আমি জননী বলছি
আমি জননী বলছি এ পেটে তোমরা ছিলে, কারণ জননী সব অত্যাচার সহ্য করে যে সেই তো মা,
এত সুন্দর পৃথবীর যার মোহ তোমরা ছেড়ে স্বর্গেও যেতে চাওনা,কারণ নারীর সাথে বোঝাপারার কাজটা তোমরা এ ভাবেই সেরে নিতে চাও,সদ্য ফোঁটা পুষ্প কলিকে তোমরা স্যুপ বানিয়ে খাও।
গুপ্তাঙ্গ খুঁজে বের কর তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটো,তোমরা পুরুষ
ফ্রাইপেনে আস্ত ভেজে খাও।
বলেছি জননী বোকা নয় তার প্রজ্ঞা এত সাধারন নয়,শুনে রাখ কান খুলে শুনে রাখ, নারীই ঈশ্বর তোমাদের মত নর অসুর সৃষ্টি করেছিলাম আমার আত্মরক্ষার জন্য,আর আজ তোমরা
মায়ের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দিয়েছ
আর অবশ্যই এটা তোমাদের জন্য
দুঃসংবাদ আর ধ্বংসাত্মক।
প্রতিটি মুহুর্তে তোমরা নারীকে
বিক্ষুব্ধ করে চলছ, তোমাদের অন্তঃ দৃষ্টি
মরে গেছে,তোমাদের প্রজ্ঞা নেই তোমরা
কি দেখনি তোমাদের অতীত।
শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন? তোমরা কি লাইলী-মজনু,ইউসুফ-জুলেখা,চন্ডীদাস-রজকিনী, রাধা-কৃষ্ণ
প্রণয়কে অস্বীকার কর?কেন ত্যাগের
মহিমায় গড়িয়ান হতে পরনি !
আফসোস পেশী শক্তি দিয়ে নারীকে
অধিকার করার বৃথা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছ, হীরা ফেলে কাঁচ কুড়াচ্ছ তোমাদেরএ ঔদ্ধাত্য বন্ধ কর জরুরি।
নতুবা তাবৎ পৃথিবী নরকে পরিণত
হবে, আর যদি প্রণয়কে নতুন করে
খোঁজ প্রকৃতির দিকে তাকাও দেখ
ওখানে একই বাগানে নানান উদ্ভিত
নানান পাখি,নানান পশু এখনও
গোত্র সম্প্রতি দলবদ্ধতায় কি ভাবে
প্রজন্মান্তরে টিকে আছে, আর আমরা নারী-পুরুষ স্রষ্টার প্রতিনিধিত্ব বজায় রেখে কেন পারছিনা শ্রেষ্ঠ জীবের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে।
এসো আমরা প্রথমে মানু্ষ হই তারপর স্রষ্টার অহংকারে আমরা হই গর্বিত জীবাত্মার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much