১৪ জুন ২০২২

কবি আমির হাসান মিলন  আমি থাকবো"





আমি থাকবো

আমির হাসান মিলন 



হৃদয়ের অসীম যন্ত্রণা 
চোখে দিলো ক্লান্তির অঝোর নেশা,  
বারে বারে বিক্ষুব্ধ ঝড়ে 
অজানায় উড়ে যায় গুছানো মমতা গুলো। 

তবুও গড়ার সাধ ভাঙেনি , কোন কালে ,
কোন ভয়ে , কোন হুঙ্কারে  ।  

এ কোন মহাকাল তবে ! 
স্বপ্ন পোড়ায় , দুর্গন্ধ ছড়ায় , উপহাসের বায়ুতে ,
লক্ষ-কোটি আশার ভ্রূণ নিরবে নষ্ট হয় চারদিকে ! 

শান্ত ঘায়ে চাবুক মেরে এই রক্তাত দেহে 
আর কতো বল চেটে-পুঁটে খাবি ? 
কবে তৃপ্ত হয়ে মরবি বল ? 

আমি তবুও এখানেই বেঁচে আছি  ,থাকবো 
স্বপ্ন বুনবো , আবার বাঁধবো নীড় , 
তোদের বেলা শেষে ।

১০ জুন ২০২২

Bff

LOVEন

কবি গোলাম মোস্তফা এর কবিতা "আমাদের শিশু"





আমাদের শিশু

গোলাম মোস্তফা 



শিশুরা নয়ন সুন্দর 
শিশু মানে পরিবারে সুখের স্পন্দন
বয়োবৃদ্ধদের অবলম্বন
নতুন পিতামাতার সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধন।

শিশু মানেই আধো আধো ডাক
আধো আধো উচ্চারণ
শিশু মানেই টলোমলো চলা
কষ্ট কল্পিত মিষ্টি সম্ভাসন।

শিশু মানে অনেক যত্ন অনেক প্রত্যাশা
শিশু মানে মাতার রাত ঘুমহীন
বিরামহীন পরিচর্যা আর ভয়ে ভয়ে দিন যাপন
শিশু মানেই পরিবারে জেগে থাকা স্বপ্ন রঙিন।

যে শিশু শান্তি আনে স্বস্তি আনে 
বড় হলেই সে শিশুই আঘাত হানে
সে শিশুই পিতা মাতার দুঃখের কারণ
সে শিশুই পিতা- মাতার বুকে শেল হানে।

অনন্ত প্রত্যাশার শিশুর শিক্ষা হোক মানবিক
তোতা পাখি না হোক জীবন
বাস্তবতা দেখে ঠেকে ঠেকে শিখুক
সত্যের পথে পরিবর্তিত হোক আজীবন।

শিশুর শিক্ষা হোক কর্মমুখর 
বাবু সংস্কৃতির উর্ধ্বে উঠুক পরিবারের অনুশীলন
শিশু স্বনির্ভর ভাবে গড়ে উঠুক
স্বার্থপরতা নয় পরার্থপরতা হোক তার মিশন।

কবি মোঃ হা‌বিবুর রহমান এর কবিতা "জ্যৈ‌ষ্ঠৈর দুপু‌রে"





জ্যৈ‌ষ্ঠৈর দুপু‌রে

মোঃ হা‌বিবুর রহমান



ছন্দ তু‌লিয়াই ময়ূর যবে পেখম মে‌লিল স‌বে গগ‌নে,
কাকাতুয়ারা ধ‌রিলো গান ম‌নের সু‌খেই তা একা‌ন্তে।
‌কো‌কিলা এখ‌নো ডা‌কে কু-হু কু-হু গা‌ছের আবডা‌লে, 
মাছরাঙাটি ব‌সে আ‌ছে একই ধ্যা‌ণে মা‌ছের সন্ধা‌নে।

 শামুকভাঙ্গারা দল ‌বাধিয়া উ‌ড়িয়া গগ‌নে ছু‌টে চ‌লে,
কানা বকেরা মা‌ছের সন্ধা‌নে অ‌পেক্ষার প্রহর গো‌ণে।
হুতুম পেঁচা‌কে দি‌নের বেলায় দে‌খে হয় সবাই অবাক,
ঐ দূর হ‌'তে ‌ভে‌সে আ‌সে ঘুঘু পা‌খিদের সনাতন ডাক।

ভর দুপু‌রে দ‌খিনার বাতা‌সে দোলা দি‌য়ে যায় ম‌নে,
ম‌নে ছন্দ জা‌গে সেই দখিনা মৃদুমন্দ বায়ুর তো‌ড়ে।
ঘ‌রের পা‌শে আম্রপাতার পত পত আওয়াজ ‌যেন শু‌নি,
দুরূদুরূ মন আজি শু‌নি বিপ‌দের কোন আলামত না‌কি ?

‌জ্যৈষ্ঠের এ ভর দুপু‌রে সুরূজ ঢা‌লি‌ছে গ্রী‌ষ্মের খরতাপ,
ধরাটা পুড়ে হ‌'চ্ছে তাই ফু‌টিফাটা যেন একদম ছারখার।
‌কোথাও নেই বাতাস, পত্রপল্লব হ‌'য়ে গে‌ছে অসার স‌বি,
এ‌কোন সং‌কেত বু‌ঝি‌তে না‌‌ পা‌রি বিপ‌দের আশু ধ্ব‌নি।

দূর আকা‌শে জ‌মি‌ছে কা‌লো ঘন মেঘ ঈশান কো‌ণে,
সবাই ব‌সে আ‌ছে বৃ‌ষ্টির অ‌পেক্ষায় বড় আশা নি‌য়ে।

০৯ জুন ২০২২

Gffhh

LOVE

কবি দোদুল পার্থ "নিজেকে পাইনি কোথাও"





নিজেকে পাইনি কোথাও 

দোদুল পার্থ 



নিজেকে পাবো বলে আমি বহুপথ হেঁটেছি --
হেঁটেছি আমি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত।
কাঁটানটের বন পেরিয়ে মাধবীলতার কাছে থমকে দাঁড়িয়েছি মৌনতায়,
দাঁড়িয়ে থেকেছি আকন্দফুলের বাকল ছুঁয়ে 
শুধুই নিজেকে পাবো বলে ।
নিজেকে পাবো বলে পানকৌড়ির ঠোঁটে বসন্ত জমা রেখেছি,
কলঙ্কিত যমুনার চোখে এঁকেছি মেঘবতীর প্রণয়,
একমুঠো ধূসরতায় আমি খুঁজেছি পৃথিবীর তাবদ উষ্ণতা , 
তবুও নিজেকে পাইনি কোথাও !
আমার আমিটাকে বাঁধবো বলে হরিণ শাবকের কাছে শিখেছি গতিময়তা,
চন্দ্রের কিরণ থেকে একমুঠো সাদা আলোয় ভরেছি চায়ের পেয়ালা,
কদমের খসে পড়া রেণুর থেকে কুড়িয়ে নিয়েছি জীবনের প্রগাঢ় আহবান ,
তবুও নিজেকে বাঁধতে পারিনি   !
নিজেকে পাইনি আমি স্কুল শেষে ঘরে ফেরা মেঠোপথে চৌধুরীদের আমের বনে।
পাইনি আমি শাহবাগ মোড়ে দাবি আদায়ের মিছিলে,
একতারা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা কৌমুদী বাউলের সুরের মাঝে পাইনি নিজেকে।
অথচ নিজেকে খুঁজে চলেছি দুর্নিবার । 
মাতৃগর্ভ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ হয়ে মা মা চিৎকারে গগন কাঁপিয়ে নিজেকে হারাবার পর, 
আর নিজেকে আজও কোথাও খুঁজে পাইনি !

