আমার ভিতর একটা তুমি
থাকতো যদিএকটা তুমি
চিলেকোঠার জানালাতে শ্রাবণ হয়ে,তোমায় নিয়ে
ভিজতে, ভিজতে এক পৃথিবীর ধারাস্নানে
অমরাবতীর মায়ার ঘাটে ঐ -উজানে
রাজহংসীর নায়ের পালে, উড়িয়ে আাচঁল
সিগ্ধ পাখায় ঘুচিয়ে দিতাম ক্লান্তি সকল।
কৃষ্ণাভ ঢেউ চুলের ডগায় ঝুলিয় দিতে ফিনিস্ক পাখি।
ভেসে যেতাম থইথই সেই জ্যোৎস্নাদ্বীপে
আলোর সাথে মায়ার খেলায়, সব অভিযোগ যেতাম ভুলে।
কোথায় তুমি, কোথায় তুমি..?
বাহারো ফুল বরষায়ে মেরি শ্বাসো কা হাওয়া
নেহি শুনরাহ্যা ম্যয়নে তড়পাই আপকি বিন ইহ্যাঁ।
মওসুম কা রূপ বদল যায়ি চান্দ পে আপকি সকল
তব কিউ পাস নেহি আতি।
ইশকা এবাদত কিউ গলদ কাহ্যাঁ ইয়ে দুনিয়া
তব কিউ মরতা হ্যায় ইশকে দিওয়ানি হাররোজ।
আপকি বিন ইহ্যাঁ ক্যায়সে জিউ,ইয়ে জনম
হামারা আখেরি জনম
কাহ্যাঁ আপ,কাহ্যা ছুঁপ গায়ি ইশকে সফর
সে দুর...!
তুম জানো ওর না জানো
একটা তুমির দীর্ঘশ্বাসে আমি এখন রৌদ্র বিহীন
আনত এক অভিমানী সূর্যমুখী তপন বিহীন
তুমি ওকি আমার মতন, বৃষ্টিবিহীন মরুধূলি...?
কে আমাকে বুকের মাঝে সোহাগ করে রাখবে বলো
কি মমতায় যত্ন করে সব ম্লানতা ভুলিয়ে দিবে।
একটা তুমির অমরত্মায় কানপেতে যে শুনবো
তখন অতলস্পর্শে পেলবতার ঐ-হৃদয়ে উথাল-পাথাল
ভালোবাসার আত্মহারা শাশ্বত সেই অপারধ্বনি।
যদি থাকতো একটা তুমি
অনাড়ম্বর এই নির্বাসনের নির্জনতায়, বইয়ে দিতে
অম্লজানে
সৌরতাপে আবেগবিহীন রাত্রিগুলো উন্মাতালে
উষ্ণতারই মগ্নশ্বাসে...!
তৃষ্ণাতুর এই খন্ডপ্রহর যেতাম ভুলে একটা তুমি থাকলে কাছে।
একটা তুমি থাকতে যদি
অনুরাগের ছোঁয়াছুঁয়ির বাহুডোরে জীবনটা এক কাব্য হতো।
মানুুষরুপি ডাহুক গুলো, চায় ভুলাতে মায়ামন্রে
তন্ময়মন খুঁজে তখন একটা তুমি আছো নাকি
খুব কাছে কি বৃন্দাবনে...?
আমি তখন হতাম রাধা, জল তুলিতে যেতাম যখন
নদীর ঘাটে
বাশিঁর সুরে ডাকতে আমায় আকুল হয়ে।
আজও আমি একটা তুমির আশায় আছি
নিরব-নিথর, ভাবনা নিয়ে উদীয়মান সূর্যতীরে
মরুরবাঁকে একটা তুমি ছায়াবাহু, যায় কি - ছোঁয়া ?
ঐ -আকাশের তারার মতন, একলা কবি
ডুবে থাকি বিমর্ষতায়।
কেন আমি দাড়িঁয়ে থাকি, ঐ অলিন্দে চাঁদের আলোয়
, রাতের ভিতর ফিরে দেখা,সেই- একটা তুমি ;
অন্য রকম নীলকাব্য ছায়ার ছায়ায় গভীর মাঠে হারিয়ে যেতাম,
তোমার কাঁধে মাথা রেখে শিশির ঝরা
নৃত্যরত সমীরণের সুরের দোলায়।
একটা তুমি ছন্নছাড়া সাথী আমার, তাইকি তোমার
বাধঁনহারা একলা জীবন দিশেহারা।
তবুও কেন পাইনা আমি, ঐ-আষাঢ়ে নয়ন মেলে
খুজঁতে থাকি সপ্তলোকে আমার কলম লিখতে থাকে
লিখতে পারে,কেবল শুধু অসামাপ্ত জীবনবোধর
রক্তারক্তি কষ্ট কাহন।
তবু কেন স্বপ্ন দেখি দুঃখের ভিতর একটা তুমি
আমার ভিতর ভ্রমন করো অনায়াসে
তোমার চোখের মায়ার ছায়া হীরকদ্যুতি হয়ে কেন
গেঁথে আছো আমার অনামিকায় !
এবার বুঝি দেখবো তোমায়, আমার ভিতর উঠবে জেগে।
তখন তুমি দেখতে পাবে প্রেমময়ী সেই রূপের ভিতর
এই আমিটা সেই জনমের একই আমি।
ঘুম ভেঙে যায় তাকিয়ে দেখি বিবশ হাতে
শূণ্য আমার অনামিকা।
মন মানেনা, জেগে কেন, স্বপ্ন দেখি
ভাবনাকে তাই ছড়িয়ে দিলাম, হাওয়ার কানে।
আটকুঠিরের একটা চাবি ভুল করে যে ছিলো পরে
ভাসিয়ে দিলাম সাগর জলে দেখবে তখন
জলতরঙ্গ বলবে ডেকে
লে যাও চাবি খুল য্যায়েগা দিলকা মকান আভি
খুলবে যখন বন্ধ তালা খুঁজবে তখন উদাস আঁখি দিশেহারা প্রেমময়ী ঐ-কুঠিরে
চলছে সেথায় আজও দেখো রুহের সাথে রুহেরখেলা
ফিরে দেখা কক্ষপথে করছি ভ্রমন হৃদ মাঝারে
একটা আমি-আমার ভিতর একটা তুমি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much