ঠোঁট দাঁতের চুম্বন
পৃথিবী, তুমি কেমন আছো ? ইদানিং তোমার রঙ পালটে পালটে কালো হচ্ছে ছায়া ছায়া চাঁঁদনী
পাখির ছানা অথবা কাঠবিড়ালির চোখ নেই,পাকা পেয়ারাটা গোটাই থাকে দিনভর---তারপর সবুজ ঘাসের উপর পড়ে,একটুও আদর নেই ঠোঁট দাঁতের চুম্বন দেখা যায় না
বল তো মাকে একবার ডেকে দিই,মা বললে আবার পাখি খাবে
তুমি জান না পৃথিবী এঁটো ফল কত মিষ্টি হয়,মাটি থেকে মা উঠে এলেই আবার শুরু হয়ে যাবে প্রজাপতির ওড়াউড়ি।
মাকে খুঁজি দিনরাত,প্রথমে পোশাক পাই তারপর কাটা জিভ----সনাক্তকরণে কেউ চিনতেই পারে নি,ছাই দেখে জানা গেল মায়ের বয়স মাত্র উনিশ
আঁধার বড় ভয় পেয়েছিল,আর আমার মা মুখ দেখাবে না বলে সীতার মতো তাড়াতাড়ি খোঁপা খুলে নিয়েছে---
মাটি দ্রুত দুভাগ হও,সন্তানেরা খুঁজবে তাদের বলো আর একবার কাঠে কাঠ ঠুকে আগুন করে নিতে।
বেণী দুলিয়ে কে হাঁটে ? বেণী খোলা রেখে কোন রূপসীর তালাক ? এক মাথা সিঁদুরে কার চিতা জ্বলে ?
ধান মুখ খোলা,মেঘ ভেজা পাতা বোঝাই লাল মাটির মেয়ে------এ সবই রক্তাক্ত নদী,আমার মা কৈশোর যৌবনে হরিণের মতো পথে পথে ছোটে বাঘের তাড়নায়
হে পৃথিবী,চাঁদের রাতে চাঁদ হয়ে দেখে নাও যারা শকুন বলে চিহ্নিত-----তাদের জন্যও মায়ের শরীরে রাখা ছিল এই সুধা-শিশিরের নবান্ন ঘ্রাণ !
সুন্দর
উত্তরমুছুন