০২ অক্টোবর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ২

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  শুরু হলো  লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 



                                                               বনফুল



                                                            জুঁই সব ক্লাস শেষ করে গেইটে এসে দেখলো ওর গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, জুঁই  গাড়িতে উঠে বসতেই ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট করলো, কিছুটা সামনে যেতেই জুঁই পলাশকে দেখতে পেলো হেটে হেটে সামনের দিকেই যাচ্ছে। 
জুঁই ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলো  পলাশের সামনে এসেই গাড়ি থামলো, 
জুঁই গাড়ির গ্লাস নামিয়ে বললে ভাইয়া  আমরা তো একই রাস্তায় যাচ্ছি, গাড়িতে উঠুন ড্রাইভার আপনাকে ড্রপ করে দিবে,  
নো থেংক্স একটু সামনেই বাস স্টপ, তুমি যাও বলেই পলাশ হাঁটতে শুরু করলো, জুঁই গাড়িতে বসে অনেক কিছু ভাবতে লাগলো। 
বাসায় পৌঁছে জুঁই ফ্রেস হয়ে সামান্য কিছু খেয়েই উপরে চলে গেল। 
বিছানায় শুয়েই চোখে ঘুম চলে আসে, কিন্তু কি আশ্চর্য আজ কিছুতেই ঘুম আসছে না। 
জুঁইয়ের বার বার পলাশের কথা মনে পড়ছে, জুঁই যত বার দেখেছে খুব আপন মনে হয়েছে, যেন অনেক দিনের চেনা..... 
পলাশ বাসায় ফিরে হাত মুখ দু'য়ে যা টেবিলে আছে মুখে গুঁজে যন্ত্রের মতো বেরিয়ে পরে টিউশনির জন্যে। চারটি টিউশনি করে, ওগুলো শেষ করে রাত নয়টায় বাসায় ফিরে নিজের পড়াশোনা কমপ্লিট করতে হয়।
মাঝেমধ্যে ছোট ভাইবোনের পড়াও পলাশই দেখে, 
পলাশেরও সব কিছুর ভিড়ে দুএকবার জুঁই মেয়েটির কথা মনে পড়েনি এমনটা না! মনে মনে এটাও ভেবেছে ওরা অনেক বড়লোক, আমার ওর কথা ভাবা ঠিক না,তবু চোখের সামনে ভেসে  উঠছিলো জুঁইের সুন্দর মুখখানা।
জুঁই ভাবছিল....
কি করে পলাশের সাথে একটু  ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়, 
পরদিন পলাশের সাথে দেখা হওয়া মাত্র সালাম দিয়ে জানতে চাইলো কেমন অছেন ভাইয়া?
 পলাশ বললো হে ভালো আছি ;
তুমি কেমন আছো? জুঁইও উত্তর দিল জ্বি ভালো,জুঁই চট করে বললো ভাইয়া আপনার ফোন নাম্বারটা দেওয়া যাবে? না মানে কোনো বিষয়ে যদি না বুঝতে পারি আপনাকে ফোন দিয়ে পড়া বুঝে নিতে পারবো এই বলে বলে জুঁই খাতা এগিয়ে দিলো পলাশের দিকে, পলাশ খাতা হাতে নিয়ে খচখচ করে নাম্বার লিখে দিয়ে দ্রুত চলে গেল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much