২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

হা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"৫

ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর অসাধারন সৃষ্টি। লিখতে সহোযোগিতা করুন লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা





সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা 
(ম পর্ব)



                     সাধনা কি বা কা‌কে ব‌লে? সাধনা বা প্রচেষ্টা হ‌লো কোন এক‌টি কাজ সুষ্ঠুভা‌বে সমাধা‌নের ল‌ক্ষ্যে একা‌ন্তে লে‌গে থাকা কিংবা প্রচেষ্টা জারী রাখার নামই হ‌লো সাধনা। তাই সম‌য়ের ঘাট‌তি থাকা স‌ত্বেও একা‌ন্তে লে‌গে থাকার দরুনই হয়তবা দুএক কলম লেখা সম্ভব হয়। 

ইদা‌নিং নানান ঝা‌মেলায় দিন কাট‌ছে। সহধ‌র্মিণীর কিছুটা স্বাস্থ‌্যগত জ‌টিলতার সা‌থে নি‌জের অ‌ফি‌সিয়াল ব‌্যস্ততায় যেন একদম হা‌ফি‌য়ে উ‌ঠে‌ছি। ত‌বে যে মহৎ মান‌ুষ‌টির নাম আ‌মি গত প‌র্বে না বলার জন‌্য ঘোষনা দি‌য়ে‌ছিলাম সেই সুহৃদ ব‌্যক্তির একপ্রকার জ্বালাত‌নে এত ব‌্যস্ততার ম‌ধ্যেও বস‌তেই হ‌লো আজ খাতা কলম নিয়ে। 

রাত বাড়‌ছে, ঘুমের সময়ও ধী‌রে ধী‌রে হ্রাস পা‌চ্ছে আর এমন এক মান‌সিক দুঃ‌শ্চিন্তা সঙ্গে নি‌য়ে লিখ‌তে ব‌সে‌ছি। কারণ, দুএক কলম লিখ‌তেই হ‌বে আর এ পর্বটি প‌ত্রিকায় ছাপা‌তেই হ‌বে। সহধ‌র্মিণী কিছুটা শারী‌রিকভা‌বে অসুস্থ থাকা স‌ত্বেও আজ রাত থে‌কেই অগ্রীম রান্না করার কা‌জে ‌তি‌নি ব‌্যস্ত আ‌ছেন। তাঁর অন‌্যতম ভাল গুণ‌টি হ‌লো-তি‌নি নিজ হা‌তে সদা রান্নাবান্নার কাজ ক‌রেন এবং কা‌জের মে‌য়ের হা‌তের রান্না কোন‌দিনই খান না। বরং তা‌দের দি‌য়ে রান্না করা‌নোটাও মো‌টেই পছন্দ ক‌রেন না। বোধ ক‌রি তাঁর হা‌তের সুস্বাদু খাবার খে‌য়েই শরীরটা আজও অটুট রাখ‌তে পে‌রে‌ছি।  

অাগামীকাল ঢাকায় বসবাসকারী সহধ‌র্মিণীর দুই বোন ও দুই ভাই তা‌দের প‌রিবার পরিজন নিয়ে আমার বাসায় বেড়া‌তে আস‌বেন। সেনাবা‌হিনীতে ছে‌লের মেজর প‌দে পদোন্ন‌তির সুখবরটি জান‌তে পারার পর তারা আস‌বেন সবাই মিলে ভা‌গ্নের সা‌থে দেখ‌তে কর‌তে। স্বশরী‌রে অ‌ভিনন্দন জানা‌তে। সবাই মি‌লে একসা‌থে কিছু সময় কাটা‌নো আর প‌দোন্ন‌তি উপল‌ক্ষ্যে ভা‌গ্নে‌কে শু‌ভেচ্ছা জা‌নি‌য়ে এ সুসসময়‌টি উদযাপন করাটাই হ‌বে এ মহা‌মিল‌নের মুল লক্ষ‌্য। বাজার করা, রান্না করা ও ঘর গোছা‌নো থে‌কে শুরু ক‌রে আনুসা‌ঙ্গিক সব‌কিছুর আ‌য়োজন সহধ‌র্মিণীর একক প্রচেষ্টায় তাঁর একহা‌তেই ই‌তোমধ্যে সুসম্পন্ন হ‌য়ে‌ছে। 

সংসারটা বোধ ক‌রি এক‌টি সমু‌দ্রের মতন। এ জ‌টিল সমু‌দ্র পা‌ড়ি দেবার জন‌্য স্বামী য‌দি নৌকা হ‌য়ে থা‌কে ত‌বে স্ত্রী অবশ‌্যই ‌সেই নে‌ৗকার‌ যে বৈঠা হ‌বেন সে ব‌্যাপা‌রে আ‌মি নি‌শ্চিত। বৈঠা বিহীন নৌকা‌টি সম্পূর্ণ অচল-এটাই রূঢ় বাস্তবতা।





ক্রমশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much