বনফুল
১৭ তম পর্ব
পলাশ ফোন রাখতেই সৈকত বললো, দোস্ত কি ব্যাপার? বিষয়টা তো বুঝতে পারলাম না! খুলে বল দোস্ত।
পলাশ সব বলবো দোস্ত খেয়ে এলাম এইমাত্র, একটু রেস্ট নিতে দে।
ওদিকে জুঁই পলাশকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছে....।
পলাশ বললো দোস্ত একটু আগে যার ফোন এসেছিল ওর নাম জুঁই, ফার্স্ট ইয়ারে ভার্সিটিতে এ্যাডমিশন নিয়েছে, প্রথম দিনই ওর সাথে দেখা হয়,অবশ্য কথা হয়নি। পরের দিন পরিচয় হলো, এর কিছু দিন পরে আমাকে প্রোপজ করে জুঁই, ওকে না করার সাধ্য আমার ছিলো না, হয়তো আমিও ওকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। তাইতো জোরালো ভাবে না করতে পারিনি। বাকি কথা পরে হবে।
এবার ঘুমা, আলাপ পরিচয় ও সব হবে...।
পলাশ ও সৈকত দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছে।
সকাল নয়টায় ঘুম ভাঙ্গলো জুঁইয়ের। বাবা-মা দুজনেই ওর জন্য নাস্তার টেবিলে অপেক্ষা করছে। দ্রুত ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে এলো জুঁই।
বাবা-মা দুজনের সাথে নাস্তা শেষ করে একটা কফি খেলো। তারপর জুঁই তার মা'কে বললো, আম্মু আমি আজ একটু মার্কেটে যাবো, টুকটাক অনেক কিছু কিনতে হবে। মা মনোয়ারা বেগম বললেন বেশ তো যাও।
জুঁই ময়নাকে ডেকে বললো ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বলো, আমি রেডি হয়ে আসছি...।
জুঁই খুব দ্রুত রেডি হয়ে এলো, ইস্টার্ন প্লাজায় যেতে বললো ড্রাইভারকে।
গাড়ি থেকে নামতে যাবে এমন সময় জুঁই দেখতে পেলো অহনাকে...। অহনা দেখতে পায়নি জুঁই কে।
অহনা কলেজের বেস্টফ্রেন্ড। তাড়াহুড়ো করে গাড়ি থেকে নেমে আহনার পিছন দিক থেকে সে চোখ চেপে ধরলো অহনার, অহনাও বলে উঠলো জুঁই আমি তোর স্পর্শ বুঝতে পারি। তুই ছাড়া আর কেউ এমন করে চোখ চেপে ধরে না।
অহনা প্রশ্ন করলো জুঁই তুই এখানে?
জুঁই বললো আর বলিস না, অনেক গুলো কসমেটিকস ফুরিয়ে গেছে ,আর এইজন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much