গৃহবাসিনী
আহমেদ কামাল খোকন
সে বড় চঞ্চল হাতে এটা সেটা করে,
মাটির চুলোয় আগুনের উত্তাপ, তার বুকের উত্তাপ পুড়িয়ে দেয়, সংকর আগুনে পুড়ে যায় যৌবন।
সম্পর্কের সমন্বয় সাধনে, অল্প বয়সি দুটি পায়ের হঠাৎ বয়স বাড়ে, তবুও পদক্ষেপ চালিয়ে নিতে হয়।
চন্দ্রগ্রহনের মতই ধীরে ধীরে, চোখের উপর ছায়াবাজীর ভেলকি দেখায়, অদৃশ্য পুতুল নাচের নেপথ্য কুশিলব।
কিছু গান সেই কবে শুনেছিল, কোন্ ভালো সময়ে!
ভালো সময় আর আসে না, পুরনো সুর বাঁজে না এখন আর।
কত জন! বেদেনি সেজে ঘুরে বেড়ায়, বোষ্টমী সাজে কেউ কেউ, সে কোনো একটা টিপের দাবি নিয়ে, খিড়কির বাইরে, একদম পা ফেলতে পারে না!
কোনো যাযাবর, কোনোদিন, তৃষ্ণায় দুয়ারে দাঁড়ালে, তাকে ডেকে বলবে বালিকা, ওহে পথিক! তোমার পথ কি একলা চলার ? কতটা সংকীর্ণ? পাশে নিতে পারবে?
চাইলেও সে যেতে পারবে না, চেনা জানা সীমানার বাইরে যেতে হয় না, মননে এমনই শক্ত সে বোধ! কে কবে প্রোত্থিত করে দিয়েছে, কেউ জানে না, সে কোত্থাও যাবে না।
সে কখনো খোলা আকাশ দেখবে না, কার বাগানে কি ফুল ফুটেছে জানবে না, কার ললাট, কোন্ ঠোঁটের স্পর্শে কেঁপেছে, এমন বিহ্বল সময় সে ছোঁবে না।
সে এক অদেখা খোলসে বন্দি, আত্ম-নিমগ্ন গৃহবাসিনী।
সে কোত্থাও যাবে না।
অনন্য উপস্থাপন„অনেক অকেন দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।।
উত্তরমুছুন