২৯ মার্চ ২০২১

আবদুস সালাম




মুক্ত গদ্য টি পাঠালাম ওতার সাথে দুটো কবিতা



বর্ষ শেষের ডায়েরী

  


“বিদায়” শব্দটা তিন অক্ষরের হলেও এটার বেদনা কত টুকু তা আমরা এখন বুঝতে পারছি।। বিদায়ে এত বেদনা কেন? কেন এত কান্না, এত কষ্ট? এত হাহাকার? কেন? বিদায় মানে কি তবে বিরহ? বিদায়ের অন্য অর্থ কি তবে বিচ্ছেদ? বিদায় মানে কি প্রিয় মানুষটিকে চিরতরে হারিয়ে ফেলা? বিদায়ের ক্ষণটি সে জন্যই কি ব্যথাভরা? সে জন্যই কি বিদায়বেলায় কারো ‘সজল করুণ নয়ন’ নত হয়ে থাকে বেদনায়? কিন্তু আমরা যে চাই হাসিমুখে বিদায় নিতে। কারো চোখের পানিতে বিদায়ের পথটি ভিজে কর্দমাক্ত হয়ে উঠুক, তা যে চাই না। সে জন্যই কি আকুতি- ‘মোছ আঁখি, দুয়ার খোল, দাও বিদায়।’ সে জন্যই কি চোখে জল আর মুখে হাসি নিয়ে বলি- ‘শুভ বিদায়’?



 

বিদায়েরও কি তবে কিছু দায় থাকে? বিদায়ে কি শেষ হয়ে যায় সব? নাকি বিদায়ের পর শুরু হয় আরেক নবতর যাত্রা? অনেক জিজ্ঞাসা, অনেক প্রশ্ন। সব প্রশ্নের উত্তর থাকে না। জীবনভর কত বিদায়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয় আমাদের! শৈশবকে বিদায় দিয়ে কৈশোরে পৌঁছাই; কৈশোরকে বিদায় দিয়ে যৌবনে। যৌবন বিদায় হলে প্রৌঢ়ত্ব, আর প্রৌঢ়ত্বকে বিদায় জানিয়ে আসে বার্ধক্য। সবশেষে অনিবার্যভাবেই এই ইহজীবনকে বিদায় জানিয়ে না-দেখা কোনো অনন্ত জগতের পথে যাত্রা! যে জগৎ থেকে ফিরে এসে কেউ কখনো জানায়নি- কী আছে ওই পারে। ফলে ওই বিদায়ে সীমাহীন অনিশ্চয়তার ভয় থাকে। থাকে দ্বিধা, থাকে অনিচ্ছা। কিন্তু হায়! তবু নিতে হয় বিদায়। ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় অংশ নিতে হয় নিঃশেষ হবার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায়। এভাবেই দিন আসে দিন যায়।

ক্যালেন্ডারের পাতায় লেখা হয় নতুন সংখ্যা।

বাড়িতে টাঙানো ক্যালেন্ডারটির উপর নতুন ক্যালেন্ডার টি শোভা দেয় । এমন করে পুরাতন দিনের সব কথা বাক্সবন্দী হয়।

নতুনদের ছেড়ে দিতে হয়  সব----

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much