ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর অসাধারন সৃষ্টি। লিখতে সহোযোগিতা করুন লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা
সহধর্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা
(৩য় পর্ব)
রবীন্দ্রবলয়ের জালে আটকে পড়ার ভয় এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। তাই প্রতিদিনই দুএক কলম কিছু না কিছু লেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোন কোন দিন কোন বিষয় বস্তু নির্বাচন না করেই লিখতে শুরু করে দেই। আবার কোন কোন দিন ইচ্ছেমত যেকোন একটি বিষয় বা নির্দিষ্ট একটা শব্দকে পুঁজি করেই লেখা শুরু করি।
সহধর্মিণী আমার প্রতিটি লেখার বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতঃ খাবার টেবিলে তাঁর মূল্যবান মন্তব্য আওড়াতে কোনদিনই ভুলেন না। এভাবেই লেখনীর কাজটি এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে শুভাকাঙ্খীগণ ও আপনজন ছাড়াও প্রিয় ফেইসবুক বন্ধুরা আমাকে সদা উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছেন ও অনুপ্রাণিত করে চলেছেন তাদের অসাধারণ আর চমৎকার মন্তব্য আর মতামত জানিয়ে।
ক্যাডেট কলেজে পড়াকালীন সময়ে বন্ধু সাইদুলকে দেখেছি এসএসসি বোর্ড পরীক্ষার সময়ও কবিতা লিখতে। অামি দেখে অবাক হতাম তার এ দুঃসাহসিকতা দেখে। মাঝে মাঝে ক্লাশ চলাকালীন সময়ে তাকে দেখতাম অন্যমনস্ক হয়ে শিক্ষকের কথায় মনোযোগ হারিয়ে আর্টিকেল লিখতে। বন্ধু সাইদুল অত্যন্ত ভাল মাপের একজন লেখক। বর্তমানে সে কানাডায় থাকে এবং সেখান থেকেও নিয়মিত সাহিত্য চর্চা জারী রেখেছে।
নিত্য সংঘটিত জীবনধর্মী ও সামাজিক বিষয়াদির উপর লিখতে আমি স্বাচ্ছন্দবোধ করি। সামাজিক রীতিনীতিতে বিভেদ, সদা দ্বন্দ্ব ও বৈষ্যমতাকে নিয়ে মানব দর্শনের দৃষ্টিতে সেগুলিকে লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরতে আনন্দবোধ করি।
ধর্মীয় আঙ্গিকেও কিছু বক্তব্য লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। যে লেখনীতে আছে দিক নির্দেশনা, সমাজ গড়ার উপদেশ, মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ঘোচনার উপায় এমন শিক্ষামূলক ও উপদেশধর্মী লেখনীর মাধ্যমে মানুষকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এমন মহৎ কাজটি করতে নিঃসন্দেহে খুবই ভাল লাগে আর দারুন আনন্দবোধ করি।
সহধর্মিণী মাঝে মাঝেই আজও বেশ খোঁচা দিয়েই কথা বলেন আমার লেখাকে কেন্দ্র করে। তিনি একজন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ নারী আর তাই ধর্মীয় আঙ্গিকে লেখাকে তিনি সদা অধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। মাঝে মাঝে তিনি মন্তব্য করে বলে বসেন "তোমার এ লেখা পড়ে কয়জন মানুষইবা সৎপথে আসবে আর কয়জনইবা তোমার লেখার বক্তব্য অনুযায়ী উপদেশ মেনে চলে তদানুযায়ী জীবনিপাত করবেন? সমাজের সিংহভাগ মানুষের যখন পদস্খলন ঘটেছে তখন তোমার এ লেখা দিয়ে কি পুরো সমাজ তথা জাতিকে একাই ঠিক করে ফেলতে পারবে ? এমন অনেক প্রশ্নবানে তিনি প্রায়শই আমাকে কুপোকাত করে ফেলতে উদ্যত হন। আমি তাঁকে এই বলে বুঝিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শান্ত করি যে, দেখো বিন্দু বিন্দু জলকণা মিলেই তো সাগর অতলের সৃষ্টি হয়।
ধারাবাহিক ৩য় কিস্তি
Lekhati khub bhalo ,
উত্তরমুছুনLekhati sakole parun o comment karun .