মেরু রেখার ওপ্রান্তে হারাই
শহিদ মিয়া বাহার
আমি হাত রাখি শিল্পচারী অনামিকায়
কি এক মায়ার ছায়া লাগে
ভেজা ভেজা বিকেলের ধূসর করতলে
যেন ছুঁয়েছে এ হাত, বহুদিনকার চেনা-চেনা মোহ-মোহ নীল কাবেরীর সুবর্ণ জল--!
তোমার মেরুরেখার ওপ্রান্তে
নেশা নেশা জোৎস্না নামে অবিকল দেবতার মত---
আমি জানু পেতে বিছিয়ে দেই
সান্ধ্য প্রদীপের আলোয়
নিমগ্ন প্রণতির জলপদ্ম বিহার--!
তুমি চুম্বকমতি মোহিত ময়ূরাক্ষী সই,
আকর্ষণ মগ্নতায়---
জারুল পাতার মুরলী সুরের তানে
বিবশ কর উত্তর আর দক্ষিণ মেরু আমার!
আমি নির্জীব লৌহ দন্ডের মত বায়বিক আকর্ষণে ছুটে যাই
তোমার মেরুকণার গহীন সাকী পেয়ালায়
আবেশ ধারকের বিদ্যুৎ প্রবাহের মতোন,
প্রদোষ প্রহর, নিদ্রাহীন নিশুতি যাপনে--!
তুমি আশ্চর্য আলোর মত রাসায়নিক চোখ মেলে বেঁধে রাখ আমায়
গভীর মোহনেশা বিক্রিয়ার অনুসঙ্গ প্লাবনে--
আমি জারিত হতে হতে বিজিত সত্তা হারাই
তোমার দৃষ্টির উপত্যকা, অরণ্যে
যেখানে জোনাকিরা কূল হারায় অনিরুদ্ধ যন্ত্রনায়--- ঘোর তমসায়!
আর কতদূর নিয়ে যাবে হে চুম্বকদেবী
সীমান্ত কেটে কেটে
গভীর তমিস্রায় আমায়--!?
সুন্দর।
উত্তরমুছুনশব্দের মোহময়তায় নিমগ্ন হলাম। ভালো লাগলো কবিতাটি
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনএকটি অত্যান্ত যোগ্যতা সম্পন্নকরণে পত্রিকার পাতায় ফুটেছে দুর্বল কবিতা।💞
উত্তরমুছুন