দূর্বোধ্য শহর
এই শহরটা খুবই দূর্বোধ্য লাগে।
কি? মেঘমেদুর বারিষা বয়ে চলে-
হৃদয়ের মণিকোঠায়।
এখানে মানুষ আয়োজন করে জন্মালেও,
বেওয়ারিশে লুটে পড়ে ব্যস্ত শহরের বদ্ধ ডাস্টবিনে।
ব্যাংকের নিকাশঘরটা কফির আড্ডায় মেতে উঠলেও,
ক্ষুধার্ত থাকায় বালকরা খুব বেশি কাঁদতে পারেনা-
তাদের মায়ের জন্য।
এই শহরে মানুষের চেয়ে পশুর রাজত্ব বেশি।অথচ-
কি নিদারুণ মানুষের মুখোশের আড়ালে তারা কাব্য রটে!
আচ্ছা এই শহরটা এমন কেন...?
এইখানে রোজ পঁচা লাশের গন্ধ শোকে- বৃদ্ধাশ্রম।
ধর্ষকদের নিপীড়নে মা-মেয়ে উভয় খুঁজে আশ্রয়।
এই শহর ধর্ষকদের আগলে রাখে,মেরে ফেলে কবিদের।
পরাধীনতায় ডুবে আছি, নেই স্বাধীনতা মোদের।
এই শহরে নীল অপরাজিতারা ফুটে উঠতে ভয় পায়।
ভয় পায় ভাবলেশহীন উড়তে থাকা চিলগুলো।
এইখানে ছুঁয়ে দেবার আগেই ঘুমিয়ে যায় লজ্জাবতীরা।
কেন এত অনাদারে পড়ে রই শহরটা।
আমরাও বাঁচতে চাই, বাঁচাতে চাই এই মলিন শহরকে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much