বনফুল
(৪৬পর্ব)
শান্তা কামালী
সৈকত অহনাকে পৌঁছে দিয়ে এসে ডিনার শেষে বললো খালাম্মা আমি কালকে ভোর বেলায় ট্রেন ধরবো। ভোর পাঁচটায় বাসা থেকে বেরোবো, আপনি আবার কোনো রকম কষ্ট করে নাস্তা বানাতে যাবেন না। আমি ট্রেনে উঠে নাস্তা করে নেব।
পলাশের আম্মু বললো আরেকটা দিন থেকে গেলে হতো ভালো বাবা।সৈকত বললো খালাম্মা আমাকে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সব গুছিয়ে আসতে হবে, যত তাড়াতাড়ি যেতে পারবো, আমার জন্য ভালো হবে। পলাশের আম্মু বললেন, আচ্ছা বাবা.....।
প্রায় ১০ ঘন্টা জার্নি করে পলাশ মাল্টা এয়ারপোর্টে পৌঁছে চেকিং শেষ করে, একটা ক্যাব বুক করে ভার্সিটির হোস্টেলে এসে পৌঁছলো। গাড়ি থেকে জিনিসপত্র নামিয়ে রুমে ঢুকে দু'জন রুমমেটের সাথে পরিচয় পর্বে জানতে পারলো একজন ইন্ডিয়ান। ভালোই হলো,মালপত্র এক সাইডে গুছিয়ে রেখে ওয়াশ রুমে ঢুকে শাওয়ার করে এসে দশ মিনিট রেস্ট নিয়ে ব্যাগ থেকে কিছু খাবার বের করতে যাবে তখনই ইন্ডিয়ান রুমমেট রাহুল বললো, আমরা আছি আর তুমি কি না ড্রাই ফুড খেয়ে থাকবে এ আবার হয় নাকি! চলো আমাদের সাথে খাবে, পলাশ ভদ্র ছেলের মতো ওদের সাথে বসে খাবার খেলো।তবে হঠাৎ অন্য দেশের খাবারের স্বাদ খুব একটা ভালো লাগেনি..... তবুও খাওয়ার জন্য খাওয়া।
জুঁইয়ের ঘুম ভাঙ্গলো নয়টায়। হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে এলো। জুঁইয়ের আব্বু আম্মু ওর জন্য অপেক্ষা করছিলো। ওকে দেখতে পেয়েই ময়না টেবিলে নাস্তা পরিবেশন করলো।
জুঁই বাবা-মার সাথে বসে বেশ ভালো করে নাস্তা খেলো। ময়না কফির ট্রে টেবিলে রাখতেই জুঁই ওর কফির মগ টা নিয়ে সোফায় বসে কফি খাচ্ছে, এমন সময় হঠাৎই জুঁইয়ের ফোন বেজে উঠল আন-নোন নাম্বারের থেকে কল এসেছে। ভয়ে ভয়ে রিসিভ করতেই পলাশের গলা! অমনি জুঁই পাগলের মতো প্রশ্ন করতে লাগলো তুমি ঠিক ভাবে গিয়ে পৌঁছেছো তো? কিছু খেয়েছো,না-কি এখনো খাওনি?
পলাশ বললো, জুঁই আমি ঠিক ভাবে পৌঁছে শাওয়ার করে নাস্তা খেয়ে তবেই তোমাকে ফোন দিচ্ছি। এখন বলো জুঁই তুমি কেমন আছো?
উত্তরে জুঁই বললো আলহামদুলিল্লাহ....
একবার আন্টি বা আঙ্কেলকে ফোনটা দাও তো।
জুঁই বাবা-মার কাছে ফোনটা দিয়েছে,স্পিকার অন করে দুজনেই কথা বললেন। জুঁইয়ের মা মনোয়ারা বেগম বললেন বাবা যেতে তোমার কোনো সমস্যা হয়নি তো? পলাশ বললো জ্বি, না আন্টি। জুঁইয়ের বাবা পলাশকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি তোমাদের বাসায় ফোন দিয়েছিলে? পলাশ জ্বি, না আঙ্কেল, আপনাদের থেকে ফোন রেখেই বাসায় ফোন দিচ্ছি। ওয়াজেদ সাহেব বললেন আমি রাখছি তুমি আগে বাসায় ফোন দাও। এই বলে জুঁইয়ের বাবা ফোন কেটে দিলেন।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much