চৈত্রের শেষ বেলা
বাতাবী লেবুর ফুল
প্রজাপতি ফড়িং আর ভ্রমরের খেলা
দেখেছো কি তুমি?
অনন্ত গোধূলি আর চৈত্রের শেষ বেলা।
আমাদের দীর্ঘশ্বাস জমেছে দ্যাখো----
ক্লান্ত কৃষকের পোড় খাওয়া পিঠে মুক্তোদানার মত
তবু আজ চৈত্রের শেষ বেলা
অভিমানী কিশোরী বউ তার
করেছে অবহেলা।
আগুনের হল্কা মাখা গরম নিঃশ্বাসে
তিরতির কাঁপছে তার নাকের নোলক
দ্যাখো--লকলকে ভালোবাসাও জমেছে ঠোঁটের ডগায়
নাগর দোলায় উঠছে নামছে অভিমান।
গেলো বছর আর আগামীর সন্ধিক্ষণে
হাতে তার পাওয়া না পাওয়ার হালখাতা।
উঠোনে ছড়ানো শাশ্বত বাংলার রুপ
এখনো শূন্য ধানের গোলা তবু----
বেতের ধামা ভরা বিন্নি ধানের খই,
খেজুর গুড়, তালপাখার বাতাস
(নবান্নের আয়োজনে বাংলাদেশের মেয়েরা আজও বুকের উত্তাপ দিয়ে খই ভেজে রাখে)
উঠনে খেলছে শিশু,
এইতো বাংলার বহুকালের জমানো ফসল।
দেনা পাওনার হিসাব মিটেছে
চৈত্রের বেলা শেষে---
অবশেষে
ভাঙা বেড়ার ফাঁক গলে
শোঁ-শোঁ শব্দে বাতাস আসে ঢের
কিশোরীর শরীরে আবার ফসলি আবাদ হয়।
যেনো বঙ্গোপসাগরের তীরে
আছড়ে পড়া ফেনীল উচ্ছ্বাস।
মাটির বিছানায় তারা এখনো পাশাপাশি শোয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much