টেমস নদী
স্রোতস্বিনী চির যৌবনা টেমস ।
রোমান শাসক জুলিয়াস সিজার
টেমস নামকরণে ইতিহাসে অমর নাম যার ।
ইতিহাসের অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী
অক্সফোর্ড , কিংসটন , রিডিং,
উইন্ডসর রিচমন্ড ঘেঁষে টেমস সঙ্গমে মিলেছে উত্তর সাগরে
প্রেম ও প্রণয়ের নৈসর্গে।
পাশ জুড়ে সুরম্য অট্টালিকার
কংক্রিটের যান্ত্রিকতা।
স্বপ্নঘেঁষা দর্শক ক্যাফের আড্ডায় মশগুল।
আলো ছায়ার বিনির্মাণ সুখে ,
স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে জানান দেয়
টাওয়ার ব্রিজ ।
বিগ বেন ঘড়ির
ঢং ঢং আওয়াজে
জেগে উঠে অলস বিছানা
আড়মোড় ভাঙা বিষণ্ণ কঙ্কালগুলো ।
বাতাসের বেহালা উড়িয়ে নিয়ে যায়,
ধূসর পাতার বিবর্ণ রূপরেখা ।
মুগ্ধতার ঝলকানিতে জেগে উঠে আকাঙ্খার স্বরলিপি ।
তার মাঝে কারো কারো দীর্ঘশ্বাসের গোপন বাতাস খেলে, যায় বিসর্জনের খেলা ।
কুলকুল ধ্বনিতে মৌনতা পুড়ে, ছাই হয় রমণীর লাল টিপে ।
পথচারী হেঁটে যায় আগুন নিয়ে আঙুলের ডগায় ।
যেথায় একদা ঘোড়া হাঁকিয়ে বেড়িয়েছেন রাজা রানী রাজপুত্ররা ।
দুনিয়ার সব বিচ্যুতি থেকে মুক্তি পেতে কারো ছুটে আসা ।
ছুটে আসা শান্তির খুঁজে টেমস এর নীড়ে ।
জলধারার ক্যানভাসে গুঞ্জরিত টেমসের কল্লোল অববাহিকায় ।
অলীক গভীরতা মাপতে মাপতে, জীবন দান ছেড়ে আসা নারী, সনাতনী দুঃখগুলো জমা রাখে টেমসের পৌত্তলিক গহবরে ।
এখানেই হয় সূর্যোদয় ।
এখানেই সূর্যাস্ত।
টেমস নদী।
( যুক্তরাজ্য )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much