Hshsyhs

LOVE

কবি শারমিন সুলতানা রীনা এর কবিতা "ব্যার্থ মানচিত্র"




ব্যার্থ মানচিত্র
শারমিন সুলতানা রীনা



আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে ব্যাকুল হয়ে
বামন হলাম
বাতাসের শরীর বেয়ে ভেসে আসা 
ডানা ভাঙা পাখীর আর্তনাদ স্তব্ধ করে
বেদনায় লীন হয় বিষন্ন গোলাপ
মহাকালের বুকে

সবুজ ফসলের বিরান মাঠ ফিরে কি পাবে হারানো সৌন্দর্য 
পোড় খাওয়া প্রান্তর কাঁদে বিরহ শোকে

বুকে আগুন নিয়ে তবু কেউ সেচ হয়
জীবন জুড়ে শুধু আলো আঁধারের খেলা
ধূসর মরু বুক জলের প্রত্যাশায় বৃষ্টির জন্য অনন্ত অপেক্ষা

পলেস্তারা খসা প্রাচীন দেয়াল 
লাগেনা শিল্পিত তুলির ছোঁয়া

কত চাওয়া পাওয়া গুমড়ে গুমড়ে কাঁদে
দিনের বদল হয় ঘোরে কালের চাকা

জীবন সেকি পথ ভোলা অন্ধ গলি
নাকি বিষন্নতার বৈরাগ,
জোয়ারে মত্ত নদী ভাঙনের উন্মাদনায় কেঁপে ওঠা পাড়
সে কি পাহাড়ি ঝর্ণা চোরাবালি পথ
পেঁজা তুলো মেঘ রংধনুর সাতনরি হার
অবিচল পর্বত নাকি কেবলি সে এক ব্যার্থ মানচিত্র...

০৭ জুন ২০২২

মোঃ হাবিবুর রহমান এর প্রবন্ধ মানবিকতায়  বোধ"





প্রবন্ধ


মানবিকতায়  বোধ

মোঃ হাবিবুর রহমান 

নি‌জে ভুল ক‌'রেও অ‌নেক সময় অ‌ন্যের প্র‌তি অ‌ভিমান জন্মা‌তে পা‌রে। বেশীর ভাগ ক্ষে‌ত্রে এই অ‌ভিমানটি কিন্তু সম‌য়ের প‌রিক্রমায় দৃশ্যমান হবার আ‌গেই শূ‌ন্যে মি‌লি‌য়ে যায়।    

যা‌দের পঞ্চই‌ন্দ্রিয় খুবই তীক্ষ্ণ এবং পাশাপা‌শি যা‌দের মন‌‌ বেশ উদার প্রকৃ‌তির তা‌দের এই বোধগম্যতা তথা চেতনা‌বোধ‌টি বেশ আ‌গেভা‌‌গেই ভুল করার সা‌থে সা‌থেই জন্মে থা‌কে। ‌

বি‌বেকটি যা‌দের সদা জাগ্রত আর অন্যায় বোধ‌টি যা‌দের ত‌ড়িৎ গ‌তি‌র মত ক্রিয়াশীল হয়ে থা‌কে, সমা‌জে এই সমস্ত মানু‌ষেরা নি‌জের ভুল‌ সহ‌জেই বুঝ‌তে পে‌রে অনু‌শোচনা ক'র‌তে থা‌কে। 

আর এই বোধ‌টি থে‌কে তাদের অকস্মাৎ ও অনাকা‌ঙ্খিত অশা‌ন্তি‌ থে‌কে দ্রুতই ম‌ুক্ত হবার অ‌ভিপ্রায় জা‌গে আর পাশাপা‌শি সদা এই ভু‌লটির জন্য তারা নিজেই‌ নি‌জের প্র‌তি ধিক্কার জানা‌তে থা‌কে। 

আমি ম‌নে ক‌রি সমা‌জে এ‌হেন উন্নত মন মান‌সিকতার মানু‌ষেরাই প্রকৃত ভাল ও উত্তম মানুষ। 

মানুষ তো ভুল ক'র‌বেই ত‌বে কত দ্রুততার সা‌থে সে নি‌জে‌কে শুধরা‌নোর চেষ্টা ক'র‌বে সে বিষয়‌টি স্বয়ং সৃ‌ষ্টিকর্তা, মহন রাব্বুল আলামীন, আল্লাহতা'য়ালা যেমনটি পছন্দ ক‌রেন তেম‌নি এই জগ‌তের ভাল ম‌নের মানব মানবীরাও ‌বোধ ক‌রি একদম এর ব্য‌তিক্রম নয়।

Nvg

LOVE

কবি অনুপ রায় এর কবিতা "মনের বাসনা





মনের বাসনা
অনুপ রায়, 

আমি খুজেছি যাহারে !
আমার আপনার চেয়ে 
আপন সে জন !
খুজি তারে আমি আপনার মাঝে! 

আমার মনের তৃষ্ণিত আকাশে, 
চাতক সমো আকুলও পিয়াশে! 

আমার মনের পিয়ালও তমালে, 
দেখি তারে ভোরের ও আকাশে! 
রবির ও বেশে !

আমারই রচিত কাননে বসিয়া !
পরানও প্রিয়া মালিকা গাথিয়া, 
পরাবে মোর গলে  !

আমি শুনি যেন তার চরনের ধনী, 
আমারই পিয়াশী বাসনায় !

আমার মনের গহনে আমি তারে 
খুজেছি বারে বার...!

