১০ নভেম্বর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"২২

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 


বনফুল 
( ২২তম ) 


জুঁই বললো ময়না তুমি যাও আমরা আসছি, 
অহনা সৈকতের ও টুকটাক কথোপকথন হয়েছে, ফোনের নাম্বার আদান-প্রদান ইত্যাদি ... 
জুঁই পলাশ নিচে নেমে এসে দেখে সৈকত ও অহনা সহ সবাই ডাইনিং টেবিলে অপেক্ষা করছে। 
খাবার টেবিলে বসে সৈকতের তাক লেগে গেছে...  
পুরো রাজকীয় সব খাবার-দাবার! 
ওয়াজেদ সাহেব ও মনোয়ারা বেগমের উল্টো দিকে  পলাশ ও সৈকত বসেছে, টেবিলের দুই ধারে জুঁই ও অহনা বসলো।
 গল্প করতে করতে খাওয়া শেষ হলো।
 জুঁইয়ের বাবা-মা দুজনেই নিজেদের ঘরে  চলে গেলেন রেস্টের জন্য।
ওরা চারজন বসে চুটিয়ে গল্প করলো। বিকাল হতেই পলাশ বললো জুঁই এখন আমরা উঠবো।
 জুঁই বললো কফি খাও তারপর  যাবে।
জুঁই ময়নাকে ডেকে বললো এখানে আমাদের কফি দাও।

জুঁই গিয়ে বাবা-মাকে ডেকে আনলো, জুঁই বললো আম্মু উনারা চলে যাচ্ছেন। 
জুঁইয়ের মা জিজ্ঞেস করলেন ওদের চা নাস্তা দিয়েছো? 
জুঁই বললো হ্যাঁ, দিয়েছে। পলাশ আর সৈকত বললো আন্টি, আঙ্কেল আজ আমরা আসি।
ওয়াজেদ সাহেব বললেন, বাবা এখনতো বাসা চিনে গেছো মাঝেমাঝে  এসো আন্টি আঙ্কেলকে দেখতে। 
পলাশ বললো, জ্বি নিশ্চয়ই আসবো আঙ্কেল।
জুঁই বললো তোমরা অহনাকে ওর বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে যেও। 
এই বলে ওরা বাসার দিকে এগোলো,জুঁই উপরে চলে গেলো।
এবার ওযাজেদ সাহেব মনোয়ারা বেগম কে বললেন ছেলেটা দেখতে শুনতে অনেক ভালো  কি বলো?
মনোয়ারা বেগম ইশারায় হ্যাঁ  বলে সম্মতি জানালেন। 

এদিকে পলাশ সৈকত আর অহনা কে বাসায় পৌঁছে দিয়ে নিজের  বাসায় ফিরলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much