
অপু- এইযে দেখছোনা
তৃষ্ণা- এতো বাইক।
আজ বাইকে ঘুরবো।
তৃষ্ণা- শরৎএর আকাশে কেমন মেঘ জমেছে যদি বৃৃষ্টি
আসে।
অপু- আসলে আসবে চলো তো আর কথা নয়।
কি আর করা শেষে বাইকে উঠলো তৃষ্ণা।
একটু একটু করে অপু স্প্রিড বাড়াচ্ছে সংসদ ভবনের
সামনে এসে তৃষ্ণা ভয়ে আকাশের কেমর জড়িয়ে পিঠি মুখ রেখে চোখ বন্ধ করে আাছে।
বাইক ছুটছে মহাখালি হয়ে বনানী ব্রিজের সামনে এসে বাইক থামালো তৃষ্ণা তখন ও জড়িয়ে ধরে আছে
চোখ খুলেনি আলতো কারে হাত চাপ দিয়ে বললো
অপু-  ম্যাডাম ছাড়েন এবার
তৃষ্ণা চমকে উঠে দেখে অপু হো- হো করে হাসছে আর বলছে ধরিয়ে ছাড়লাম তো শেষ অবধি এখন চলেন
ধাবায় যেয়ে কিছু খেয়ে নেওয়া যাক
এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলো দুজন ভিজে একাকার 
তৃষ্ণা- বললো আমি ভিজে কাপড়ে ধাবায় খেতে যাবোনা।
অপু- ক্ষিধে পেয়েছে ভীষণ।
তৃষ্ণা - না যাবোনা তার চেয়ে বাসায় চলো মাকে বলে
দিচ্ছি নাস্তা রেডি করতে, তাছাড়া মা তেমাকে দেখতে
চেয়েছে।
অপু- সত্যি নিয়ে যাবে তাহলে চলো শুধু নাস্তা নয় বলে
দাও রাতের খাবার খেয়ে আসবো সাথে যেনো মাংস
থাকে। তৃষ্ণা পানি আছে বড্ড পিপাসা পেয়েছে।
তৃষ্ণা- ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে বললো
-এই নাও খাও।
পানি খেয়ে অপু বললো-এ জলে কি পিপাসা মেটে অন্তরে মরুর পিপাসা মিটাবে কবে।
জানো অন্তরের গভীর মুগ্ধতার জলের গভীরে অন্য
এক জল আছে যেখানে তপ্তমরুর ভালোলাগার ছোঁয়ায় অন্তরের সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে তোমাকেই খুঁজে।
আজ এই বৃষ্ট ভেজা তৃষ্ণা যে কি অপূর্ব  আমার চোখ দিয়ে দেখো,তোমার অবয়ব জুড়ে বৃৃষ্টির ফোটা গুলো
হাজার মুক্তোয় সাজানো পদ্মপাতার জলের মনত
ছুঁয়ে দিতেই গড়িয়ে পড়বে।
তৃষ্ণার মুখে কথা নেই অপু আজ বেশি আবেগ প্রবন
হয়ে উঠেছে।তারপর ও বললো- আর কত ভিজবে
চলো এবার যাওয়া যাক।
অপু - মাংস থাকবে তো না বারণ করেছো?
তৃষ্ণা- সে তেমাকে ভাবতে হবেনা পেটুক মাশাই। 
এবার হুন্ডা স্ট্রাট দিলো ধানমন্ডির দিকে।
চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much