কবি মহিউদ্দিন আহমেদ এর কবিতা "মানিক বন্দোপাধ্যায়"





মানিক বন্দোপাধ্যায়
( চতুর্দশপদী)
মহিউদ্দিন আহমেদ 



তোমার প্রতি ডাল পাতা রন্দ্রে মূর্ত মাটির ঘ্রাণ,
ধরিত্রীর বুকে কি অভূতপূর্ব এক বৃক্ষ তুমি !
জীবনের বালুচর ভরিয়ে আনো পদ্মার বাণ,
স্বপ্ন তরীতে আঁকো জীবন-কাব্য ধন্য জন্মভুমি।
কি করে বেঁধে ফেলো ক্ষুধা ক্লিষ্ট দারিদ্র্য চিত্রকথা ?
নিকষ আঁধারে পথ দেখিয়ে আদিম রত্ন ধন,
বুকের গভীরে অনিন্দ্য কাব্যিক  আপামর-ব্যথা,
অবাক নয়নে পাপড়ি মেলে জনতা জনার্দন।

স্বপ্নের বীজ বুনে চলো খুঁজে নিয়ে নির্জন দ্বীপ,
ধূলিমাখা জীবনে গেঁথে অবিনাশী পদ্যের ঘ্রাণ,
কূয়াশা-পর্দা ঠেলে প্রকৃতি ভালে দিয়ে লাল টিপ,
পথহারা নদীতে জেগে উঠে দুর্বার কলতান ।
মশালে তোমার দেখে পথ বিভ্রান্ত সব পথিক,
দুর্দান্ত বাতিঘর তুমি আঁধার জগৎ-মানিক ।


০৫ জুন ২০২২

সাবেরা সুলতানা দিনা জুঁই এর কবিতা "শবনম তুমি ভোরের প্রেম"




শবনম তুমি ভোরের প্রেম

সাবেরা সুলতানা দিনা জুঁই 


 
শবনম তুমি প্রভাত ভোরের অলংকার,
তোমার রূপে সারা বিশ্ব সাজে শবনম,
শত দুঃখের মাঝেও এক ধরনের সুখ
প্রভাতে চোখ মেলেই যখন পাই তোমর দর্শন,
এর খানিকক্ষন পরেই সূর্য্যের উদয়ের লালা,
ঘুম এক ধরনের মিষ্টান্ন রোদের ভান্ডারের মতো,
প্রতি রাতে স্বপ্নের মতোই চুম্বনের সংগ্রহে  যায়,
ঝাঁক ঝাঁক স্বপ্নের পিপীলিকা শবনমের ফোটার মতো।

কবি গোলাম মোস্তফা এর কবিতা "তুমি চুপ কর"




তুমি চুপ কর

গোলাম মোস্তফা


তোমার কথা শুনি প্রতিদিন 
বাজখাঁই উচ্চারণে বলা - চুপ করো
তখন বুকের মধ্যে হঠাৎ ভয়
জমা হয়।
কখনো কখনো বাড়ির আঙিনায় 
সংগীসাথীদের সাথে জমে উঠি আড্ডায়
তুমি তখন তিরিক্ষি মেজাজে বলে উঠো
---এত হা হা হি হি আসে কোত্থেকে?
আমার আমতা আমতা করে বলা শব্দগুলো 
তোমাকে আরো ক্ষিপ্ত করে তোলে। 
যতই দুহাতের তালু এক করে কচলাতে থাকি
ততই তোমার চিৎকার বাড়ে। 
মনে হয় তোমার কন্ঠস্বর টাকে শাণিত করতে কতই না অনুশীলন করেছ!
মনের কথা গুলো উচ্চারণ করতে পারিনে,
ভয়ে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। 
শৈশবে আমার মা কখনো কন্ঠস্বরকে উচ্চ করতে দেন নি।
তিনি বলতেন - মিষ্টি করে কথা বলা অভ্যেস কর,
কন্ঠস্বর নীচু রাখার অনুশীলন কর,
হাসিটা মুচকি হাসিতে সীমাবদ্ধ রাখ
হা হা হি হি করে সবাই কে জানান দেওয়ার হাসি হাসতে নেই।
২৫ টা বছর এই অনুশীলনে প্রাণ পাত করেছি।
সংসারে সং সাজতে এসে দেখছি,
এখন তার বিপরীত।
আমার ছোট ছোট করে বলা,
মাথা নিচু করে মাটি সমান্তরালে চলা
কারো ঝঞ্জাট গায়ে না তুলেও
মিমাংসার হাত উচু করে তোলা 
সবি গাত্রদাহের উপকরণ।
ছোট ছোট ত্রুটি 
যাযাবরের মত জীবন যাপন তোমার চরম অপছন্দের। 
টাকা আনা পাইএ জীবন সীমাবদ্ধ নেই।
পানের থেকে চুন খসলেই তুলকালাম, 
সব শেষে - চুপ কর।"
উচ্চারণ থামাও,
উপভোগ কর সীমাহীন মুক্তির আনন্দ।

