১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সালমা খান


নাগেশ্বর বৃক্ষ 


পুরোনো দীঘির জলে কবে কার নাগেশ্বর বৃক্ষ ছায়া দেখে তার প্রিয় হারানো,

আমারি মতো সেও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে প্রতিক্ষার পথ চেয়ে ।

অদূরে হয়ে ফিরছে এই যে পথ,

আরো শতবর্ষ ছিলো হেঁটে যাবার,

ধীরলয়ে যেমন হেঁটে যাবার

ভেবেছি একদিন তোমার হাতপাশে আমারি হাত রেখে ছন্দবদ্ধ হবে সকল বৈরাগ্যপনা ,

সে স্বপ্নাতুর অভিলাষ ফিকে হয়ে গেলে আমার আর ভালো লাগে না।

ডাক দিয়েছি,তুমি পৌঁছে গেছো মৌনি ধাপে

আমিও হালকা ওমের মতো চৌহদ্দি ছাড়লাম,

নেমে গেলাম জলের মতো।

 পথে পথে শামুকের খোল,পাথরের তীক্ষ্ণ ঢেলা বুঝতে কি পারো ,

ঢালুর অংশের আধভাঙা ফাটলে প্রত্নজীব শ্যাওলা?

পুজো নিয়ে তোমার মোহগ্রস্ত ঘুম এখনো ভাঙেনি

ভাবছো আমজনতা খেয়ে নেবে সংক্রামিত প্রসাদ বাতিল নিরামিষের গরাস!

রোজ সকালে আয়না তুলে ধরি মুখ ,

স্মৃতির কৌটা খুলে কপালে আঁকি লাল বৃত্তের সুখ।

কি নিদারুণ ভাবে আমার সিঁথির সিঁদুরে টকটকে রোদ্দুর গুড়ো

লেপ্টে দিলে যা আমার কপাল বেয়ে 

নেমে এলো মৃত্যু ,

আমি মৃত্যুর জন্য নৈশব্দিক একটা কবিতা লিখবো।

এক লক্ষ জোনাকির নিমন্ত্রণ দেবো সেদিন

ঝিঝি  পোকারা গুনগুন করে গান ধরবে মৃত্যুর সময় 

ঝিরি ঝিরি বাতাস বইতে থাকবে,

ক্রন্দন ভরা বাতাসের তীব্রতায় চুলগুলো এলোমেলো হয়ে মুখে ছড়িয়ে পড়বে

হলুদ শাড়ি পড়ে থাকবো সেদিন

কপালে টিপ আঁকবো,কাজল দেবো গাঢ় করে,যখন চোখ দুটো চিরতরে বন্ধ  হয়ে যাবে।

জলের কাছে নিমন্ত্রণ পাঠাবো ,

জলের ফোঁটায় সারা মুখে ছড়িয়ে পড়বে।

তখন কান্নার শব্দকে দেব ছুটি

অন্ধকার রাত ব্যাথিত হয়ে দেখবে আমার শেষযাত্রা।

সীমাহীন রুপান্তর তুমি

মালবিকার চোখে চোখ পড়ে না।

তুমি অন্ধ পথে থৈ থৈ, 

চোখ আছে তবুও চোখের মনি নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much