স্মৃতির জানালায়
(৭ম পর্ব)
রাবেয়া পারভীন।
এভাবে শবনমের সান্নিধ্যে থেকে যদি জীবন কাটানো যেত তাহলে কানায় কানায় পূর্ন হয়ে যেত এ জীবন। একদিন অফিসে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছো মাহতাব, শিপলু এসে হাজির।
- মাহতাব ভাই আজকে সন্ধায় আম্মা আপনাকে আমাদের বাসায় যেতে বলেছেন।
ভ্রু নাচাল মাহতাব।
- কেন, ভূরিভোজন আছে নাকি ?
হাসলো শিপলু
- ভূরিভোজন তো আছেই, তা ছাড়া আরও ব্যাপার আছে।
- কি ব্যপার ?
- আমি অতসত জানিনা। আপনি গেলেই দেখতে পাবেন। যাবেন কিন্তু, মিস করবেন না
- আচ্ছা,
শিপলু চলে গেলে মাহতাব চিন্তা করল ব্যপারটা কি হতে পারে? হঠাৎ জরুরী তলব কেন ? প্রতিদিন পত্রিকা অফিস থেকে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যেত কিন্তু সেদিন বিকেলেই অফিস থেকে ফিরল মাহতাব তারপর ফ্রেস হয়ে শবনমদের বাসায় গিয়ে পৌঁছাল। বসার ঘরে সাত আট জন মেহমান। রহমান স্যারকে খুব ব্যস্ত মনে হলো। মাহতাবকে দেখে স্যার। এগিয়ে এলেন।
- এই যে মাহতাব এতো দেরি করলে কেন ? উপরে গিয়ে দেখো তো ওদের কতদুর হলো । একটু তারাতারি করতে বলবে।
কিছু বুঝতে না পেরে মাহতাব চিন্তিত মনে সিড়ি ভেংগে দোতলায় উঠতে লাগলো । সিড়ির মাঝখানে শিপলুর সংগে দেখা হয়ে গেল। লাফাতে লাফাতে নীচে নামছিলো শিপলু। মাহতাবকে দেখে ব্যস্ত হয়ে বলতে লাগলো
-ইশ মাহতাব ভাই, এতো দেরি করেছেন।? এদিকে বিকেল থেকে আপা আমাকে বকাঝকা করছে ।
- কেন ?
-আমি নাকি আপনাকে খবরই দেইনি।
শিপলুর খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে মাহতাব নীচু স্বরে জিজ্ঞেস করল
- ব্যাপার। কি শিপলু ?
মাহতাবের চোখের দিকে চেয়ে মুচকি হাসল শিপলু। বলল
- বসার ঘরে মেহমান দেখেন নি?
- হ্যা দেখলাম তো, ওরা কারা ?
এদিক ওদিক তাকিয়ে প্রায় ফিস ফিস করে শিপলু বলল
-ওরা আপাকে দেখতে এসেছে , পছন্দ হলে আপার বিয়ে হবে ।
অদৃশ্য একটা চাবুক পড়ল যেন মাহতাবের শরীরে । ওর মুখ ফুটে ছোট্ট একটা শব্দ বেরিয়ে এলো
- ওহ্ !
- যান উপরে গিয়ে সব খবর নিন গিয়ে । আমি নীচে যাই।
সিড়ি দিয়ে লাফাতে লাফাতে শিপলু নেমে গেল।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much