চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"
বনফুল
১১ তম পর্ব
গাছের ছায়ায় বসে বেশ খানিকটা সময় গল্প করে কাটলো দুজনের.. …
জুঁই বললো এবার চলো ক্লাস শুরু হতে আর বেশি সময় বাকি নেই।
দুজনেই উঠে পাশাপাশি হেঁটে সিঁড়ি দিয়ে উপরে গেলো।পলাশ চলে গেল তিনতলায়, আর জুঁই দোতালাতেই থেকে গেলো। জুঁইয়ের ক্লাস রুম দোতলায়। দুজনেই প্রায় একই টাইমে নেমে এলো, জুঁই হাঁটতে হাঁটতে ড্রাইভারকে গাড়ি গেটের সামনে নিয়ে আসতে বললো, পলাশকে বললো আমি তোমাকে পৌঁছে দিয়ে যাব।দুজনেই গাড়িতে উঠে বসলো।
টুকটাক কথাবার্তা হলো দুজনের মধ্যে। এজিবি পয়েন্ট এসে গাড়ি থামতেই পলাশ নেমে হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো।
বাসায় পৌঁছাতে ঘড়িতে আড়াইটা বেজে গেল। হাতমুখ ধুয়ে কিছু সময় মা বাবার সাথে গল্প করতে চাইলো বাবা বললেন চলো খেতে খেতে কথা বলা যাবে। এই বলে তিনজনই ডাইনিং টেবিলে বসলো, ময়না খাবার পরিবেশন করছে, জুঁই খেতে খেতে বাবা-মার সাথে চুটিয়ে গল্প করলো। খাওয়া শেষ করে বেসিনে হাতমুখ ধুয়ে জুঁই উপরে উঠে গেলো,রুমে ঢুকে ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় শুয়ে পলাশকে নিয়ে ভাবতে লাগলো। জুঁই ফোন হাতে নিয়ে পলাশকে ফোন করলো। পলাশ জুঁই ফোন দিচ্ছি দেখে একটু আশ্চর্য হলো! এইতো কিছুক্ষণ আগে মাত্র বাসায় গেলো এখনই ফোন! পলাশে একটু চিন্তায় পড়ে গেলো। ওপাশ থেকে জুঁই বললো খাওয়া হয়েছে?।
পলাশ বললো, হুম হয়েছে, তুমি খেয়েছো?
হ্যাঁ খেয়েছি।
-কি করছো এখন?
- শুয়ে আছি,
-তাহলে ঘুমাতে চেষ্টা করো, জুঁই পলাশকে বললো তুমি এখন কিরবে?
উত্তরে পলাশ বললো আমার এক্ষুনি টিউশনে যেতে হবে। জুঁই বললো আচ্ছা যাও আমি রাখাছি...।
জুঁই ঘুমিয়ে পড়েছে ,পাঁচটা বাজতেই জুঁইয়ের ঘুম ভাঙ্গলো, চোখে মুখে একটু পানি দিয়ে ছাদে উঠলো জুঁই। গন্ধরাজ গাছটা ফুলে ফুলে ভরে উঠছে, আরো অন্য গাছগুলোয় ফুলের মেলা বসেছে, হ্যান্ড শাওয়ার দিয়ে বেশ কিছু কিছু গাছে পানি দিলো জুুঁই।
তখনই দৌড়ে চলে এলো মালি। মেমসাব আপনি কেন পানি দিচ্ছেন, আমি এক্ষুনি আসছিলাম পানি দিতে। তখন জুঁই বললো আমার ভালো লাগছিলো তাই দিচ্ছিলাম।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much