০৩ জুন ২০২২

মমতা রায় চৌধুরী র ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭৭





উপন্যাস 

টানাপোড়েন   ১৭৭
চোর

মমতা রায় চৌধুরী



সারাটা বেলা কেটেছে দুশ্চিন্তা আর অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে। এখন বৃষ্টি নেই কিন্তু আকাশ মেঘে ঢাকা যেটুকু আলো এই শহর পেয়েছে মেঘ থেকে স্মিমিত আলো তাতে এই শহরতলী কে যেন আরও জীর্ণ করে রেখেছে। কিছুক্ষণ রেখা জানলার কাছে দাঁড়িয়ে মানুষের আনাগোনা দেখতে লাগল আসলে সারা দিন বৃষ্টির পরে এখন বৃষ্টি টা একটু কম হওয়াতে মানুষ বেরিয়েছে। কত মানুষের কত প্রয়োজন কেউ অর্থের জন্য ছুটে কেউ যশের জন্য কেউবা আনন্দ উপভোগের জন্য আবার কেউ বা হতাশা বিষাদ দুঃখ কান্না নিজের মনের ভেতরে সঞ্চয় করে শহরেই বাসা বাঁধে। একমাত্র এই শহরে তো কোনকিছুর খবর রাখে না কার কি হলো কি গেল কি কি করলো? শহর একেবারে দরাজ এসব ব্যাপারে। কিন্তু মাটির যে স্নেহ যে টান যারা মাটির কাছাকাছি থেকেছে শুধুমাত্র তারাই অনুভব করতে পারে। মর্মে মর্মে অনুভব করছে শহরে থাকার জীবন। এখানে পথের ধুলো আকাশে ধোয়া বাতাসেও যেন বিষ মেশানো ভালো করে নিঃশ্বাস নেবার উপায় নেই তাইতো শহরের মানুষ দূরে যায় প্রাণ ভরে শ্বাস নেবার জন্য প্রকৃতির স্নিগ্ধ কোলে।
আজ এত বছর বিবাহিত জীবনের এই শহরটাকে আপন করতে পারলো না রেখা। এই শহরে সব সময় মানুষকে একপেশে করে রাখে। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জায়গা থাকে না। মানুষগুলো কেমন অচেনা মনে হয় আত্মিক বন্ধনই যেন তৈরি হয় না। না হলে স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কের মধ্যেও আজকে মনোজের ভেতরে যে টানাপোড়েন চলছে, তার কাছে কেন মুখ ফুটে বলতে পারছেনা কি জন্য? শহরের মানুষগুলো তোমার জটিল সব সময় যেন একটা প্যাঁচখুঁজে বেড়ায়। একটা স্নেহ শীতল হৃদয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল? রেখা অবাক হয়ে যায় স্ত্রী স্বামীর কাছাকাছি থাকা সত্বেও মনের কাছে যেতে পারেনি। তবে শহরের সব মানুষই যে খারাপ সে কথা বলা যায় না তাই যদি হতো পাশাপাশি থাকা পার্থ ,চৈতালির মা, কাকিমা(পার্থর মা) এরাতো কত খোঁজ খবর নেয়। কিন্তু তাহলেও একটা দূরত্ব থেকেই যায় সব কথা তো বলা যায় না।না হলে সকালে পার্থ  এসেছিল মনোজের কথাটাকে রেখাই বা খুলে বলতে পারল না কেন?
রেখাও কি তাহলে আস্তে আস্তে শহরের বিষে আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে?
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত কিছুই বদলে যেতে থাকে।
এমন সময় পাশের বাড়ির চৈতালির মার চিৎকারের আওয়াজ পাওয়া গেল।
রেখা কানটা খাড়া শোনার চেষ্টা করলো ওদিকে মিলি আর ওর  বাচ্চারাও খুব চিৎকার করছে।
কী হলো কে জানে?
রেখা এবার ড্রইং রুমের জানালাটা এসে খুলল।
চৈতালির মার আওয়াজ 'চোর ,চোর , চোর বলে চিৎকার করছে?'
রেখা মনে  মনে ভাবল পার্থ যে সকালবেলায় কথাটা বলেছিল তাহলে তো এখন ভয়ের ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে।
রেখা হাঁপাতে হাঁপাতে এসে মনোজকে বলল' কি গো শুনছো?'
মনোজ মুখ তুলে তাকিয়ে রইল কৌতুহলে।
চৈতি দের বাড়িতে মনে চোর এসেছে?
মনোজিত অবাক হয়ে বললো চোর এসেছে সন্ধ্যেবেলায় চোর আসে বাপের জন্মে বাবা শুনিনি।
আরে বাবা কারেন্টটা তো অনেকক্ষণ আগে গেছে সেটা ভাবো তারপর হচ্ছে মেঘলা ওয়েদার শুনশান পরিবেশ না হবার তো কিছু নেই।
মানুষ কি একটা ভাবল তারপর বলল হ্যাঁ তা অবশ্য ঠিক।
এইতো কদিন আগেই এ ব্লকেও চুরি হয়েছে।
রেখা বলল সেই জন্যই তো বলছি।
সকালবেলায় পার্থ এই কথাটা বলেছিল। যাওনা পাশাপাশি থাকি।
মনোজ ফোনটা রেখে বলল হ্যাঁ ঠিকই বলেছে যাওয়া উচিত।
মনোজ দরজা খুলে বেরোতে গেল। তখন রেখা বললো সাবধানে। আবার তুমি সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর কোনো দরকার  নেই।
মনোজ বেরিয়ে গেলো।
রেখা মনে মনে ভাবল ছিঃ এটা কি বলল মনোজ কে। সত্যি সত্যি শহুরে মানসিকতা ধরে গেছে মনে হচ্ছে রেখাকে। শহরের এই ক্যান্সার থেকে মুক্তি নেই। রেখা ড্রইং রুমের জানালার কাছে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণের জন্য যেন সেই চিৎকারটা ও থেমে গেল।
ভাসা-ভাসা কথা শোনা যাচ্ছে। কাউকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তোমরা এখানে কেন এসেছিলে রেখা কান টাকার একটু খাড়া করলো
ভালো বোঝা যাচ্ছে না।
তবে মনে হয় চোর ধরা পড়েছে। রাম ধোলাই খাবে এখন। পাবলিকের মার খাইনি তো বাছাধনেরা এবার বুঝিয়ে দেবে অন্নপ্রাশনের ভাত হজম করিয়ে দেবে।
রেখা এবার রান্নাঘরের দিকে এগোলো বাচ্চাগুলোর খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে নটা বাজতে চলল।
খাবার গরম করতে করতেই ওদিকে দরজায় নক করার আওয়াজ শুনতে পেল।রেখা মনে মনে ভাবল যে এসেছে তার জানা উচিত। কলিংবেল লাগানো আছে। কলিং বেলটা তো আর এমনি এমনি লাগানো হয়নি।
আবার দরজায় নক। রেখা বিরক্তি ভাবে গিয়ে দরজাটা খুলল। দরজা খুলতেই গটগট করে ভেতরে চলে আসলো তারপর মনোজদের ঘরে চলে গেল।
রেখা বলল 'কিরে তুই যে স্মার্টলি ভেতরে চলে আসলি?''
তুলি  একবার কি কারণে রেখার  দিকে তাকিয়ে সোজা মনোজদের ঘরে ঢুকে গেল।
রেখা বলল 'তুতু (তুলি) আজকাল এই নামেই ডাকে। তুমি যে এসে শুয়ে পড়লে খাবার খাবে না চলো চলো খাবার খাবে।
ওমা সত্যি সত্যি কি সুন্দর কথা বোঝে একেবারে রেখার পেছনে পেছনে গিয়ে হাজির হল খাবারের জায়গায়। সবাইকে পেপার পেতে পেতে দিল তার ওপর খাবার দিল। খাবারের থালা টা হাতে নিয়েই একবার উঁকি মেরে বোঝার চেষ্টা করলো কি ব্যাপারটা ঘটলো যে চৈতিদের বাড়িতে।
এবাবা ধারে-কাছে না মনোজ না পার্থ কাউকে দেখতে পাচ্ছে না।"
তবে কোন এক জায়গায় যে  জট লা হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে।
রেখা আর  বেশি সময় নষ্ট করলো না এঁটো থালা নিয়ে । রাত্রে আবার রুটি করা আছে।
ও বাবা তুলিও পেছনে পেছনে আসা শুরু করেছে। রেখা বলল" হ্যাঁরে তুতু  এখন তো রাত হয়েছে। বাইরে পাহাড়ে টা কে দেবে তুমি ঘরে বসে থাকলে?'পর রেখা মনে মনে ভাবল থাক যতক্ষণ না পেয়েছে ততক্ষণ ঘরে থাক পরে বের করে দেয়া যাবে।
এবার ঝপ ঝপ রুটি করে নিল। ফ্রিজ থেকে তোর কাঁটা বের করে গরম করে রাখল। পেঁয়াজ কেটে রাখল কাঁচালঙ্কা ও কয়েকটা ধুয়ে রেখে দিল।
সবেমাত্র হাতটা দিয়ে আঁচলে মুছছে ঠিক তখনই ফোন বেজে উঠল। ফোনের কলতান রেখাকে তাড়াতাড়ি ফোন এর কাছে কাছে যেতে বাধ্য করলো।
ফোনটা রিসিভ করেই বললো' হ্যালো'
"হ্যাঁ ম্যাডাম কেমন আছেন?"
"ও আপনি ,ভালো আছি ।আপনারা ভালো আছেন? 
"এই চলছে।"
বলছি নেক্সট পর্ব লেখা কমপ্লিট?
না পুরোটা এখনো লেখা হয়নি।
সম্পাদক চিন্তিতভাবে বলল সে কি ?কেন,?
'নানা কাজে ছিলাম'।
আশাকরি রাত্রের মধ্যে লিখে পাঠাতে পারবো।
আপনি জানেন ম্যাডাম আপনার লেখা পড়ার জন্য পাঠকেরাই তো আগে জিজ্ঞেস করেন পরের পর্ব ঠিক পাবো তো,?
আমি সম্পাদক হিসেবে তাদেরকে সান্তনা দিয়ে বলি নিশ্চয়ই পাবেন।'
তাই বলছি পাঠকের ক্রেজটাকে নষ্ট করে দেবেন না।
'না না একি বলছেন?'
'ঠিক আছে, রাখছি তাহলে। ভাল থাকবেন।'
'হ্যাঁ আপনিও।'
এমন সময় মনোজ ঢুকলো। মনোজ দরজা লাগাতে যাচ্ছে তখন রেখে চিৎকার করে বলে লাগিও না তুতু আছে ভেতরে ওকে বের করতে হবে।
তারপরেই বলল হ্যাঁ গো কি হয়েছিল চইদি দের বাড়ি?
আর বোলো না এক কেলেঙ্কারি।
আরে ওদের গাছের নারকেল পারতে গেছিল দুটো ছেলে।
রেখা অবাক হয়ে বলল সে কি?
আর বৌদি ওটাই চোর চোর বলে চেঁচাচ্ছিল।
ছেলেদুটো ধরা পড়েছে।
হ্যাঁ সেই জন্যই তো আরো খারাপ লাগছে?
'এটা খারাপ লাগার কি আছে?'
আরে ছেলেদুটো তো চেনা ছেলে ঘোষ দের বাড়ির ছেলে।
আরে ছেলেদুটো সত্যি কথাই বলেছে' আসলে ওদের বন্ধুদের মধ্যে নাকি বাজি ধরা হয়েছে নারকেল পেড়ে আনার উপরন্তু তাদের প্রাপ্তির ভান্ডার পূর্ণ হল চোর বদনাম দিয়ে।

