২৩ নভেম্বর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ২৮

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 





বনফুল
শান্তা কামালী
( ২৮ তম পর্ব ) 


তিথি আর শিমূল সৈকত আর অহনার জন্য চা,মিষ্টি নিয়ে এলো। ওদের  বাবা মা'য়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো পলাশ। তারপর ঘর থেকে পোশাক চপাল্টে এসে ওরা বেরোতে যাবে,এমন সময় গাড়ি নিয়ে এসে হাজির জুঁই। পলাশের মা জুঁই কে বুকে জড়িয়ে ঘরে এনে একটু মিষ্টিমুখ করালো,তিথি ও জুঁই কে খুব আদর করে বললো, ভাইয়া তোমার অনেক নাম করেছে  কিন্তু পরিচয় আগে হয়নি,খুব ভালো লাগছে তোমাকে। আবার এসো।
ওরা গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে গেলো। একটু পরেই ওরা পৌঁছে গেলো জুঁইদের বাড়িতে। 

জুঁইয়ের আব্বু আম্মু পলাশ কে খুব আপ্যায়ন করে ঘরে নিয়ে বসালেন। তারপর, মিষ্টিমুখের পালা শেষ করে কফি খেতে খেতে জুঁইয়ের আব্বু পলাশ কে বললেন, টিভি তে লাইভ দেখলাম।খুব ভালো লাগলো, গর্ব হচ্ছে তোমার জন্য। একটা কথা তোমাকে জিজ্ঞেস করছি,যদি  দেশের থেকে ও ভালো বিদেশি ভার্সিটির সুযোগ আসে,তুমি কি রাজি আছো?
পলাশ বললো সে-তো অতি উত্তম হবে, কিন্তু..... 
কোনো কিন্তু নয়,তোমার ইচ্ছে টাই বড়ো ব্যাপার। সেটা তোমার আছে কি-না, সেটা বলো।
পলাশ বললো, সুযোগ এবং সামর্থ্য পেলে অবশ্য ই যাবো। কিন্তু, আমার.... 
আবারও কিন্তু! তোমার ইচ্ছে টাই শেষ কথা । জুঁইয়ের আব্বু বেশ জোর দিয়ে পিতা সুলভ ধমক দিতেই, পলাশ চুপ করে ঘাড় নেড়ে সায় দেয়। 
জুঁইয়ের আব্বু খুব শান্ত ভাবে বললেন, তবে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নাও।অনেক বিদেশি ভার্সিটির সুযোগ আসবে।তারা তোমার মতো মানুষের জন্য হাত পেতে আছে। এই বলে উনি উঠে গেলেন ঘর থেকে। আর পলাশরাও রাত নয় টা বেজে গেছে দেখে উঠে  পড়লো। 
জুঁই ড্রাইভার কে গাড়ি বের করতে বলে নিজেও ওদের কে নিয় পৌঁছে দিতে বেরিয়ে পড়লো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much