তিন বোনের দুই বই
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : পেশা সাহিত্যচর্চায় অন্তরায় হয় না, যদি ইচ্ছে শক্তি প্রবল থাকে। এমন উদাহরণ অহরহ দেয়া যায়, নেশা ও পেশাতে সামঞ্জস্য রেখে অতীতেও অনেকে সাহিত্যচর্চায় নিবিড় সংযোগ অক্ষয় রেখেছেন, এইসময়ও তার ব্যতিক্রম নয়। আসলে এই দুইয়ের মেলবন্ধন তৈরি হলে লেখকের ভেতরে প্রাণ ও সাংস্কৃতিক গতি সঞ্চার হবে এটাই স্বাভাবিক । ভারতীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগত এমনিতর দিক নির্দেশ করে এসেছে।
মঞ্চে গুণীজনদের কাব্যবাস ,"কবিতা যখন মনের গভীরে কথা বলে " , মোবাইলে উঠে আসা দর্পন।
তিন বোন। দু'টি বই। গত ২ নভেম্বর, ২০২১ মঙ্গলবার সন্ধে ছিল এমনই এক মনোজ্ঞ। প্রাণের সঙ্গে প্রাণের মেলবন্ধন ঘটালেন তিন তরুণ কবি।
সীমা সোম বিশ্বাস, একজন কবি। পেশাগতভাবে এক সময় একটি বিশেষ কলেজের অধ্যাপনা করেছেন কবি । এখন তিনি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষিকা । শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘঠিয়েছেন সীমা সোম বিশ্বাস। বোঝা যায় সাহিত্যের সঙ্গে যোগ অকাট্য। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের এই শিক্ষিকার লেখালেখির শুরু সেই ছোটবেলা থেকে। বেলঘরিয়া প্যারীমোহন লাইব্রেরি সভাকক্ষে প্রকাশিত হল, শিক্ষার্থীদের সিলেবাস ভিত্তিক পাঠ্যবই 'জনপ্রশাসনের নানাদিক'। এছাড়াও ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছে সীমার 'ভারতীয় রাষ্ট্রচিন্তার ইতিবৃত্ত' ও কবিতার বই 'সম্পর্ক ও অন্বেষণ'।
মেজ বোন, কবি শোভা চন্দ। কবিতা লেখেন। এই লেখক লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মনের গভীর থেকে।
নৃত্য পরিবেশনে অর্পিতা চ্যাটার্জী
কবি সোমা বিশ্বাস, কবিতা লেখেন। পাশাপাশি গদ্যও সমান তালে লিখছেন তরুণ প্রজন্মের এই কবি।
কবি সোমা বিশ্বাস কবি সীমা সোম বিশ্বাস কবি অরুণকুমার চক্রবর্তী
তেমনি নদিয়া জেলার করিমপুরে স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকেই আবৃত্তি করেন মনের আনন্দে। ওঁর কবিতার আবিষ্কার ও প্রস্ফুটন আবৃত্তি ও গভীর পুস্তক পাঠের নেশা থেকেই। কবির প্রথম বই "সম্পর্ক ও অন্বেষণ" যৌথ কাব্যগ্রন্থ ।
এদিন পেশাগতভাবে আইনজ্ঞ কবি সোমা বিশ্বাসের নতুন কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হল, 'মন থেকে মনে' কবিতার বইটির। বইটি প্রকাশিত হবে চলতি বছরেই।
এই সুন্দর অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন রাজস্মিতা গুহ রায় সহ একদল নবীন শিক্ষার্থীরাও ।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি অরুণকুমার চক্রবর্তী, কবি অরুণ চট্টোপাধ্যায়, কবি পার্থসারথি গায়েন, প্রদ্যুম্ন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডঃ দেবেশচন্দ্র দেব, কবি বরুণ চক্রবর্তী, কবি স্বরূপ চক্রবর্তী,
কবিঅমলেন্দু বিশ্বাস, কবি বিধানেন্দু পুরকাইত, কবি প্রদীপ গুপ্ত, অভিজিৎ বেরা, কবি তাজিমুর রহামান, কবি ফাল্গুনী ঘোষ, কবি ভাস্কর বণিক, কবি রাজীব দত্ত,
বিশেষ কিছু মুহূর্ত ধরা পড়েছে মোবাইলের ক্যামেরায়
কবি ও সাংবাদিক সানি সরকার প্রমুখ।
কবি অরুণকুমার চক্রবর্তী, কবি অরুণ চট্টোপাধ্যায়, কবি পার্থসারথি গায়েন, কবি প্রদীপ গুপ্তের ভাষণে উঠে আসে নিবিড় কবিতা বৈভব এবং কবি সীমা সোম বিশ্বাস ও সোমা বিশ্বাসের আপ্পায়য়ন। কবি ফাল্গুনী ঘোষ তার বোধের পরিচয় রেখেছেন। কবিতা পথে ও নৃত্যে সাজিয়ে তুলেছিল বেলঘড়িয়ার প্যারীমোহন লাইব্রেরি। যা ইতিহাস হয়ে উঠল।
কবি সীমা সোম বিশ্বাস, বাম দিক থেকে কবি অরুণ চট্টোপাধ্যায়, কবি অরুণ চক্রবর্তী, কবি অমলেন্দু বিশ্বাস
নৃত্যে রাজস্মিতা গুহ রায়
ওই দিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান। সহ কবি ও গুণী জনদের সম্মাননা প্রদান।
ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান।পরিশেষে বলতেই হয় সঞ্চালকদের কথা। তাদের মননশীল ভাষা ও মানবিক ঐকতার মধ্যদিয়ে সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি সীমা সোম বিশ্বাস ও সোমা বিশ্বাস এবং কবি ও সাংবাদিক বরুণ চক্রবর্তী।
অসাধারণ ঐ মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে একজন অতিথি হিসাবে ত্রয়ী বোনের আপ্যায়ন ও সু সংস্কৃতিতে আবদ্ধ মিলন মেলায় আমি মুগ্ধ।
উত্তরমুছুনওনাদের সাহিত্য জীবন আরো দৃঢ় হোক এই প্রার্থনা করি।
সুন্দর প্রেরণা মূলক কাজ
উত্তরমুছুনঅসাধারণ অনুষ্ঠান।মুগ্ধ
উত্তরমুছুন