কবি শিবনাথ মন্ডল এর কবিতা "সুখী পরিবার"




সুখী পরিবার

শিবনাথ মণ্ডল


ছোটো পরিবার সুখী পরিবার 
কথাটা মধুর
পিতামাতাকে কেউকেউ
করে দূরদূর।
বড় পরিবারে থাকতে বলে
লাগে বোকাবোকা
নিজ পরিবার নিয়ে 
থাকতে চাই একাএকা।
বিয়ের আগে বাবা মা
হয় কত ভালো 
বিয়ের পরে ছেলেদের
মুখ হয় কালো।
যারা মানুষ করলো তাদের
ভাত দিতে কষ্ট
বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে
বোলে দেয় পষ্ট।
ছোটো পরিবার সুখী পরিবার
কথাটি সোজা
বৌ বাচ্চা সবাই আপন 
বাবা মা বোঝা।।

কবি শেখ রাসেল এর কবিতা "সত্য আলোয় সাজি"





সত্য আলোয় সাজি 

শেখ রাসেল 


আমায় নিয়ে নিন্দা করে,পাড়ার কতোই লোক। 
তবুও মা'গো আগলে রেখো,কষ্ট যতোই হোক। 
কেউবা বলে লাফাঙ্গা আর,দেখতে কতোই পাঁজি।
হাতড়ে দেখো ভেতরটা ঐ,সত্য আলোয় সাজি।

দেয়না সমাজ সত্যি কথার,একটু খানিক দাম।
কটুক্তি আর নিন্দা পাড়ায়,দুঃখ ঝরায় ঘাম।
বিবেক যাদের মিথ্যা মোহ,তার থাকে কি হুঁশ। 
পেটটা খেয়েই করছে বড়,দূর্নীতি আর ঘুষ।

যুগের এমন দস্যি ধারায়,দ্বন্দ্ব হাজার নীতি।
বুক ফুলিয়ে গাইবে তারা,সাম্য ন্যায়ের গীতি।
উচিত কথায় মুখটি কালো,সভ্য সমাজ পতি।
মনুষ্য জাত বিভেদ গড়ে,মূল্য নাই এক রতি।

আমরা নবীন সত্য করে,বললে সোজা কথা।
তোমরা প্রবীণ বুদ্ধিজীবি,পাও কি মনে ব্যাথা?
তেল মাখা ঐ মিথ্যে বুলি,গাইলে খুবই ভালো। 
নইলে বেজায় তিক্ত হবে,মুখটা পুড়েই কালো।

আঁধার ঘরে গুমরে কাঁদে,সত্য উচিত বাণী। 
বর্গী আমার সোনার দেশে,রসুন বুনায় জানি।
কলম যদি যায় গো থেমে,লিখতে কথা খাঁটি, 
বিবেক তবে মরছে যেনো?সইবেনা মা মাটি।

কবি আশরাফ আজিজ এর কবিতা "সূর্যমুখি"





সূর্যমুখি 

আশরাফ আজিজ

 

কবে কোন পৌষালী থৈ থৈ চন্দ্রিমা রাতে বুকের আলো ফেলে আমাকে কুড়িয়ে নিয়ে ছিলে মনে পড়ে? 
মনে পড়ে-মাধবী ঝাড়ের সেই উসখুস পাতার নিস্বন 
তোমার নিঃশ্বাসে গুঁজে দিয়েছিল জোতির্ময় হৃদয়ের ওম
আজো সেই বিপুল মর্মরিত দিনান্তের কথাকলি গোধূলির শেষ চাহনির আরক্ত আকাশ আর মেরুন সূর্যাস্ত দেখলেই মনে পড়ে 
আর ভেতরে হু হু বয়ে 
ধূলো মাখা বিষন্ন হাওয়া,,, 

যখন একাকী নিদাঘ দুপুরে কিংবা রাতের অবসরে যাই লেখার টেবিলে 
হঠাৎ মনে পড়ে তোমার দিগন্ত জোড়া প্রাণখোলা অম্লান ফোয়ারা 
মনে পড়ে শিল্পত ভঙিমায় তোমার কথা বলার বিরল সৌন্দর্য আর তাতেই ভালোবাসার জ্যোৎস্না প্রথম বুকের দরোজা খুলেছিল,,, আজো মনে পড়ে,,,, 

তোমারও কি মনে পড়ে সেই শীতর্ব বিকেলে কুল কুল বয়ে যাওয়া নদীর মতো বয়ে যাচ্ছিল আমাদের আফোটা সময় 
দুজনের বুকের গভীরে ছিল ভোরের কাঁচা রোদের মতো স্বপ্ন 
আর সেই প্রাণখোলা নির্জন প্রহরে আততায়ীর মতো আমাদের ঘিরে রেখেছিল তিনটি খয়েরী শালিক 
মনে পড়ে,,, মনে পড়ে তোমার,,,,,? 

