খেয়ালি কবিতার অপ্সরী
আমার মতো বেশ ছিলাম কবিতার স্বপ্নভূমিতে
স্বপ্ন বুনে ভাবনার অতল নিরবতায় তন্ময় মনে
সেদিন রাতে সাজানো কুঁড়ে ঘরের আঙ্গিনায় কে ?
গুপ্ত আলোক আঁধার থেকে ভেসে আসছে এক
মহাসমুদ্রের ডাক!
আমারই কবিতায় আমি একদ্বীপ তার চোখের সৈকতে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো নক্ষত্রপুন্জের দিকে।
আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম তার দুহাতের ভিতর
কি মায়াময় সেই স্পর্শ।
আমি যেনো তাকে দেখার মুহূর্তের প্রতীক্ষায় ছিলাম
দীর্ঘ আলোর সূর্য পাঠ করছে আমার কবিতা
আর আমি যাত্রা করছি রাতের ভিতর অন্য এক পৃথিবীর তরঙ্গায়িত জলমালায় জড়িয়ে
আমার ওষ্ঠে এঁকে দিলো দুর্লভ কালের রেখা।
তারপর সে রেখে গেলো আমার জন্য আড়াল
অচিন কাব্যের এক পৃথিবীর আলিঙ্গনে উত্তাল ঢেউ
বাতাস বয়ে নিয়ে যায় তার চোখের চারুপ্রান্তে
সেকি ভালোবাসার শূন্যতার কারিগর
নয়তো কেন শূন্যে বয়ে যায়,নাকি ভালোবাসার মহাপ্লাবন !
কান পেতে শুনি, বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি
আমার শব্দ যদি ফের মিলনের পথ খুলে দেয়
কবিতার ভিতর বদলে যাবে পৃথিবীর সমস্ত রজনী
সেই রজনীর ভিতর সবই যেনো খেয়ালি কবিতার মৃদ্রানৃত্য এক অপ্সরী
তারই ভিতর আড়ালে স্পন্দন খুলে রাখে।
তাই তো আমি ভালোবাসায় ভেঙে টুকরো -টুকরো
হয়ে পড়ি,
অবাধ্যতায়,ক্ষয়, ধ্বংসের ভিতর ভ্রান্তির মায়ার প্রত্যাশায়
তার ছায়ায় জীবনের রূপ মিলিত হয় আপন আত্মায়
তাকে ছুঁয়ে যায় সপেঁ দেওয়া এক কাদামাটির নিছক
শরীরী কাল্পনিক ঐশ্বর্য
তারই ভিতর অদৃশ্য আমিই কি একটি কবিতা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much