সুপ্ত নিশি
ভিড় ভেঙে ফিরে আসি যবে রাতে,
নিশাচর যত ছিল পথে, ডেকেছিল শিহরনে।
একরাশ নক্ষত্রের নীচে চলি আমি,
আর চলে পুরাতন চিরসাথী এ দেহ।
হরীতকী গাছের ছায়ায় দেখি
'সহজ পাঠ' পুড়িয়ে উষ্ণ করে ফ্যান,এক শিশু,
পিতাভ রঙের নুইয়ে পড়া পেটে
খিল ধরে আটকে আছে ,প্রাগৈতিহাসিক খিদে!
মুখের আমঠা স্বাদ পায় নাতো আর, কেবল
সন্ধিকালে সারা উঠোন ময় ঘুর ঘুর করে ,
সলতে পোড়া প্রদীপের ঘ্রাণ।
অথচ শঙ্খ শুভ্র ,আতপের মত ছিল তার হাত।
এককালে, কড়ির মতো চোখে চেয়ে ছিল
প্রান্তরের উড়ন্ত শকুনের ডানা ঝাপটানোর শব্দে।
হিজলের গাছে ,শেষ পেঁচার ডাকে ,চেয়ে দেখি
ক্ষয়িষ্ণু,মৃতপ্রায় ছায়া ক্রমশ প্রসারিত পদতলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much