নিঃসঙ্গ স্মৃতির মতো আজো মনে পড়ে তোমার সেই বিস্মিত স্বপ্নময় চোখের আলোতে সেদিন ফুটেছিল শিশির-স্নাত একটি সম্ভাবনাময় ভোরের সূর্যমুখী।

কবি নাছিমা মিশু এর কবিতা "আমার নাম দেই ষড়যন্ত"





আমরা নাম দেই ষড়যন্ত
নাছিমা মিশু




কে  তুমি ?
কার তুমি ?
হে ষড়যন্ত দানব !
নিজেকে উজাড় করে
তোমার ই মায়ের  জঠরকে করো কলংকিত!
যে কোনো ঘটনা ঘটার পরেই 
পক্ষ বিপক্ষ তুষ্টের বেড়াজালে দ্বন্দ্ব বিবাদ লাগাই অনিবার্য !

আমাদের চর্মচক্ষু যতটা উজ্জ্বলতায় পারদর্শী,চৌকষ,
আমাদের অন্তর দৃষ্টি ঠিক ততটাই অন্ধ,অথর্ব। 

একবিংশ শতকের আধুনিকতায় উদ্ভাসিত আমরা অত্যন্ত আধুনিক মানসিকতায় সমেত সম !

আমাদের বিদ্যালয় মহিলা বিদ্যালয়,তথায় প্রধান শিক্ষক পুরুষ ।
আমাদের মাদ্রাসা- মহিলা মাদ্রাসা সেখানকার প্রধান পুরুষ।
মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী নিবাসের তত্ত্বাবধায়ক পুরুষ।
 
আমাদের প্রধান শিক্ষিকাকে একজন ইউপি মেম্বার ইচ্ছে হলে মেরে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দিতে পারে।

আমাদের শিশু কিশোরী যুবতী নারী -কুমারী ,সধবা,বিধবা, বৃদ্ধা,অতীশীপর বার্ধক্য জীর্ণশীর্ণকে যখন তখন ধর্ষণ,নির্যাতন করা যেতে পারে।

আমাদের জন্য ঘর বাহির সমান।
আদিম হিংস্রতা আমাদের একবিংশ আধুনিকতার কাছে কিছুই না।
আমাদের বেগ বিজ্ঞান মনস্ক বেগের থেকে ও বহুগুন দ্রুতগামী।তারই বিচ্ছুরিত লাভা এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে তাতে অধঃপতিত ধ্বংশে পোড়ছে সমাজ সংসার ,পরিবার।
তবে আমাদের বিবেক মানবিকতা আদর্শ ন্যায় নীতি বিচার আইন কানুন খুব খুবই সচেতন ! 
এদের সমস্যা হলো পক্ষপাত তুষ্টতা।বিবাদ , পক্ষ বিপক্ষ, দোষ দোষী দোষারোপ।
 সর্বশেষ- শীলে পাটায় ঘসাঘসি মরিচের জীবন শেষ।

