স্মৃতির জানালায়
(২য় পর্ব)
তিনি তাঁর কৈশোরে যৌবনে আজকের এই সফলতার স্বপ্ন দেখতেন এবং মনে মনে দৃঢ় হতেন যে লক্ষে একদিন পৌছাতেই হবে। অথচ তাঁর ছেলেরা কাজের প্রতি যেন কোন আগ্রহই নেই। না চাইতেই সব পেয়ে পেয়ে ছেলেগুলি এমন হয়েছে। হঠাৎ গাড়ী চলতে শুরু করতেই চমক ভাংলো মাহতাব সাহেবের। যানজটে আটকে থাকতে থাকতে অস্থির লাগছিল । পিছনের সীটে বড় ছেলে মোহন মুখ ভার করে বসে আছে। মোহন যে গাড়ীতে বসে আছে সেটা এতক্ষন মনেই ছিলনা মাহ্তাবের। তিনি পিছন ফিরে মোহনকে দেখলেন। কয়েকদিন ধরেই দেখছেন ছেলেটা খুব মুখ ভার করে থাকে। অফিসের কর্মচারীদের উপর খুব হম্বি তম্বি করে। কি হয়েছে ছেলেটার ? মোহন কি দাম্পত্য সমস্যায় ভুগছে ? কি জানি হতেও পারে। কিন্তু পিতা হয়ে পুত্রকে কি তিনি এ কথা জিজ্ঞেস করবেন ? নাহ্ এসব নিয়ে কোন প্রশ্ন তিনি ছেলেকে করতে পারবেন না। চিরকালই তিনি সন্তানদের সাথে যথেষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে চলেছেন। ছেলেরা তাকে যথেষ্ট ভয় করে। এটুকু ভয় না থাকলে ছেলেরা তাঁকে মান্য করবে কেন ? নানা রকম ঠুনকো পারিবারিক সমস্যা নিয়ে ভাববার তাঁর সময় নেই । তাঁর অন্য অনেক কাজ আছে। আজীবন তিনি কাজের মধ্যে ডুবে রয়েছেন। যতদিন তিনি বেঁচে আছেন আরো অনেক কাজ করতে হবে। নিজের জন্যে পরিবারের জন্যে মানুষের জন্যে , যাতে মৃত্যুর পরেও মানুষের মন থেকে তিনি হারিয়ে না যান। এই ইচ্ছেটাকে সামনে রেখেই তিনি ছুঁটে চলেছেন অবিরাম। বয়স তো আর কম হয়নি, মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে পড়েন কিন্তু এই ক্লান্তিকে তিনি আমল দেননা । পারিবারিক ক্ষুদ্র যে সব সমস্যা আছে সে সব তিনি তাঁর স্ত্রী রেহানার উপড় ছেড়ে দিয়েছেন। সে কতটুকু কি করতে পারে তাঁর খবরও তিনি ঠিকমত রাখতে পারেন না।
চলবে.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much