০৪ ডিসেম্বর ২০২০

হুমায়ুন কবির সিকদার


   অন্যের  করছ ঘর

শুনলাম যখন হয়ে গেছ পর অন‍্যের করছ ঘর 

মাহাশূণ‍্যে ভাসছিলাম পৃথিবীটা কাঁপছিল থরথর 

বিদ‍্যুৎ চমকালো দেখছিলাম জমকালো নিভলো  জীবনালো।

জীবন গল্প রঙিন কল্প মুহুর্তেই হলো কালোজিরা সম কালো।

শুকনো কন্ঠ মাটির হাড়ির ন‍্যায় ঠন ঠন হৃদে ধক ধক শব্দ

জিভে ছিলনা জল পরানে ছিলনা পরান সব হয়েছিল নিস্তব্ধ 

লালিত স্বপ্ন কল্পিত আশা বাসরের বর্ণিল বাতি

 নিভে গেলো চিরতরে হলোনা যে আর সাথী 

বলেছিলে বিয়ে সামাজিক ভাবে হবে এবং তা জানবে সবাই 

মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে হলে কসাই প্রেমকে করলে জবাই।

অকপটে বলেছিলে কী এসে যায় তাতে?

নিন্দুকেরা কিছু বলবেই পশ্চাতে!

কেউ মানবে না, কেউ মানবে

তাতে কেন আমাদের ঘর ভাঙবে?

ভালোবাসা যা দেয় তার চেয়ে বশি কেড়ে নেয় 

কবির এই অমর বাণী শুনিয়েছ বহুবার 

অধমের জন‍্য বন্ধ কেন তবে তোমার দুয়ার?

অমর বাণী বলা কতই না সহজ মানা ভীষণ কষ্ট 

কতশত জীবন এমন আশ্বাসে চিরতরে হয় নষ্ট।

কথার ফুলঝুড়ি ছলনার অমর বাণী বুঝিনি কাণাকড়ি

নিজ হাতে তাই পরিয়ে দিলে গলে তীব্র যাতনার বেড়ি । 

কীযে দহন যায় না সহন বুঝাবার নাই সাধ‍্য 

হৃদয় মাঝে সহসাই বাজে অদৃশ‍্য সে বাদ‍্য।

ঠিকানা নাই জানা স্মৃতিরা দিচ্ছে হানা 

জানার ইচ্ছে তব নাই

সবার জীবন পূর্ণতা পায় না, বাজে না সানাই।

পথ ভুলে যদি দেখা হয় কভু পথেরই কোনো বাঁকে

স্বপ্নগুলো কেন চুরি করে নিলে? জিজ্ঞাসিতাম তাকে।

ভেবেছ জীবনটা বুঝি সোজাসুজি হয়ে গেছে  বরবাদ

জীবন জীবনে আছে হয়নি বরবাদ তবে পেলাম এক অনাস্বাদিত স্বাদ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much