দু'চোখে যে অন্ধখনি
যতই তুমি থাকো দুরে, ছায়ার মতন জড়িয়ে আছো
আমার সাথে
নিশুতরাতে চাঁদের ভিতর,
সেদিন কি আর ছিলো তোমার ভালোবাসা
নেশা-পেশার সাজানো এক যজ্ঞবেদী...!
তবু কেন মন খারাপের জানালাতে দাঁড়াও এসে
নিত্য নতুন আয়না হয়ে...!?
যতই তুমি অবহেলায় তুচ্ছ করো, আবেগী সব কথার
স্মৃতি বিনাসূতোয় কষ্ট কাহন মালা গাথি গহীন রাতে
থমকে দিয়ে আলগোছেতে খোঁপায় জড়াও
সোহাগ ভরে স্বপ্নে এসে।
লতায়- পাতায় বাতাস যখন খেলায় মেতে, যায় চলে যায় অবহেলায়, তাকে তখন বাধঁতে পারে...!
আমিও যে চাই ভুলতে তোমায়, চাইলে কি আর যায়
ভোলা যায়,ততই তুমি আঁকড়ে ধরো।
কোথায় তুমি, ছায়া হয়ে কান্না ভেজা জলে দেখি
ভাসতে ভাসতে যাও হারিয়ে।
সেইতো কবে মনে আছে, নদীার জলে সন্তরণে
আকুল হয়ে ঢেউয়ের সুরে সুর তোলাতে
কাজল আখিঁর পাতায় পাতায় কী মমতায় গভীর ভাবে ওষ্ঠ ছুঁয়ে, হারিয়ে যেতে রীতিনীতির দুয়ার ভেঙ্গে।
অমৃত সেই নেশার ঘোরেই,বলতে শুধু আমার তুমি, তুমি আমার জলজ দেহে কি মহিমায় আকঁতে ছবি
অনুরাগের স্পর্শকতায়।
আমি কেবল রয়ে গেলাম আজও শুধু তোমার হয়ে
এখনও কি ব্যাস্ত ভীষণ, কি এসে যায় আমার কষ্টে!
সব কিছু তো তোমার কাছে...ভুলে গেলে এমন করে?
হয়তো হঠাৎ চলার পথে, দেখা হলে চিনবে তখন...!
বুকের ভিতর চিনচিনিয়ে অনুতাপের ব্যথায় কি সেই
আগের মতন বাজবে আবার নিঠুর হৃদয়?
হাতটি তখন বাড়াও যদি, শূণ্য তখন এ হাতখানি
হৃদয়টাও চৈত্রখরা,দু'চোখ ও যে অন্ধখনি
কী হবে আর দেখা হয়ে
আমি যে এক জ্যান্ত মমি...!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much