০২ জুন ২০২২

মমতা রায় চৌধুরী র ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭৬




উপন্যাস 

টানাপোড়েন   ১৭৬

টেনশন


মমতা রায় চৌধুরী 




মহা সমস্যায় পড়েছে রেখা। একদিকে খাতার চাপ অন্যদিকে লেখা র চাপ আবার মনোজকে নিয়ে একটা মানসিক চাপ সব মিলিয়ে যেন ঘেটে ঘ হয়ে গেছে। ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে বসে এসবই ভাবছে, হঠাৎ মনোজ বাথরুমে যেতে গিয়ে রেখাকে এভাবে বসে থাকতে দেখে বলল 'তুমি ট্রেন ধরবে না?"
রেখা এতটাই ভাবনায় মগ্ন ছিল যে মনোজের আসার ব্যাপারটা টের পায়নি। তখনো ভেবে যাচ্ছে ঝড় কোন দিক থেকে তার জীবনে আসছে কে জানে? এই ঝড়কে সে সামলে উঠতে পারবে কিনা?
মনোজ এবার  চিৎকার করে বললো' কি ব্যাপার তুমি ট্রেন ধরবে না?"
রেখার ধ্যান ভাঙ্গে আর ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে মনোজের দিকে।
মনোজ কাছে গিয়ে হাত নেড়ে বলে *হ্যালো, কি হলো তোমার?'
রেখা বলল' কি?"
মনোজ বলল" সেটাই তো জানতে চাইছি।'
রেখা বলল' কি? কিছুই না।'
 মনোজ বলল' তুমি স্কুলে যাবে না? ট্রেন ধরবে তো? রেডি না হয়ে বসে আছো?,
'না আজকে স্কুলে যাব না।'
মনোজ অবাক হয়ে বলে 'কেন শরীর ঠিক নেই?'
', তা ঠিক নয়। ঝমঝম করে বৃষ্টির আওয়াজ শুনে বলল'বৃষ্টি হচ্ছে?'
এ বাবা বৃষ্টি হচ্ছে খেয়াল কর নি।
'যা গরম টা পড়েছিল বৃষ্টি হওয়াতে ভালই হচ্ছে। কালকে রাত্রেও তো খুব বৃষ্টি হয়েছে।'
ওদিকে তোমার তুলি  কিন্তু ঘর ছেড়ে বেরোচ্ছে না।
রেখা বলল"এখানেও কি আমার দোষ?"
মনোজ বলল না তা ঠিক নয়।
 রেখা মনোজকে দেখছে আর অবাক হচ্ছে'কিভাবে কথা বলছে তাতে তো এখন মনোজকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে না, কিছুক্ষণ আগেও মনোজকে কতটা টেন্সড দেখেছে।
সবাই বলে নারী চরিত্র বিচিত্র। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর ও নাকি বোঝার ক্ষমতা নেই। পুরুষ চরিত্রই বা কম কিসে? শুধু শুধু আজ স্কুলটা কামাই করলো। আবার রেখা মনে মনে ভাবল ছুটিই তো গেছে। মানুষের থেকে ছুটির দাম তো বেশি হতে পারে না। রূপসার হাজবেন্ডের কথা শুনে মনের ভেতরটা কেমন ধড়াস করে উঠল। স্বাভাবিক ছন্দে ছিল সারাটা দিন হাসি ঠাট্টা করেছে ,মনের মত খাবার রান্না করেছে রুপসাকে দিয়ে অথচ সেই মানুষটির ঐরকম একটি কাজ করতে পারে ?এটা কল্পনার অতীত ছিল ।একটা পুরো ফ্যামিলি ভেসে যাবে না থাকলে সেটা কখনো ভাবতেই পারল না। নিজের সন্তানের কথা ও চিন্তা করলো না। দীক্ষিত হয়েও সদ্গুরুর কথাও চিন্তা করলো না। মানুষের মনে হতাশা ,অবসাদ ,অসহায়তা কোথায় টেনে নিয়ে যেতে পারে ,ভালোবাসার সবকিছুকে ছিন্ন করে চলে যেতে পারে ।এইসব ভাবতেই রেখার গা শিউরে উঠলো। ভেতরে ভেতরে কত বড় ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছিল সে কথা একবারও রুপসা কে বলেনি। একবার যদি বলতো, হয়তো কিছু হলেও একটা সমাধান বেরিয়ে আসতো। আপনার জীবনকে মূল্য দিতে হতো না ।রেখাও সেই একই কথা ভাবছে মনোজ কদিন ধরেই ডিস্টার্ব আছে কিন্তু কি হচ্ছে, কি জন্য? সেটা রেখা জানে না।
মনোজ বলল 'তুমি স্কুলে গেলে না কেন?'
"ভালো লাগলো না। তুমি আছো 
বাড়ীতে ।ভাবলাম আমিও থেকে যাই।'
'শুধু এই কারণে থেকে গেলে?'
রেখা বলল' হ্যাঁ।'
মনোজ যেন খুশি হতে পারল না।
রেখা সেটা বুঝতে পেরেই বলল 'আরেকটা কারণ অবশ্যই ছিল?'
মনোজ বলল' কি?'
রেখা বলল''খাতা '
মনোজ বলো 'তাই বলো?'
"তোমার রথ দেখাও হলো কলা বেঁচাও হল।'
'এভাবে কেন বলছো আমি কি তোমার জন্য ছুটি নিতে পারি না, নাকি কখনো নিই  নি?'
মনোজ কি একটা বলতে গেল কিন্তু না বলে আবার ভাবনায় মগ্ন হল ।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই ফোন ঘেটে যেতে লাগলো।
রেখা মনে মনে ভাবছে "মনোজের মনের ভেতরে কি হচ্ছে কে জানে ?মনটা যদি এই মুহূর্তে পড়তে পারতো তাহলে মনে হয় সব থেকে ভালো
 হতো ।তবে যাই হোক স্কুলে না গিয়ে ভালোই করেছে। ওর মন একদম ভালো নেই ।কি কারনে? কাকেই বা বলবে?'
এমন সময় বাইরে মিলির আর ওর বাচ্চাদের চিৎকার শোনা গেল।
রেখা বললো 'দেখ তো কি হলো,?'
কিন্তু মনোজের কোনো হেলদোল নেই। অন্য সময় হলে রেখা রেগে যেত ।এখনো রাগ হচ্ছে কিন্তু মানুষটাকে ঘাটাতে চাইছে না।
রেখা নিজেই দরজা খুললো ,খুলে দেখল দুজন অচেনা যুবক এসে আশ্রয় নিয়েছে সানসেট এর নিচে। রেখা বলল' তোমরা চেঁচাচ্ছ কেনো?'
ওরা সবাই লেজ নেড়ে কিউ কিউ কিউ  আওয়াজ করলো।
রেখা ওদের গায়ে হাত বুলাতে লাগল।
তারপর অচেনা ছেলে দুটিকে জিজ্ঞেস করল 'তোমাদের বাড়ি কোথায়?'
যুবক দুজন বলল 'রেল গেটের কাছে।'
তোমরা এদিকে কি করতে এসেছো?
"আমরা সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম বৌদি ।এখন আরো বেশি জোরে বৃষ্টিআসাতে আপনাদের এই জায়গাটাতে একটু আশ্রয় নিয়েছি।"
আশ্রয় নিয়েছ সে জন্য কোন ব্যাপার নাই, কিন্তু যখন দেখছ ওরা চেঁচাচ্ছে তাহলে তোমাদের নো অন্য কোন জায়গায় যাওয়া উচিত ছিল।
আরও তো অনেক বাড়ি আছে?'
ছেলেদুটো কোন কথার জবাব দিল না। রেখার কেমন সন্দেহ হতে লাগলো। কিছুদিন আগে 'এ 'ব্লগে চুরি  হয়েছে।
দিনকাল ভাল নয়। আবার মনে মনে ভাবল অকারনে সন্দেহ যেন ক্রমশ মানুষের মনে বাসা বাঁধছে । ভালোও তো   হতে পারে ।হয়তো সত্যি সত্যিই বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য আশ্রয় নিয়েছে। রেখার এরকম করে বলাটা ঠিক হলো না বোধহয়। তারপর বলল' ঠিক আছে, না 
দাঁড়াও ।তবে বেরোনোর আগেতোমাদের ব্যবস্থা নিয়ে আসা উচিত ছিল রেনকোট বা ছাতা।
তাছাড়া বৃষ্টিটা তো কাল রাত থেকেই হচ্ছিল সকালের দিকে একটু কমেছিল তারপর আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
ছেলেগুলোকে বলার কোনো স্কোপই  দিল না।
আমি তো এদের চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি তোমরা।
ছেলেগুলো বলল "এগুলো আপনার পোষা?'
এদের কেও এক অসহায় অবস্থায় 
পেয়েছিলাম ।পোষা নয়, তবে এদের আমি খাবার দিই,সেই করোনাকালীন পরিস্থিতি থেকে। তারপর এর বাচ্চাকাচ্চা হল। এরাও দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল। এখন এরা এখানেই থাকে।'
ছেলেগুলো বলল "বাহ আপনার মত কজন করেন? দেখে খুব ভালো লাগলো।"
রেখা বলল 'ভগবান করাচ্ছেন তাই করছি।'
ছেলেগুলো ওদের গায়ে হাত বুলাতে লাগলো। মিলিরাও কেমন শান্ত হয়ে বসে রইল।
এরইমধ্যে হন্তদন্ত হয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে পার্থ যাচ্ছিল রাস্তা দিয়ে। রেখা দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ডাকলো পার্থ ,পার্থ।
পার্থকে আসতে দেখেই ছেলে দুটো তাড়াতাড়ি করে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে গেল।
পার্থ এসে বলল'কি হয়েছে বৌদি?'
'তুমি কোথায় যাচ্ছিলে?'
আরে মায়ের হঠাৎ করে পেটে খুব যন্ত্রণা হচ্ছে আমি বললাম দেখো তোমার গ্যাস ফর্ম করেছে জল বেশি করে খাও আর বললাম অ্যান্টাসিড খেয়ে নিতে। এন্টাসিড নেই ফুরিয়ে গেছে সেটা আগে বলেও নি।
'ও তাই তুমি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দোকানে যাচ্ছ ।তাই তো ?সঞ্জীবনীতে।'
হ্যাঁ একদমই তাই?
'তুমি আজকে স্কুলে যাওনি বৃষ্টি বলে?'
হ্যাঁ খানিকটা তা বলতে পারো?
পার্থ বলল কেন অন্য কিছু কারণ আছে নাকি?
আরে তোমার দাদা যখন যায়নি তারপর আমার খাতাও রয়েছে দেখলাম খাতাগুলো দেখে ফেলতে হবে থেকে গেলাম।
মাসিমাকে ওষুধ কিনে দিয়ে এসো না বাড়িতে দাদার সাথে একটু গল্প করবে?
সে ঠিক আছে দেখছি আমি।
রেখা চাইছে মনোজ সবার সাথে এনগেজড থাকুক। একাকীত্ব না আসুক। একা থাকলেই হাজারো চিন্তা মাথায় ঘুরবে।
"তুমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছো কেন?'
আর বোলো না হঠাৎ করে দেখছি মিলি আর বাচ্চারা এত চিৎকার করছে তোমার দাদাকে বললাম দেখো কেন চিৎকার করছে ওর তো কোনো হেলদোল নেই, তো ,আমি দরজা খুলে দেখি দুটো অচেনা ছেলে দাঁড়িয়ে।
পার্থ বলল "বাহ দারুন ব্যাপার তো?"
"কেমন দেখতে ছেলে দুটো?"
"ধুর ,আমি কি অত ভালো করে দেখেছি নাকি?
তবে শ্যাম বর্ণ, দো হারা।"
এইযা বৌদি যা বর্ণনা দিচ্ছ এই ছেলেদুটো তো মোটেই ভালো নয়।
রেখার বুকটা কেমন কেঁপে উঠল। অবাক হয়ে পার্থ মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
'ওরা গেল কখন?"
হ্যাঁ আমি হয়তো খেয়াল করিনি তবে তুমি ঢুকছো দেখে ওরা বেরিয়ে যাচ্ছে। আমিও আর ডাকিনি ভাবলাম হয়তো তাড়া আছে এই জন্য বেরিয়ে যাচ্ছে।
আসলে আমাকে দেখে নিয়েছে ওই জন্য ওরা বেরিয়ে আছে ওদের মতলব মোটেই ভালো নয়। এখন পুলিশ ওদেরকে খোঁজ করছে। চুরি হয়েছে না এ ব্লকে।
'কিন্তু ওদের কথাবার্তাতে তো সেরকম মনে হল না।'
'নইলে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল আমাকে দেখেই ওরা চলে গেল কেন?'
'সেটা অবশ্য ঠিক।'
"আমার না ভীষণ ভয় লাগছে জানো?,একেতো আমরা দুজনাই বেরিয়ে যাই।'
অত টেনশন নিও না তো আমরা আছি তো পাশাপাশি তাছাড়া তোমার ব্যাটেলিয়ান তুমি দেখে যাও অত সহজ ব্যাপার নয়।
চুরি ব্যাপারটা হয়েছে এখন সবাই সতর্ক আর আমি তো সারাদিন বাড়িতেই  থাকি ।যদি কাজ না পড়ে যায় ।মিলি তুলিদেরচিৎকারে আমরা নিশ্চয়ই চলে আসব।'
"ঠিক আছে, বৌদি, আসছি ।আমি পরে আসার চেষ্টা করছি।'
রেখার যেনো আরও একটা চাপ বেড়ে গেল। এযে ঘরে বাইরে সর্বত্র টেনশন আর টানাপোড়েন।

