নিশুতি রাত
নৈশ্য আগুনে বিপর্যস্ত নগরী বসে আছে ছায়া শরীরের খুঁটি ধরে অনন্ত কাল।
কুয়াশা মাখা শীতের রাতে আগুন তাপের মিঠে ছোঁয়ায়,
ফিনফিনে শীতল হাওয়ার শান্ত দোসর ধরে ধরে আমার শহরে শীত এলিয়ে পড়েছে বুকের ভিতর থরে থরে এখন বৃদ্ধ ,
টুপটাপ ঝরে পড়ে শিশির ফোঁটা
কার হাতে নোয়ায় খসে পড়ে ধূমকেতুর লেজ।
শব্দে গাঁথা হয় অপরুপ মোহনকথা,
আমার প্রেমিকার বুকে আমার হাতের ছাপ
যন্ত্রনার শব্দ হয় না ,ইচ্ছে হলেই ছুঁতে পারি না কাঁশফুল,
শুধু জানালায় তাকিয়ে আছি
শুধু একটা অনুভব বয়ে চলা ব্যাগভর্তি মন কেমন ,
শীতের নিশুতি শহরটা এখন কেমন ?
হঠাৎ দমকা হাওয়ায় নিভল আগুন।
ঝড়ের সাথে অশনি সংকেত
অকম্মাৎ হেমন্তের টর্নেডোতে তছনছ
উড়ে গেছে হেম শিমুল তুলার মতো।
অপ্রস্তুত হলো গত বর্ষার ফসলি জমি বুক।
সবুজবর্ণের নৈসর্গিক শহর ঝিরিঝিরি ,
যন্ত্রনায় সবুজ পাতাদের করুন নৃত্য ,
টুপটাপ শিশির ভেজায় নরম ডালে হিমে কাতর।
শুকনো গাছের পাতাগুলো বেদনা নিয়ে এলোপাথারি উড়ে যাচ্ছে ,
শুকনো রাস্তায় লাইটপোস্টে লুটিয়ে পড়েছে অদৃশ্যে।
মিহি জোছনায় পরী কি সুন্দর করে ডানা খুলে নাচতো।
বরফপাথর গলে জামা পড়া পরীরা এখন শোভাবর্ধন করছে নীলিমায়,
ধুলোয় জড়ানো পাখির পালকে এখন কয়েকটি মুক্ত দানা।
যুবুথবু হয়ে মুখ লুকিযে থাকা পাখিটি শিরিষ গাছের গর্তে থেকে বেরিয়ে এলো ,
যে কুয়াশাচাদর উষ্ণতা ছড়ায়
তাতে,কেবল আগাছাগুলো নিঁড়ানি পড়ে।
সারল্য বসে থেকে প্রহর গুনে গুনে
পায়ে পায়ে হাঁটে দিন কোন এক বরষার ভরসায়
নিয়তি আবার প্রতিশ্রুতিতে পরিনিত হবে উর্বর মৃত্তিকায়
বিপন্ন দিন মুখপাত্রে একাকার হবে রুপান্তরে।
জোয়ারে রৌদ্রের আভায় অজস্র কবিতা নব্যতা ছড়াবে হলদে রেশমে। তবুও ব্রহ্মচারী শিশির ফোঁটা নৈঃশব্দে ধোঁয়াসা আঁধারে জানালার কাঁচে লেগে থাকা,
ধূসরিত ধুলোয় মুখচুম্বন করে সবার অলৈক্ষ্যে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much