কবি কপিল কুমার ভট্টাচার্য্য এর "ভালোবাসার তীক্ষ্ম ছোঁয়া "





ভালোবাসার তীক্ষ্ম ছোঁয়া 

        কপিল কুমার ভট্টাচার্য্য
  


  যখন এক টুকরো তিক্ত কষ্টের  
                       স্মৃতি 
 জ্বেলে দেয় হৃদয় ভরা গণগণে 
                     আগুন,                                                  
তখন তার ভালোবাসার এক বিন্দু                                    
                    ফোঁটা   
 নিভিয়ে দেয় হৃদয় ভরা সেই 
               আগুনের তেজ, 
  জীবন ভরে ওঠে স্নিগ্ধ  
                প্রাণরসে।।

কবি সুবর্ণ রায় এর কবিতা "বসন্তমাস"





বসন্তমাস

সুবর্ণ রায়



গাছগাছালিতে আগুন লাগা। 
ভালোবাসায় রক্তাক্ত মন।
চুড়ান্ত শিল্পটির নাম বসন্তমাস।

কবি সামরিন শিরিন এর কবিতা "কৃষ্ণচূড়া"






কৃষ্ণচূড়া 

সামরিন শিরিন 




ঝুমঝুম করে কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে আবার আজ! 
আগুন রূপসী বৃক্ষগুলো!
তুমি আমাকে কৃষ্ণচূড়া ডাকতে... 
আমি নাকি অমন আগুন মেজাজ!

মোটেই না। 
আমি তো মাটির কায়া 
জলের ছায়া... 
তোমার মতো অর্বাচীন তস্করকে
ডাকি আত্মাপুরুষ!
যদিও কৃষ্ণচূড়া ভীষণ প্রিয় আমার 
খুব ভালো লাগে তার দেমাগি রূপের আঁচ।

মৌসুম জুড়ে কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে আবার আজ...
কতদিন দেখিনা তোমায়! 
কতবার জ্বলে নিভে আগুনের সাজ! 
কতদিন ঢেকে রাখি ঘনঘোর মেঘলা মেজাজ!

০১ জুন ২০২২

কবি গোলাম মোস্তফা এর কবিতা "যাব"




যাব
গোলাম মোস্তফা 


যাব মানে যাবই 
সামনের পথ যতই হোক বন্ধুর
যাব মানে যাবই
হোক বর্ষামুখর রাত কিম্বা প্রখর রোদ্দুর।

যাব,  আটকানোর কেউ নেই
আত্মীয় পরিজন বন্ধু সুজন
যেতে নাহি দিব যতই হোক উচ্চারণ
যেতেই হবে এটা অমোঘ চিরন্তন।

যাব মানে ছেড়ে যাব 
নেই কোন পথ ফেরার আসলেই
যেমন কৈশোর ফিরতে পারে না শৈশবে
বার্ধক্য পারে না ফিরতে যৌবনে কোন কৌশলেই।

সামনে যাবার অমোঘ নীতি সবার জন্যই
পৃথিবীর সব কিছুই ধ্বংস হবে 
সময় ই বিলীন হবে সবার আগে
প্রতিদিন ই আজ,  কাল অন্ধকার গহ্বরে নিমজ্জিত রবে।

যাব মানে যাবই
প্রতিরোধ প্রতিশোধে নেই কোন চুড়ান্ত লাভালাভ
অন্তরে বিষের আধার বাইরে সুফি  সজ্জন 
কেবলই করি কৃতঘ্নতা বাইরে সদ্ভাব।

যাব মানে যেতেই হবে
নিশ্চিত হোক যাবার সহজতা
অঢেল সম্পদ না হোক,
 না হোক অবিমৃষ্যকারীতা।

 শুন্যের মাঝে হোক নিজের নিদান
পিছনে থাকুক কান্নার রোল আর অবিমিশ্র অকৃত্রিম দোয়া
কল্যান  আর পরহিতৈষী আমল যেন হয় সাথী 
সম্পদের কানা কড়ি নাই হোক যাত্রা পথের বাধা অনসূয়া। 

পুরাতনী কেউ নেই আর অবশেষ
নতুনের জয়গান চলে বিশ্বময়
শুন্যস্থান কখনো থাকে না শুন্য 
মঙ্গলময়ের অভয় যেন সঙ্গে সঙ্গে রয়।